আজ বুধবার বিকেলে ঢাবির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীতে মোদির মতো জঙ্গিবাদী নেতা যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে অপমানিত করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে অসম্মান করা হবে।’
ভিপি নুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলের নেতা নন, তিনি সকল দলের নেতা। তার জন্মদিনে কখনই মোদি আসতে পারে না। আর যদি মোদি আসে তাহলে ছাত্রসমাজের রক্তের গঙ্গা বয়ে যাবে। মোদির মতো কোনো জঙ্গিকে আমরা কখনই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মতো মহৎ অনুষ্ঠানে দেখতে চাই না। ভারতের প্রণব মূখার্জীকে দাওয়াত করা হয়েছে। এজন্য তাকে আমরা স্যালুট জানাই একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক দিকে থেকে এগিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সভ্য। বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনেক কিছু শেখার আছে। ভারতে যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাবো, অন্ধভাবে ভারত শোষণের নীতি বাদ দিয়ে আপনারা আন্তর্জাতিকভাবে জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক তৈরি করার জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘দেশ এবং দেশের বাহিরে যেখানেই কোনো সাধারণ মানুষ তথা সাধারণ শিক্ষার্থী তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় কিংবা অবহেলিত হয় সেখানেই বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের পাশে দাঁড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘আজ ভারতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু মোদি আমাদের বন্ধু নয়। ভারতে মোদি সরকার যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করেছে তা এ বাঙলার ছাত্র সমাজ মেনে নিবে না।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, মশিউরসহ শতাধিক নেতাকর্মী ।
জাতীয় খবর