৬ িনিট আগের আপডেট বিকাল ১২:৫৩ ; মঙ্গলবার ; জুন ৬, ২০২৩
EN Download App
Youtube google+ twitter facebook
×

সাকার ফিস নিয়ে আতঙ্ক!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট
৯:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮

সাকার ফিস অথবা সাকার মাউথ যে নামেই ডাকি না কেন এটা এক ধরনের শোভাবর্ধণকারী এ্যাকুরিয়ামের মাছ। কিন্তু বর্তমানে এই মাছ এ্যাকুরিয়ামের বাইরেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে। আর তাই আশঙ্কা বেড়েছে মৎস্য চাষীদের মধ্যে।

গ্রামাঞ্চলের অনেকের কাছেই এই মাছ একদম নতুন ধরনের একটি প্রজাতী। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এই মাছ গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এটাকে বিরল প্রজাতীর মাছ বলে মনে করেন। কিন্তু এটা বিরল নয়। দক্ষিণ আমেরিকাতে এটা সহজ লভ্য। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের মাছের খামারগুলোতে এই মাছ খুব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে- পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে এই মাছ খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সেখানের মৎস্য চাষীরা এই মাছ দ্বারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই তারা দেশটির সরকারের কাছে পরিত্রাণের জন্য আবেদন জানিয়েছে। সরকারও এই মাছ নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছে। সেখানে এ মাছের আঘাতে অন্য সব চাষ করা মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে সাধারণভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না চাষকৃত মাছ। বিপাকে পড়েছে মৎস্য চাষীরা।

সাকার মাউথ মাছ যে হারে উপকূলীয় এলাকায় ধরা পড়ছে তাতে বাংলাদেশের জন্যও আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত এই মাছের বংশ বৃদ্ধি রোধ না করতে পারলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে উপকূলীয় এলাকার মৎস্য চাষীরা।

এখন এই মাছ শুধু মাত্র নদী বা খালে নয়। দেখা যাচ্ছে পুকুরসহ বিভিন্ন মাছের ঘেরেও। তাই কিছুটা হলেও ভাবিয়ে তুলছে মৎস্য চাষীদের। মাছটির গায়ে ছোট ছোট কাটা রয়েছে। পিঠের উপরে ও দুই পাশে রয়েছে আরো তিনটি বড় কাটা। মুখের মধ্যে রয়েছে ধারাল দাঁত। এরা আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও বিভিন্ন ধরণের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। ডোরা কাটা দাগ ওয়ালা এই মাছ প্রথম দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছে।

কয়েক দিন আগে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ইন্দুরকানী গ্রামের মৎস্য চাষী শাহাদাত হোসেনের বাড়ির পুকুরে সাকার মাছ ধরা পরে। তার দুই দিন বাদেই আবার একই গ্রামের হারুন অর রশিদের বাড়ির পুকুরেও ধরা পরে এই মাছ।

শাহাদাত হোসেন জানান, সাকার মাছ ইদানিং প্রায়ই আমাদের এলাকায় দেখা যাচ্ছে। আগে এতোটা দেখা যেত না।

উপকূলজুড়ে যখন ২০০৭ সালের সিডরের আঘাতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। তখন থেকেই এই মাছ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় কম বেশি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় নদ নদীগুলোতে জেলেদের গড়া ও বাধে জালে এই মাছ ধরা পড়ছে বিভিন্ন সময়ে। এ ছাড়া শীত গ্রীষ্ম মৌসুমে উপকূলীয় এলাকার নদী খাল ও পুকুর গুলোতে এই মাছের বিচরণ দেখা যায়। স্থানীয় হাট বাজার গুলোতেও অন্যান্য মাছের সাথে বিভিন্ন সময়ে এই সাকার ফিস দেখা যায়।

ইন্দুরকানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহর কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাকার মাউথ মাছ আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এখনো জানা যায়নি। তবে এ মাছ নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা চলছে। এই মাছ খাওয়ার যোগ্য না। কিন্তু খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে। আবার সহজে মরেও না। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই মাছ এ্যাকুরিয়ামের শোভা বর্ধনের জন্যই আনা হয়েছিল এই দেশে। কিন্তু এখন সেটা আর এ্যাকুরিয়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নাই। প্রায়ই দেখা মিলছে জেলেদের জালে।’

স্পটলাইট

আপনার ত লিখুন :

 
ভারপ্রাপ্ত-সম্পাদকঃ শাকিব বিপ্লব
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮ | বরিশালটাইমস.কম
বরিশালটাইমস মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
ইসরাফিল ভিলা (তৃতীয় তলা), ফলপট্টি রোড, বরিশাল ৮২০০।
ফোন: +৮৮০২৪৭৮৮৩০৫৪৫, মোবাইল: ০১৮৭৬৮৩৪৭৫৪
ই-মেইল: barishaltimes@gmail.com, bslhasib@gmail.com
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮
টপ
  ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজের থেকে ডিভোর্স চাইলেন পরীমণি  বরিশালে ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে : ইসি  গরমে ঘুমের মধ্যেই মারা গেল শিশুটি!  রাস্তা বানাতে শতাধিক তাল ও খেজুরগাছ উপড়ে ফেললেন আ’লীগ নেতা  শারমিন আক্তার শিলাকে বিজয়ী করতে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ  বানারীপাড়ায় ২টি কলেজসহ ৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানের পদ শুণ্য : শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত  চাখারে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু  নেছারাবাদে ক্লিনিকে গর্ভবতীর মৃত্যু: চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৪  বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ধর্ষণ করলেন পুলিশ কর্মকর্তা  জমি নিয়ে বিরোধ: ২ তরুণীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ