২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বেতাগী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপহরণ চেষ্টা: থানায় আশ্রয়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:১৩ অপরাহ্ণ, ১৮ জুন ২০২১

বেতাগী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অপহরণ চেষ্টা: থানায় আশ্রয়
বরগুনা প্রতিনিধি >> বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম সুজনকে প্রতিদ্বন্দ্বী   নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জালাল গাজীর কর্মী- সমর্থকেরা অপহরণের চেষ্টা চালানোর পর তিনি আত্মরক্ষার জন্য বেতাগী থানায় আশ্রয় নিয়েছেন।
মাহবুবুল আলমের অভিযোগ,  বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ব্যক্তিগত কাজে মাইক্রোবাসে করে বরিশাল যান।  ফেরার পথে  বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে  বেতাগীর ঝোপখালী সেতু এলাকায় তাঁকে বহনকারী গাড়িটি  পৌছালে সেখানে অপর একটি মাইক্রোবাসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আগে থেকেই অপেক্ষমান ছিলেন বেতাগী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে  প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বেশ কয়েকজন সমর্থক। এসময় ওই গাড়ি থেকে তাঁর গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর গাড়িটিকে ধাওয়া করলে তিনি দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেতাগী থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে  মাহবুবুল আলমের বাড়ি এবং আশপাশে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁর  কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এতে তাঁর  পরিবারের স্বজনরা স্বজন এবং তার কর্মী-সমর্থকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মোকামিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জালাল গাজীর ভাতিজা মো. রাজিব, এবং মোকামিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন  জোয়ার করুণা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী  মাহবুবুল আলম সুজনের বাড়ির সামনে অবস্থান করছেন।একই এলাকার খানেরহাট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা চেকপোস্ট বসিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মারধর এবং তাঁর বাড়িতে যেতে  বাধা দিচ্ছেন।
জোয়ার করুণা গ্রামের বাসিন্দা মো. বারেক মল্লিক জানান, তারা গত তিনদিন ধরে  বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। এমনকি   গবাদি পশু মাঠে চরাতে পারছেন না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন দিনরাহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকা পাহারা দেয়। এজন্য  দিন রাত ২৪ ঘণ্টার বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকতে হচ্ছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব আলমের চাচা সাবেক ব‍্যাংকার মো. সোহরাফ হোসেন (৬০) অভিযোগ করেন,  নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ভাইয়ের ছেলে  মো. রাজিব আমাদের বাড়ির সামনে এসে শাসিয়ে গেছেন আমরা যাতে ঘর থেকে বের না হই। এসময় তারা  আমার ভাইেয়র ছেলে  মাহবুবুল আলমকে খুন করার হুমকি দেয়।
মাহবুবুল আলম সুজন  বলেন, আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।  বরিশাল থেকে   বাড়ি ফেরার  পথে আমার গাড়ি ধাওয়া করেন যুবলীগ সভাপতি জহিরুল ও প্রতিদ্বন্দ্বী জলিল গাজীর সমর্থকেরা।  তাই বর্তমানে থানায় অবস্থান করছি। তারা হুমকি দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে না দাড়ালে   আমার সন্তানদের তুলে নিবে। সর্মথকদের প্রতিদিন মারধর করা হচ্ছে। কেউ বাইরে নামতে পারছে না।
অভিযোগের বিষয়ে জানেত  চেয়ে নৌকা প্রতীকের  প্রার্থী মো. জালাল গাজী মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার  কল দিলে তিনি ফোন ধরেননি।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  কাজী সাখাওয়াত হোসেন  বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক একটি টিম ওখানে কাজ করছে। ওই ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে  পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। মাহবুবুল আলম সুজন, তাঁকে অপহরণ চেষ্টা করা হয়েছে মর্মে  থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন