নৌকায় ভোট দেওয়ায় বিএনপি কর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ভাঙলো একাদশ ২য় বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেনের (১৮)। ৩ জানুয়ারি বেতাগী থানার কাউনিয়া বাজারের পাশে রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট  সূত্রে জানা গেছে- এলাকার সেলিম শিকদারের ছেলে বিএনপির কর্মী রুবেল, জালাল জমাদ্দারের পুত্র কবির ও মৃতু মুছা ফরাজির ছেলে মাহাদুল ফরাজী কাউনিয়া বাজরের পাশে ডেকে নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধর পিটিয়ে মাথা থেতলে ফেলে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এলে রক্তাক্ত অবস্থায়  ইমরানকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রসীরা। সে সময় তার মাথা দিয়ে অতিরিক্ত রক্ত বেরহচ্ছিল।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাজারের ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ইমরানকে বেতাগী হাসপাতালে নেয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ দেখে সেখান থেকে তাকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতালের ডাক্টাররা। রোগীর অবস্থা সিরিয়াস দেখে বরিশাল মেডিকেল থেকেও ইমরানকে তারাহুরো করে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন ডাক্টাররা।

বর্তমানে ইমরান ঢাকা মেডিকেলে নিউসার্জারী বিভাগের ১০৩ নাম্বার বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ডাক্টার জানিয়েছে, ‘হাতুড়িরর পিটানে তার মাথা থেতলে নিচে নেমে গেছে। ব্রেনে আঘাত পেয়েছে।’

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপির কর্মী রুবেল, কবির ও মুছা ইমরানকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে বেধর পিটিয়েছেন।

এ ব্যপারে ইমরানের খালু ইউনুস গাজী বলেন, ‘ শুধু আওয়ামীলীগের হয়ে নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে তাকে ডেকে নিয়ে বিএনপির সন্ত্রাসি রুবেল, কবির ও মুছা ইমরানকে মেরেছে। এর আগে তাকে হুমকিও দিয়েছিল ‘তুই  আ,লীগের হয়ে কাজ করলে মেরে ফেলবে, তাই করেছি’। তিনি বলেন ‘এ ব্যাপারে বেতাগী থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়াকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি ও ইমরানের রক্তাক্ত শরীর দেখিয়েছি। তিনি হাসপাতালে চিকিসার পর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা ও কর্মীরা খোভে ফেঁটে পড়েছেন। তারা প্রসাষনের কাছে সন্ত্রসীদের ধরে দ্রুত বিচার দাবী করছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বিএনপির সন্ত্রাসী তিন কর্মী রুবেল, কবির ও মুছা  এখন পলাতক রয়েছেন। তাদের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।’