২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পটুয়াখালীতে তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, ২৪ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বাজারে তরমুজ থাকলেও নেই ক্রেতা, পাইকাররাও দিচ্ছেন না দাম। তাই বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ। পচনশীল হওয়ায় নামে মাত্র দামে পাইকারদের কাছে তরমুজ বিক্রি করছেন পটুয়াখালীর কৃষকরা। জানা গেছে, এবার এই জেলায় প্রচুর তরমুজ উৎপাদন হয়েছে, তবে দাম খুব কম। তরমুজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষকরা, পড়ছেন লোকসানের মুখে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, তরমুজ পাইকারি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহন খরচই উঠছে না। ফলে কৃষকদের মাথায় হাত, তরমুজ চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

পটুয়াখালী চরবিশ্বাস গ্রামের কৃষকরা জানান, যারা খেত কিনে রেখেছিলেন বৈরি আবহাওয়ার কারণে তারা গত দুদিন অপরিপক্ক তরমুজসহ সব তরমুজ কেটে বাজারে তুলেছেন। ফলে বাজারে তরমুজ সরবরাহ থাকলেও ক্রেতা নেই, আবার কাঁচা থাকার কারণে সাধারণ ক্রেতারাও তরমুজ কিনছেন না। পাশাাপশি খেতে এখনও ৪০ থেকে ৫০ ভাগ তরমুজ রয়েছে।

কৃষকরা আরও জানান, কয়েক দিন আগেও এক ট্রাক তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৭/৮ লাখ টাকায়। এখন তা ২/৩ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে খেতের তরমুজ ৪-৫ দিনের মধ্যে পেকে যাবে। তখন তরমুজ সরবরাহ আরো বাড়বে। তখনো দাম কম থাকলে কৃষকেরা পকেটের টাকা গচ্চা দিয়ে পরিবহন খরচ করে তরমুজ নিয়ে হয়তো বাজারে যাবেন না। তখন খেতেই পঁচে যাবে সব তরমুজ।

কৃষক হাকিম সরকার বলছেন, কয়েক দিন আগে সবচেয়ে ভালো মানের ৮/১২ কেজি ওজনের ১০০টি তরমুজ পাইকারি বিক্রি ছিল ৪ হাজার টাকা। যা এখন কমে হয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। যা দিয়ে উৎপাদন খরচও উঠবে না। এরপর তা পরিবহন খরচ করে বাজারে নেওয়াতো আর সম্ভব না।

পটুয়াখালীতে এবার আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে উৎপাদিত এ ফসলের দাম না পেয়ে লোকশানের আশঙ্কা করেছেন কৃষকেরা।’

192 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন