গৌরনদীতে ফলাফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

গৌরনদী প্রতিনিধি >> ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ফলাফল ঘোষণার পর সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রার্থী হন খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস মৃধা (৪০) (টিউবয়েল) তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরজ আলী সরদার (৫০) (মোরগ)। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ফলাফল ঘোষণার পরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা চালালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বোমা হামলায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক আবু বকর ফকির (২৭) নিহত ও কমপক্ষে ১০ আহত হন।

বিজয়ী প্রার্থী খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গিয়াস মৃধা অভিযোগ করে বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থী মোঃ আরজ আলী সরদারের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার ভাড়াটে ৫০/৬০ জন সমর্থক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বোমা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক আবু বকর ফকির (২৭) শাহিদা বেগম (৩৪), সফিক (৩২), সুমনসহ (২২) ৭ জন আহত হন। গুরুতরভাবে আহত আবু বকর ফকির ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে আরজ আলী বলেন, ফলাফল ঘোষণার আগেই গিয়াস মৃধার সমর্থকরা বোমা হামলা চালিয়ে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ফলাফল নিজের অনুকূলে নেন। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাফিউল আলম বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আবু বকর নামে একজনকে নিয়ে আসলে তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পশ্চিম খাঞ্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৌরনদী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রের মধ্যে কোথায়ও সংঘাত বা সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। ফলাফল ঘোষণার পরে কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ হয়েছে।

কেন্দ্রের প্রিজাংডিং অফিসার ও টরকী বন্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্র নাথ বিশ্বাস পরাজিত প্রার্থীর আরজ আলীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফলাফল ঘোষণার আগে নয়, ফলাফল ঘোষনার পরে কেন্দ্রের বাইরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’