বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ অপরাহ্ণ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আকতার দুই মামলায় এ আসামির পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সাত দেহরক্ষী হলেন, দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে শামীমকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই মামলায় শামীমের ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তার আইনজীবী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর আবদুর রহমান হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ শনিবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. সাদেক জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ে তিনটি মামলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনে অভিযান চালিয়ে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। এ সময় নগদ এক কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজসহ অস্ত্র ও মদের বোতল জব্দ করা হয়।
মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তারের পর জি কে শামীমের নাম উঠে আসে। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।