বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। এর ফলে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আর অংশগ্রহণ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের আবেদন তিনটি খারিজ করে দেন। এ বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে যে আবেদন তারা করেছিলেন, তাও খারিজ করে দেন বিচারক।

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনটি আসনে বেগম জিয়ার প্রার্থিতার বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি প্রার্থিতা বৈধ বললেও কনিষ্ঠ বিচারপতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিলেন।

খালেদা জিয়ার মনোনয়নের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশের পর গত সপ্তাহে এই একক বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

কমপক্ষে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না- আদালতের এমন আদেশের পরও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১ এবং বগুড়া -৬ ও ৭ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু দুর্নীতির দুই মামলায় ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১২’র ১’র ঘ ধারা অনুযায়ী তিনটি আসনেই তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। পরে এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

নির্বাচন কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করলে হাইকোর্টে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশের পর বিষয়টি যায় তৃতীয় বেঞ্চে। তবে সেখানে রিটটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।