৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

মহাসড়কে অবৈধ দোকান সরাতে পারছে না প্রশাসন, চাঁদা নেয় প্রভাবশালীরা

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৭ অপরাহ্ণ, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মহাসড়কে অবৈধ দোকান সরাতে পারছে না প্রশাসন, চাঁদা নেয় প্রভাবশালীরা

সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল ॥ বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের জায়গা দখল করে সড়কের মধ্যে দুইপাশ দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে চড়া দামে ভাড়া দিয়ে আসছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে গেলেই দেখা যাবে দখলদারিত্বের চিত্র।

কলেজের মূল গেট সহ প্রবেশপথ দখল করে বাস কাউন্টার, গ্রেস সহ শত শত দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এমনকি দখলদারেরা কলেজের প্রাচীর দখল করে নিয়েছে। সরকারি কলেজের সামনে চা সিগারেট এর দোকান গুলোতে বাস স্ট্যান্ড মুখি মানুষের আনাগোনায় জটলার সৃষ্টি হয়।

কলেজে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক শিক্ষার্থীরাই হাতের নাগালে পাচ্ছে সিগারেট জড়িয়ে পড়ছে ধূমপানের সাথে। ওই সকল অবৈধ দোকানদারেরা তাদের ময়লা আবর্জনা বর্জ্য কলেজের মাঠে ফেলে আসছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এসব অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন দখলদারিত্ব বেড়েই চলছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ স্থাপনা গুলো গড়ে উঠেছে এখানে আড়ালে অবৈধ টাকা লেনদেন হচ্ছে।

ফলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বরিশাল -পটুয়াখালী মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা ও দোকান সরাতে পারছে না। অপরদিতে বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড না থাকায় ঐ সড়কের উপরেই জেলা আন্তঃজেলা যানবাহনে যাত্রীদের সড়কের উপরে দারিয়েই উঠা নামা করতে হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাস স্ট্যান্ড নির্মাণ করলেও ঐ স্ট্যান্ড রয়েছে নামে মাত্র।

বাস স্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনী, পাবলিক টয়লেট সহ বাস কাউন্টার গুলো ভিআইপি হোটেল রেস্তোরা দোকানপাট। এ সকল অবৈধ স্থাপনা গুলো থেকে মাসে ৫ লক্ষ টাকার উপর ভাড়া ও চাঁদা নিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত রয়েছে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারাও। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে যানবাহনের চাপ বাড়লেও সড়ক প্রশস্ত করা হয়নি।

এমনকি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এর কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এসব কারণেই প্রায়ই ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা অকালে ঝড়ে প্রাণ। এতে পৌর শহরের প্রধান প্রবেশপথ সদর রোডের মুখে যানজট লেগেই থাকে চরম দূর্ভোগে পরে পথচারীরা। মহাসড়কসহ আশপাশ এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা।

জেলা প্রশাসন ও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন পুরো সড়কি দখলদারদের কবলে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা, ব্যহত হচ্ছে পথচারীদের চলাচল। পথচারীরা জানান, পুলিশের সামনেই অবাধে চলছে এসব দোকানপাট। কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফুটপাত সহ চলাচলের রাস্তা দখল করে বসেছে দোকানপাট।

মহাসড়কের দুইপাশেই দখল করে অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা থ্রি হুইলার এর স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে চাঁদা উত্তোলন করে মাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কয়েকটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। হাইওয়ে পুলিশ সহ স্থানীয় প্রশাসনের সামনে চলছে এমন ঘটনা।

এ চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন পথচারী জনসাধারণ। ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের টাকা দিয়েই মহাসড়কের জায়গা দখল করে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

সহকারি কমিশনার ভুমি এ্যাসিলেন্ট কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিঘ্রই সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যাবস্থা গ্রোহন করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে বার বার প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিলেও কোন সুফল পাচ্ছেন না পথচারীরা। ফলে প্রতিটি দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবহেলাকে দায়ী করছেন পথচারী ও সাধারণ মানুষ।

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন