২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পুলিশের চোখে ধুলো দিতে দাড়ি কেটে ছদ্মবেশ ধারণ করে সাইফুর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:১৯ অপরাহ্ণ, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগকর্মী। ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সে দাড়ি কামিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। তার মুখভর্তি দেড় ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা দাড়ি থাকলেও আত্মগোপনে গিয়ে তা কেটে ফেলে। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর দেখা যায় সাইফুরের মুখে দাড়ি নেই।

পুলিশ জানায়- গত দুদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে নিজের চেহারায় পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি, ধারণ করেন ছদ্মবেশ। তার মুখে দাড়ি না থাকায় অবাক হন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা।

অভিযানে অংশ নেওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সাইফুরের মুখে লম্বা দাড়ি থাকলেও গ্রেপ্তার এড়াতে তা কেটে ফেলেন। চুলও ছোট করে করেন তিনি। তবে ছদ্মবেশ ধরেও শেষ রক্ষা হয়নি সাইফুরের।

সিলেটের বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী গণধর্ষণ এবং অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি।

শুক্রবার এমসি কলেজের হোস্টেলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সাইফুরসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় সাইফুরকে হস্তান্তর করা হয়।

শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সাইফুরের মুখে লম্বা দাড়ি থাকলেও গ্রেপ্তার এড়াতে তা কেটে ফেলেন। এবং চুলও ছোট করেন তিনি। তবে ছদ্মবেশ ধরলেও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাননি সাইফুর।

এর আগে সকাল রোববার সকাল ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকা থেকে মামলার চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ নিয়ে মামলার দুই আসামি গ্রেফতার হলো। দুজন আসামি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়- শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ৬/৭ নেতাকর্মী। এরপর দুইজনকে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে স্বামীকে আটকে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এদিকে রোববার দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে জবানবন্দি দেন নির্যাতিত গৃহবধূ। এরপর তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। পুলিশ রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করে।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন