২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০০ অপরাহ্ণ, ১২ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক দৌলতখান:: যৌতুক না দেওয়ায় ভোলার দৌলতখানে রোজিনা (২২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলাকোপা গ্রামের নুরুল ইসলাম বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নিজামউদ্দিন পলাতক রয়েছে। রোজিনা উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটধলী গ্রামের মৃত কাঞ্চনের মেয়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রোজিনার বড় ভাই রিয়াদ বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।রোজিনার মা

সুলতানা বরিশালটাইমসকে জানান, তিন বছর আগে উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কলাকোপা গ্রামের নুর ইসলাম বেপারীর ছেলে নিজামউদ্দিনের সঙ্গে তার মেয়ে রোজিনার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। নিজাম পেশায় একজন ড্রাইভার। বিয়ের সময় তাকে একলাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ দেয়া হয়। এরপরও বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নিজামউদ্দিন যৌতুকের দাবিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে রোজিনাকে। পরে যৌতুকের বিষয়ে পরিবারের লোকজন অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো নিজামউদ্দিন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা জানান, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে তাদের সংসার জীবন ভালো কাটেনি। বিবাহর এক বছরপর তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। যার নাম জোবায়ের। জোবায়ের বর্তমান বয়স ১৮ মাস। বাচ্চা হওয়ার পর রোজিনা ভেবেছিলেন নিজামউদ্দিন অনেকটা ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু নিজামউদ্দিন উল্টো রোজিনাকে যৌতুকের জন্য আরও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে রোজিনাকে ২০ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে নিজামউদ্দিন। টাকার বিষয়ে পরিবারের লোকজন অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী নিজামউদ্দিন রোজিনাকে আগুনে পোড়া লাটি দিয়ে বেধড়ক মারধরে তার শরীরে রক্তাক্ত জখম হয়ে যায়। এতে করে রোজিনা জ্ঞান হাঁরিয়ে পেলে। পরে বিষয়টি প্রতিবেশিরা টের পেয়ে রোজিনাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে এনে বর্তী করান।

অন্যদিকে অভিয্ক্তু নিজামউদ্দিনের মতামত জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে সিহাব নামের একজন কল রিসিভ করে বলেন, তিনি ফোন চার্জে রেখে গেছেন।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলার রহমান জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন