বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৪০ অপরাহ্ণ, ১৫ মে ২০২২
আপডেট:
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পিরোজপুর:: বাড়ির পাশের একটি আমগাছে ঝুলছিল দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূর লাশ। স্বজনরা জানান, ওই গৃহবধূ ক্ষোভ ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ কেনাকাটা করতে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় গেলে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার সকালে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। রাতে নাজিরপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ওই নারীর স্বামী একটি মামলা করেছেন ।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। এ কারণে ‘ক্ষোভ ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন’ তার স্ত্রী।
মামলার পর শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মো. সজল মোল্লা (২৫) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সজল মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রামে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- বিভিন্ন সময় কেনাকাটার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া যাওয়ার পথে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করতেন নাজিরপুর উপজেলার ততুবাড়ি গ্রামের মো. জিসান (২৭) নামে এক যুবক। গত শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূ কোটালীপাড়ায় গেলে জিসান তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে জিসানসহ পাঁচজন তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁকে কোটালীপাড়ার লিংক রোড এলাকায় ফেলে রেখে যান।
এজাহারে বলা হয়, রাতে বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ এ ঘটনা তাঁর স্বামীকে জানান। সেই রাতেই বাড়ির পাশের একটি আমগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ওই নারীর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশালটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সজল মোল্লা নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
