২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

চরফ্যাসনে চোর ধরে বিপাকে গ্রামবাসী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৯ অপরাহ্ণ, ৩১ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, চরফ্যাসন:: ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা থানার চর আর কলমী গ্রামে সুপারী চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন সুপারী বাগানের মালিক আবু তাহের মুন্সিসহ গ্রামবাসীরা। সুপারী চুরির সময় প্রতিবেশী কিশোর আল আমিনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে বাগান মালিক। কিশোর ‘চোর’ ধরা নিয়ে এখন বাগান মালিকসহ গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে গ্রামজুড়ে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা গেছে, ২৫ অক্টোবর, রোববার দিবাগত রাতে চর আর কমলী গ্রামের আবু তাহের মুন্সির বাগানে হানা দেয় কিশোর আল আমিন। সুপারী নামাতে গাছে উঠলে বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সি সুপারীসহ তাকে আটক করেন। আটকের পর আল আমিনের অভিভাবক এবং গ্রামবাসীদের খবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসী ও আল আমিনের অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ভাবে সমঝোতায় বসলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের একটি দল।

দক্ষিণ আইচা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী বরিশালটাইমসকে হাসান জানায়, শিশুকে চুরির অপবাদে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে-৯৯৯ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলেন তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কিশোর আল আমিনকে সুপারীসহ উদ্ধার করে বড় ভাই ইমনের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি সুপারী বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে এই ক্ষতিপূরণের ৩ টাকার জিম্মাদার হন স্থানীয় যুবক হারুন। পরদিন ক্ষতিপূরণের এই টাকা পরিশোধের কথা ছিল।

এদিকে শুক্রবার কিশোর আল আমিনের বড় ভাই ইমন বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় চাঁদা দাবি এবং পরিশোধ না করায় ছোটভাই কিশোর আল আমিনকে আটক এবং নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দক্ষিণ আইচা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। এই অভিযোগে বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সির জামাতা বাবুল, প্রতিবেশী ফুয়াদ এবং জিম্মদার হারুনকে আসামী করা হয়েছে। পাশাপাশি বাগান মালিক আবু তাহের মুন্সিও থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে কিশোর আল আমিন, বড় ভাই ইমন ও দুলালকে আসামী করা হয়েছে। দুলাল বাংলাদেশের একটি বিশেষ বাহিনীতে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে বাগান মালিকসহ গ্রামবাসীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মিলন কুমার ঘোষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অভিযুক্ত হারুনসহ গ্রামবাসীরা জানান, এই কিশোর ইতিপূর্বে চুরি করার সময় গরুসহ হাতে নাতে আটক হন। গ্রামজুড়ে নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরেছে সে। কিন্ত বয়স বিবেচনায় কেউ কিছু বলতে পারছে না। কিশোরের পরিবারও তাকে সংশোধনের উদ্যোগ না নিয়ে উল্টে গ্রামবাসীকে জব্দ করছে।

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান,কিশোর কর্তৃক বাগানের সুপারী চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। যা পুলিশের মধ্যস্থতায় নিষ্পত্তি করা হয়েছিল। এখন বাগান মালিকসহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি কিংবা কিশোর আল আমিনকে নির্যাতনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন