২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

সাংসদ হাসানাতের কারণেই উজিরপুরে লোডশেডিং!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৯ অপরাহ্ণ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: প্রচন্ড তাপদাহ আর গরমের অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায় প্রতিদিন চলছে পল্লী বিদ্যুতের নাটকীয় লোডশেডিং। পাশাপাশি লো-ভোল্টেজের কারণে বেড়েছে গ্রাহক ভোগান্তি। উজিরপুরে পল্লী বিদ্যুতের এমন সেচ্ছাচারিতায় যে কোন মূহূর্তে ঘটতে পারে অকল্পনীয় জন বিস্ফোরণ। প্রায় ছয় মাস যাবত উজিরপুর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ২৪ ঘন্টায় ৩-৪ ঘন্টা বিদ্যুত পাচ্ছেন গ্রাহকরা। পৌর এলাকার একাধিক গ্রাহকের ভাষ্যমতে, গত দ’ুমাস থেকে এখনো গ্রাহকরা দিন-রাতে ২৪ ঘন্টায় মাত্র সাড়ে ৩ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টা বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছেন।

আর যেটুকু সময় পাওয়া যাচ্ছে তা লো-ভোল্টেজের কারণে অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে জানায়, দিনে ২০-২২বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ফলে লেখাপড়ায় অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হচ্ছে স্কুল পড়–য়া ছোট ছোট শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের এবং প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে হিটস্ট্রোকে। পল্লী বিদ্যুতের এমন নাটকীয় লোডশেডিং এর কারণে প্রতিদিন কোন না কোন বসত ঘরের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স মালামালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

কিন্তু এ সকল বিষয়ে নজরদারী নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এমনকি এসব সমস্যা সম্পর্কে উজিরপুর পল্লী বিদ্যুতের সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করার পরেও গ্রাহকদের দুর্ভোগ-ভোগান্তির লাঘব হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করায় উজিরপুর পৌরসভাসহ উপজেলার অধিকাংশ জনবহুল এলাকায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। যে সময়টুকু বিদ্যুত পাওয়া যায় তা আবার লো-ভোল্টেজ হওয়ায় বৈদ্যুতিক মোটর চালাতে না পারায় পাম্প নির্ভর বাসা বাড়িগুলোতে চলছে পানির জন্য হাহাকার। অধিকাংশ বাসা-বাড়ির ফ্রিজ এখন পড়ে আছে অকেজো অবস্থায়। পৌর এলাকার রিপন মিয়া নামে এক ভূক্তভোগী জানিয়েছেন, দিনের বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না।

তবে বিদ্যুত মাঝে মাঝে আসে। সন্ধ্যার পর ১ ঘন্টা বিদ্যুত সরবরাহের পরপরই টানা লোডশেডিং শুরু হয়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টায়ও শেষ হয় না। আবার রাত ১১ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ২/৩ টা পর্যন্ত চলে। তাছাড়া গত এক মাস ধরে প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বার পল্লী বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

দিনের বেলায়ও লো-ভোল্টের কারণে কম্পিউটার, ফটোকপি, ফ্রিজ, ফ্যান ও পানির মোটর ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে এ উপজেলায় প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারণে একটু বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই পুরো লাইনের সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর পুনরায় চালু দেয়া হয়।

তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের দাবি এখানে দায়িত্বরত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল মন্ডলের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই গ্রাহকদের ভোগান্তি এখন চরমে। উল্লেখিত বিষয়াদি সম্পর্কে উজিরপুর পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল মন্ডলের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই আপনি তো জানেন ভাই (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-এমপি) এলাকায়।

যার কারণে তার এলাকায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সরবরাহ করায় উজিরপুরে এমন লোডশেডিং। এ ব্যাপারে উজিরপুর পল্লী বিদ্যুতের এজিএম বলেন, আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত পাচ্ছি না। আমাদের চাহিদা ১০ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা সেখানে পাচ্ছি সাড়ে ৫ মেগাওয়াট। আর তাই এত লোডশেডিং হচ্ছে।”

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন