২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

‘মিথ্যা মামলায়’ জেল খাটলেন শিক্ষক

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

‘মিথ্যা মামলায়’ জেল খাটলেন শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় স্কুল শিক্ষককে জেল খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমিজমার জেরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাগমারা উপজেলার চাপড়া মোহামম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এটিএম তোজাম্মেল হক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা লুৎফর রহমান বাগমারার হাসনিপুর গ্রামের সাবের আলীর থেকে ৫ শতাংশ জমি কিনে নেন। পরে আমার বাবা আমাকে সেই জমি দান করেন। এরপর থেকেই জমির খাজনা-খারিজসহ সকল কাগজপত্র আমার নামে রয়েছে।

কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় গণিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম ওই জমি মাসুম কবিরের থেকে কিনে নিয়েছেন বলে জাল দলিল করেন। সেই জাল দলিলের মূলে শামসুল জমিটি কামরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এরপর তারা দুজনে মিলে ওই জমিটি দখল করেছেন।’

তোজাম্মেল হক জানান, ওই জমিতে তার একটি টিনসেডের বাড়ি এবং গাছপালাসহ চারিদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরাও করা ছিল। সেই বাড়ি ভাঙচুর করেছে শামসুল ইসলাম। এ নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন তিনি।

আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ১ জানুয়ারি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং গাছাপালা কেটে জমিটি দখল করে নেন শামসুল।

এরপর গত ৭ জানুয়ারি তোজাম্মেল হককে গোপালপুর মোড় থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আটক করে বাগমারা থানা পুলিশ। থানায় যাওয়ার পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তোজাম্মেল হক, তার ছেলে, এক ভাইসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলায় তোজাম্মেল হকের বয়স দেখানো হয়েছে ৫৫ বছর, তবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তোজাম্মেল হকের বয়স ৭০ বছর।

তোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ ভূমিদস্যুদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে এই বয়সে আমাকে জেল খাটাল। এখন বাড়িতে গিয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।’

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, সেই কারণে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন কিনা সেটি বড় বিষয় নয়।

তার বিরুদ্ধে জমি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত না হলে তিনি খালাস পাবেন।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন