২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পুলিশ কনস্টেবল আনিচ মাদক বিক্রিতে জড়িত, গ্রেপ্তার খবরে জনমনে স্বস্তি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৮ অপরাহ্ণ, ১৭ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে জেলহাজতে যাওয়া বরিশাল নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) কনস্টেবল আনিচুর রহমান মৃধা মাদক বিক্রিতেও জড়িত। তিনি শ্বশুর বাড়ি শহরের ভাটিখানা গাউয়াসর এলাকায় বিশাল একটি মাদকে সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। প্রতিমাসে তিনি সেখান থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নেন বলে শোনা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার তাকেসহ তিন পুলিশ ও প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তারের পরে এসব তথ্য-উপাত্ত্ব বেড়িয়ে এসেছে।

কনস্টেবল আনিচুর রহমান মৃধা পটুয়াখালীর কাশিাপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। কিন্তু তিনি গাউয়ারসর এলাকার সার্ভেয়ার মানিকের মেয়েকে বিয়ে পরে সেখানেই ঘরজামাই থাকতেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে- ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেন ওরফে ইয়াবা দেলোয়ার ও মাসুম বিশাল একটি মাদক চক্রের নিয়ন্ত্রক। দীর্ঘদিন ধরে তারা ওই এলাকাসহ আশপাশ এলাকাতেও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। এই চক্রটির সাথে সম্পৃক্ত থেকে সিটিএসবির কনস্টেবল আনিচ তাদেরকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। বিপরীতে তিনি প্রতিমাসে মোটা অংকের উৎকোচ নিতেন।

গত বছর তাদের মধ্যে দেলোয়ারকে শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে ইয়াবার একটি বড় চালানসহ গ্রেপ্তার করেছিলেন ডিবি পুলিশের এসআই হেলালুজ্জামান। ওই সময় তাকে জামিনে মুক্ত করতেও এই আনিচ সহায়তা করেন।

অপর একটি সূত্র জানায়- আনিচুর রহমান পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসায়িদের সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি পুলিশ হওয়ার কারণে কেই তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখায়নি।

আবার কেউ মুখ খুললেও তাকে নানাভাবে হয়রানি করতেন তিনি। গত মঙ্গলবার এই পুলিশ কনস্টেবলের গ্রেপ্তার খবর ভাটিখানাবাসীকে স্বস্তি দিয়েছে।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা তার মাদকে জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্র জানায়- গত ১১ জুলাই ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বরিশাল সমাজসেবা অফিসের কম্পিউটার অপারেটরকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় কনস্টেবল আনিচসহ তিন পুলিশ ও তাদের তিন সহযোগী।

অভিযোগ পেয়ে ডিবি পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ৬জনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের পরবর্তী তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’

24 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন