ভোলা সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন একটি ভোটকেন্দ্রে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৬ জানুয়ারি) ভোটকে কেন্দ্র করে দুই-দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আহতরা ভোলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর ভোলা প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা।
ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পারভীন আখতার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ৬ জানুয়ারি, ১৩ জানুয়ারি ও ২০ জানুয়ারি। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শনিবার ভোলা সরকারি কলেজে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ১০টা-দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়।
ভোট চলাকালীন জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জমায়েত হয়। বেলা ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল মিছিল করে। পরবর্তীতে বেলা ১২টায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আসতে শুরু করে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার দেখে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ একইসময়ে বিক্ষোভ শুরু করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজের বেশকিছু চেয়ার, বেঞ্চসহ আসবাব ভেঙে ফেলা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষ চলাকালীন সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে হামলাকারীরা প্রথম আলোর ভোলা প্রতিনিধি নেয়ামত উল্যাহকে লাঞ্ছিত করে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কয়েকজন ছাত্রের মোবাইল ভেঙে ফেলে। এসময় রূপালী ব্যাংকের চালকসহ মোট ১২ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর ও কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন বরিশালটাইমসকে বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছিল। তাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।
এতে তাদের কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-আহবায়ক নুর মোহাম্মদ, এমরান হোসেন, সদস্য নয়ন, হাসান, আদনান ও তালহা জোবায়েরসহ ১০ জন আহত হন।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ইউনুস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। বিএনপি-ছাত্রদল সেটিকে রাজনৈতিক রং লাগানোর জন্য কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে মিছিল করেছে। আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে কলেজ ক্যাম্পাসে হামলা-ভাঙচুর করেছে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বরিশালটাইমসকে বলেন, সংঘর্ষের পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
শিরোনামOther