২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সরাসরি সম্প্রচারের মধ্যেই সিএনএনের সাংবাদিক গ্রেফতার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, ৩০ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ অন্যায়ভাবে কৃষ্ণাজ্ঞ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর থেকেই মিনেসোটা রাজ্যের মিনোপোলিস শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে।

এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের সংবাদ সরাসরি সম্প্রচারের সময় শুক্রবার সকালে ওমর জিমেনেজ নামে সিএনএনের এক কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিককে গ্রেফতার করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ।

এ সময় সম্প্রচার চালু রাখায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তার ক্যামেরাম্যান এবং প্রডিসারকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

পরে অবশ্য সংবাদিকদের প্রবল প্রতিবাদের মুখে গ্রেফতার করা ওই সাংবাদিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় রাজ্য পুলিশ।

পুলিশের এহেন আচরণে বিব্রত মিনেসোটা রাজ্যের গভর্নর টিম আলজ দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে বলেন, এটা একবারেই অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য ঘটনা।

সিএনএনের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন গণমাধ্যম কর্মীকে তার কর্তব্যকাজে বেআইনিভাবে বাধা দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করে মিনেসোটা রাজ্যের পুলিশ। গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পর এক পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।

ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এ সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন শত শত মানুষ। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে।

এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীদের দেয়া আগুনে মিনোপোলিস শহরের প্রধান থানা পুড়ে গেছে। সহিংস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের পাশাপাশি বিবেকবান শেতাঙ্গদেরও দেখা যাচ্ছে। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে উঠে এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের শুরু থেকেই কৃষ্ণাঙ্গরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন