বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করে দেশজুড়ে সমালোচিত হওয়া রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ সীমান্ত দিয়ে গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দেবহাটা সীমান্তবর্তী কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর থেকে নৌকায় পালিয়ে থাকা অবস্থায় একটি গুলিভর্তি পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সাহেদকে সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সকাল ৮টায় বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক গণমাধ্যমকে বলেন, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে হয়তো তাকে আর পাওয়া যেত না। তাকে গ্রেপ্তার করে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় হেলিকপ্টারটি রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে, গোপন সংবাদে র‌্যাব জানতে পারে, সাতক্ষীরার দেবহাটার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মোহাম্মদ সাহেদ ভারত পালিয়ে যাবেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা ওৎ পেতে থাকে। পরে ভোর ৫টার দিকে এক নৌকার ভেতর থেকে বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে রোগীদের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া এবং করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে র‌্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।