২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বেতাগীতে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংখ্যালঘু লাঞ্ছিত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, ০৭ এপ্রিল ২০২১

বেতাগীতে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে সংখ্যালঘু লাঞ্ছিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বেতাগী >> বরগুনার বেতাগীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক সংখ্যালঘুকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্ছনার শিকার উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শঙ্কর মিস্ত্রি একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম সুজন মল্লিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শঙ্কর মিস্ত্রি গত সোমবার (০৫ এপ্রিল) তার মেয়ে পূর্ণিমা রাণীর জন্ম নিবন্ধনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম সুজন মল্লিকের বাসায় যায়। পূর্ব থেকেই চলমান ইউপি নির্বাচনী জেরে এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সুজন মল্লিক হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে শঙ্কর মিস্ত্রীকে গাল মন্দ করতে থাকেন। তখন শঙ্কর মিস্ত্রি তাকে গাল মন্দ করার কারণ জানতে চাইলে সুজন চেয়ারম্যান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তার গালে কয়েকটা চড় দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, তারা দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। এই নির্বাচনে তারা নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু এতে বেতাগী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমান ইউপি নির্বাচনে মোকামিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব আলম সুজন মল্লিক তার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত রয়েছে।

ভুক্তভোগী শঙ্কর মিস্ত্রি বলেন, আমার বড় ভাই মোকামিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি এবং আমার ভাই শুরু থেকেই নৌকার নির্বাচন করে আসছি। এরই জেরে আমি আমার মেয়ের জন্মনিবন্ধনে স্বাক্ষর আনতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে গাল মন্দ এবং চড় থাপ্পর মারে।

শঙ্কর মিস্ত্রির মেয়ে পূর্ণিমা রাণী বলেন, আমার বাবা আমার জন্মনিবন্ধনের জন্য স্বাক্ষর আনতে গেলে সুজন চেয়ারম্যান তাকে গাল মন্দ এবং চড় থাপ্পর মারে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম সুজন মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, আমি শঙ্কর মিস্ত্রিকে কোন প্রকার গাল মন্দ কিংবা চড়-থাপ্পর দেই নি। সে তার মেয়ের জন্মনিবন্ধনে স্বাক্ষর নিতে এলে আমি তাকে স্বাক্ষর দিয়ে দেই। এর পর সে চলে যায়। আমার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই আমার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যাবে। ইউপি নির্বাচনী মাঠে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মহল এসব মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, সুজন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শঙ্কর মিস্ত্রি নামে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকন বলেন, সংখ্যালঘু লাঞ্ছিতের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন