২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সবে সর্বনাশের শুরু, ভয়াবহতা দেখার জন্য প্রস্তুত থাকুক আমেরিকা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৭ অপরাহ্ণ, ২৭ মার্চ ২০২০

করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে নতুন রোগীর সংখ্যা। এরই মধ্যে আক্রান্তের হিসাবে চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৮৫ হাজার ৬১২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যেখানে ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৮৯ জন এবং চীনে এ সংখ্যা ৮১ হাজার ৭৮২ জন। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গেছে ১ হাজার ৩০১ জন মানুষ।

এটাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বনাশের শুরু বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইন্সটিটিউটর ডিরেক্টর ডা. আশীষ ঝা বলেছিলেন, ‘আমরা পরের ১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। যদি আমরা এখনই সবকিছু বন্ধ করে দিতে না পারি তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিলে মানুষ আবার কাজে ফিরে যেতে পারে, যেটা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে। আমাদের দীর্ঘ লাড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের অপর একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি আশা করেন আমেরিকানরা ইস্টারের পরে কাজে ফিরে আসবেন। এটা একটি উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ। আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে অসমর্থ হয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই পূনর্মূল্যায়ন করা উচিত।’

আসছে ঠান্ডা মওসুমে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ আরও বাড়বে দাবি করেছেন আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজের ডিরেক্টর ও হোয়াইট হাউসের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফৌসি। সেই সঙ্গেই তিনি সতর্ক করেছেন, ভাইরাসের দ্বিতীয় ‘লাইফ সাইকেল’-এর জন্য তৈরি থাকুক আমেরিকা। ঠান্ডা বাড়লে ফের মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কা আছে করোনাভাইরাসের।

দিন যত যাচ্ছে, সারা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় আকাশ ছুঁয়েছে নিউইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো অঞ্চলগুলি। যেখানে কর্মকর্তারা প্রতিদিন কয়েক হাজার করোনা রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

এক সপ্তাহ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ২০০ এবং মারা গিয়েছিল ২৪১ জন। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৬১২ জনে। মারা গেছে ১ হাজার ৩০১ জন। অর্ধেকেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্কে, সেখানে ৩৮৫ জন মারা গেছে এবং হাসপাতালগুলিতে বিপুল সংক্যক করোনা রোগীতে ভরে উঠেছে। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন মেডিক্যাল স্টাফরা। স্বাস্থ্য সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

ডা. আশীষ ঝা বলেন, ‘এই মুহুর্তে কি হচ্ছে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন রাজ্যে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। একই পরিস্থিতি তৈরির পথে রয়েছে লুইসিয়ানা,ফ্লোরিডায, আরিজোনা, টেক্সাস ও ডালাসে। আমি খুবই চিন্তিত।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন