জানা গেছে, উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের মনিরের ছেলে সবুজের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আলমগীরের মেয়ে খারুনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়েরপর থেকে উভয় পরিবারের মধ্যে কোন্দল লেগেই থাকতো।
সবুজ জানান, দেড় বছর আগে খায়রুনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়েরপর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন অনেক ভালো কাটছে। তবে তার শ্বশুর সবসময় চেয়েছেন সবুজ ঘর জামাতা হিসেবে থাকুক। ঘর জামাতা হিসেবে রাখতে সবুজকে একাধিকবার মারধরও করেছে। সোমবার সকালে সবুজের স্ত্রী খায়রুন তাদের বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে আসারপর তার শাশুড়ি নুর নাহার তাদের বাড়িতে এসে খায়রুনকে শাসিয়ে যায়।
বিবি মরিয়ম জানান, ছেলে সবুজ বিয়েরপর থেকে শ^শুর বাড়িতে ঘর জামাতা হিসেবে রয়েছেন। সোমবার ছেলের বউ খায়রুন বাড়িতে আসলে বেইয়ান নুর নাহার তার বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায়। ঘটনার দিন মঙ্গলরাব সমিতির কিস্তি দিয়ে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে বেইয়ান নুর নাহার ও বেই আলমগীর লাঠিসোটা দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রতা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে এনে বর্তী করান।
এদিকে আলমগীর জানান, আমরা বিবি মরিয়মকে কোন মারধর করেনি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে। তবে আমার স্ত্রী নুর নাহারের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে বিবি মরিয়মের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখান থেকে আমি স্ত্রী নুর নাহারকে নিয়ে আসি।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, এঘটনা একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’