বকেয়া বেতনের দাবিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাফতরিক সব কাজ বন্ধ রেখে মেয়রের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এই আন্দোলনকে ঘিরে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বসিক)। কাজ বন্ধ থাকায় সেবাগ্রহীতারা নগর ভবনে গিয়ে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন হতাশা নিয়ে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসে গিয়ে কোনো দাফতরিক কাজ না করে মেয়রের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। ওই সময় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। সিনিয়র কাউন্সিলরা আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে- সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনে মন্ত্রণালয় থেকে ৫ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ এসেছে। ওই বরাদ্দ থেকে নীতিনির্ধারকরা ঠিকাদারদের বকেয়া বিল দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ খবর পেয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিটি কর্পোরেশনের হিসাব শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেয় বেতনবঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর একদিন পর রোববার থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সম্পাদক ও বিসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধা জানান, নগর ভবনে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। বিসিসির স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারি মাসে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন। সে হিসাবে এখনও তাদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া। অপরদিকে দৈনন্দিন মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন বকেয়া পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।’
বকেয়া বেতন এবং ১৭ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ডের বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
শিরোনামOther