২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ঝালকাঠি প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় প্রস্তুত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৪ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০২০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: করোনা দুর্যোগের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির বাসিন্দারা। সুগন্ধা ও বিষখালী নদী বেষ্টিত এ জেলার মানুষ আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিষখালী নদীর বেড়িবাধ না থাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদী তীরের মানুষ। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘুমোট আবহাওয়ায় আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এদিকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য জেলার ২৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ৮৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়াও প্রয়োজনে সরকারি বিভিন্ন পাকা স্থাপনা ও প্রতিবেশীর পাকা ভবনেও আশ্রয় নেওয়া যাবে। আম্ফান মোকাবেলায় ৪০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। দুর্যোগের প্রস্তুতির জন্য রেডক্রিসেন্ট ও স্বাউটস সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। একাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনও আম্ফান মোকাবেলায় কাজ করবেন। ইতোমধ্যে সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের বাসিন্দাদের শতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করছেন জেলা তথ্য অফিস, রেডক্রিসেন্ট ও স্বাউকটস সদস্যরা।

বর্তমানে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে, বিপদ সংকেত বাড়লে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল হক। তিনি বলেন, সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ রয়েছে, তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ সামাল দিতে না পারলে সরকারি অন্যান্য পাকা স্থাপনা ও প্রতিবেশীর পাকাভবনেও আশ্রয় নিতে পারবে মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নদী বেষ্টিত উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় আঘাতহানার আগেই শতর্ক থাকার আহ্বান জেলা প্রসাশক মো. জোহর আলী। সভায় জানানো হয় ইতোমধ্যে জেলার ২৭৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের মানুষকে আবহাওয়ার সংকেত অনুযায়ী নিরাপদে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। বর্তমানে করোকালের ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, প্রয়োজনে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরো বাড়ানো হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলমসহ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুতিও রয়েছে ব্যাপক। শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নদী তীরের মানুষকে সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। বিপদসংকেত বাড়লে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন