২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন তরুণদের স্বপ্নের মাতৃভূমি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

বাপ্পি সেন গুপ্ত :: ঘরে বসেই আয়ের উৎসের সহজ উপায় এখন অনলাইন। কাজ জেনে নিজেকে গড়তে এটাই এখন সহজ উপায় বলে ধরে নিয়েছে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। বিষয়ভিত্তিক কোন একটা কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েই শুরু হতে পারে কর্মযজ্ঞ ও আয়ের উৎস।

নেক্সটজেন টেকনোলজি লিমিটেডের ইনোভেটর বাপ্পি সেন গুপ্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৮’। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আমাদের মত তরুণদের জন্য স্বপ্নের মাতৃভূমি। বাংলাদেশে প্রায় তরুণ উদ্যোক্তা এখন প্রযুক্তিতে নিজেকে তৈরী করছেন।

বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের বিশেষ অবদান রাখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের প্রায় তরুণরা যা কোনদিন কল্পনাও করেনি একসময় যা ছিল শুধুমাত্র স্বপ্ন তা আজ বাস্তবে রুপ পাচ্ছে শুধুমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে। অল্প বয়সেই খুব কাছাকাছি থেকে আমাদের মত তরুণরা অংশগ্রহণ করতে পারছি ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন ইনোভেটিভ কর্মসূচিতে, যেখানে মুল নেতার সাথে আমাদের দূরত্বটা কম থাকে যার ফলে খুব সহজে নতুন নতুন ইনোভেশনও তৈরী করতে পারছি আমরা। ফলে দেশ আরও গতিশীল হচ্ছে ডিজিটালে, আর এর একমাত্র ধারক ও বাহক আওয়ামিলীগ সরকার।

এখন দায়িত্ব আমাদের সবার, সমালোচনা নয় এখন তো কর্মের সময়। কারণ সবকিছু এখন আমাদের হাতের নাগালে। এটামাত্র ছোট উদাহরণ হল, একটা সময় ছিল আমরা ১ মেগাবাইট ডাউনলোড করতাম ৫ মিনিট বসে এখন ৫ মিনিটে ১০০০ মেগাবাইটও সম্ভব। প্রতিটি অভিভাবককে ভাল খারাপ দিক বুঝাতে হবে তার সন্তানকে, দ্বায় আর দায়িত্বের মান বুঝাতে হবে। স্কুল লাইফে মোবাইল শুধু একটি নয়, একটি কম্পিউটারও কিনে দেয়া উচিৎ যার ফলে সেই সন্তান কম্পিউটারে ব্যাস্ত থাকে নতুন কিছু শিখতে চেষ্টার প্রচেষ্টায় খারাপ পথে মনোনিবেশ করার কথা চিন্তাও করবে না। একসময় তার মধ্যে নতুন নতুন ধারণা আসবে মনোনিবেশ করবে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে হয়ত একসময় সে হয়ে উঠবে কোন একটা ইনোভেশনের প্রতিষ্ঠাতা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনীতি,কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করে সব মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সমান সুযোগ তৈরী করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে হল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সুযোগ সুবিধা জনসাধারণের কাছে সহজ সাধ্য করে জনজীবনকে আরামদায়ক করে তোলা।

তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন ধারাকে উন্নত করাই হচ্ছে এদেশের তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও নীতি নির্ধারকদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার ও জনসাধারনকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে আর সে সব চ্যালেঞ্জ এর জন্য আমাদের যে সকল প্রস্তুতি দরকার একটা দেশের সরকারের পক্ষে তা একা সম্ভব নয়। আমরা যারা সমাজের নানা পেশায় জড়িত তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সচেতনতার ধারা সৃষ্টি করে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

তবে অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, থাকতে হবে ধৈর্য ও অভিজ্ঞতা। প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে তৈরী করতে হবে নিজেকে দক্ষতার শেকর থেকে।

ঘরে বসে থাকা শিক্ষিত মহিলাদের ব্যাপকহারে তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে কারন তথ্য প্রযুক্তি জানা মায়েরাই তাদের সন্তানদেরকে আগামীদিনের দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খন্ডকালীন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করতে হবে যা তাকে ভবিষ্যতের কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে কাজ করতে সাহায্য করবে। যার ফলে রেমিটেন্স আয়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ আবার না জেনে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ভুল পথে তাদের জন্য আরও কিছু ভাল ইনোভেশন ও সহজ উপায় তৈরী করতে হবে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। সে পথে তাদেরও নিয়ে আসতে হবে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নেক্সটজেন টেকনোলজি লিঃ এমন সকল নতুন উদ্যোক্তাদের সবসময় তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করবে বলেও তিনি জানান।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন