নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল:: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় এক ভণ্ড ফকিরের ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি লুকোচাপা রাখতে তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু বিধিবাম। বাসর ঘরে স্বামী জানতে পারলেন তার নতুন বউ অন্তঃসত্ত্ব। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই ভণ্ড ফকির কাঞ্চন আলী হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে। খোদ পুলিশকেও হকচকিয়ে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বকশিরচর গ্রামে।

জানা গেছে- একই গ্রামের মৃত রেজাউদ্দিন হাওলাদারের পুত্র কথিত ফকির কাঞ্চন আলী হাওলাদার ঝাড়-ফুঁকের কাজ করেন। সাম্প্রতিকালে দিনমজুরের কিশোরী মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন আসলে তাকে কাঞ্চনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় দিনমজুরের মেয়েকে ঘরে নিয়ে গোপন চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ধর্ষণ করে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে ভণ্ড ফকির প্রতিশ্রুতি অনুসারে গত ১৫ নভেম্বর একই ইউনিয়নের বেপারী বাড়ির এক ছেলের সাথে দিনমজুরের মেয়েকে বিয়ে দেয়। নববধু অন্তঃসত্ত্বা এই বিষয়ে লুকোচাপা রাখা হলেও বাসর রাতে স্বামীর কাছে ধরা পড়ে যায়। এনিয়ে গত ৫ দিন ধরে বর ও কনে উভয় পরিবারের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে একপর্যায়ে বুধবার মেয়ের বাবা বিষয়টি থানা পুলিশে অভিযোগ আকারে অবহিত করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভণ্ড ফকির কাঞ্চন আলী হাওলাদারকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম বরিশালটাইমসকে বলেন, এই ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলা করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কাঞ্চন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।