২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিশুকে গলাটিপে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন মা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২২ অপরাহ্ণ, ২৭ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: কোনো অপহরণ নয়, বরং নিজের সন্তানকে গলাটিপে খুন করেন মা। পরে শিশুটির লাশ ফেলে দেন আবাসনের পেছনে একটি সেপটিক ট্যাংকে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেলেঘাটা অপহরণকাণ্ডের পর্দা ফাঁস করেছে কলকাতা পুলিশ।

ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার বেলঘাটায় নিজের শিশু সন্তানকে অপহরণ করার অভিযোগ অনেন সন্ধ্যা জৈন নামে এক নারী। তার অভিযোগ, বেলেঘাটার মালহার অ্যাপার্টমেন্টের দোতলায় উঠে কলিং বেল বাজিয়ে তাকে মারধর করে দু-মাসের কন্যা সন্তানকে তুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিকারীরা।

সন্ধ্যা জৈন পুলিশকে জানান, দুপুরে হঠাৎই কলিং বেল বাজে, দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতিকারীরা। সেই সময় ছাদে জামাকাপড় মেলতে গিয়েছিলেন আয়া। অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক কলিং বেল বাজিয়ে বলে, ছাদের চাবি চাইছে আয়া। একথা শুনেই দরজা খোলেন তিনি।

ওই শিশুর মা বলেন, আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না সেই সময়ে। ওষুধের দোকানে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকেই আবাসনে ঢুকেছিল ওই অপহরণকারীরা।

এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে বেলেঘাটা থানার পুলিশ। সন্ধ্যা জৈনের বয়ানে অসংগতি মেলায় তাকে টানা জেরা করা হয়। তার পরেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। পরে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় আবাসনের পেছনে একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে।

জেরায় জানা যায়, গলাটিপে দুই মাসের শিশু সন্তানকে খুন করেছেন সন্ধ্যা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেরা করছে। এ ঘটনায় জেরা করা হচ্ছে সন্ধ্যার স্বামীকেও।

কেন এই খুন- তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশকে যে বয়ান দিয়ে স্কেচ আঁকিয়েছিলেন সন্ধ্যা দেবী তাতে এখন পরিষ্কার যে সেই স্কেচ ছিল কল্পনাপ্রসূত। আশপাশের ২০টি সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও সন্ধ্যা দেবীর বলা সময় অর্থাৎ সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কোনো সাদা প্যান্ট পরা যুবককে ওই আবাসনের আশপাশেও দেখা যায়নি। এতেই পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয় যে সন্ধ্যা দেবী মিথ্যে বলছেন।

কেন করলেন নিজের সন্তানকে খুন? জানতে চাইলে সন্ধ্যা জৈন একবার বলছেন, স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক। আরেকবার বলছেন, মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ঠিক আসলে কী তা জানতে টানা জেরা চলেছে। এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের সাহায্য নেবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন