২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ব্যাঙ ঠেকাতে ইঁদুরের ‘শল্য চিকিৎসা’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:২৮ অপরাহ্ণ, ২০ নভেম্বর ২০১৯

বহু বছর ধরে এক প্রজাতির বিষাক্ত ব্যাঙের আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করছিলো বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তারা তেমন সফলতা পাচ্ছিলেন না। সর্বশেষ বিজ্ঞানীদের আশার আলো দেখালো স্থানীয় একদল ইঁদুর। ‘রাকালি’ নামের এই প্রাণীটি যে প্রক্রিয়ায় তা করেছে, তা অবাক করার মতো।

দেখা যায়, বিষে আক্রান্ত হওয়া এড়াতে ইঁদুরগুলো, ব্যাঙগুলোর শরীরের হৃদপিণ্ড এবং যকৃৎ আলাদা করে ফেলে খাবারের ভোজ করেছে। উভচর ব্যাঙটির এই অংশগুলো বিষাক্ত নয়। ইঁদুরের করা এই ‘শল্য চিকিৎসার’ ব্যাপারটি মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাকালি ইঁদুর হচ্ছে স্তন্যপ্রাণী প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র প্রাণী যে, নিজের ক্ষতি এড়িয়ে বিষাক্ত ক্যান টোড ব্যাঙগুলোকে হত্যা করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ক্যান টোড ব্যাঙ আনা হয় ১৯৩৫ সালে। এরপর এগুলো বংশবৃদ্ধি করে ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার কিমবার্লে অঞ্চলে চলে আসে। এরপর থেকে এসব ব্যাঙ ওই এলাকা বেশ কিছু শিকারি প্রাণীর ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠেছে।

কুমির, কোয়ালা (ছোট ধরণের প্রাণী যেগুলোর পেটে থলি থাকে) এবং লিজার্ড বা টিকটিকি ঘরানার প্রাণী ওই এলাকা থেকে বিলুপ্ত হতে বসেছে, কারণ এরা সবাই ওই ব্যাঙ খেয়েছিল।

জানা যায়, এসব ব্যাঙের কানের কাছাকাছি একটি গ্রন্থিতে বিষ থাকে- যার সামান্য একটুও অনেক বুনো বা গৃহপালিত প্রাণীর জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এ থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীরা এর আগে শিকারি প্রাণীগুলোকে খুব ছোট আকারের ক্ষুদ্র আকারের এই ব্যাঙ খাওয়াতেন। এর ফলে প্রাণীগুলোর পাকস্থলীতে গিয়ে সেগুলোতে অসুস্থ হয়ে পড়তো।

 বিষাক্ত ব্যাঙের হামলা এড়িয়ে সেগুলোকে খেতে শিখেছে অস্ট্রেলিয়ার পানির ইঁদুর

এভাবে এ জাতীয় ব্যাঙ না খেতে প্রাণীগুলোকে শেখাতেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার আরেকটি নতুন উপায় দেখিয়ে দিলো রাকালি ইঁদুরগুলো।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন