২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

১৮ বছর ধরে ঝুলে আছে ইয়াবার প্রথম মামলাটি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:০৫ অপরাহ্ণ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ১৮ বছর আগে রাজধানীর গুলশানে ইয়াবার প্রথম চালান উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় করা হয় মামলা। কিন্তু মামলাটির সাক্ষী না আসায় ঝুলে আছে বিচারিক কার্যক্রম। জানা গেছে- এই মামলার ১৫ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন দুজন। বাকি ১৩ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও বছরের পর বছর তারা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না। এছাড়া মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও দুজনকে ধরা যায়নি। ১৮ বছর আগের ইয়াবার প্রথম মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে বর্তমানে পরিবেশ আপিল বিভাগ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ।

 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এ এফ এম রেজাউল করিম হিরণ সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি আমাদের আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলাটি অনেক পুরোনো। মামলার ১৩ সাক্ষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরও সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না। অন্যদিকে মামলায় দুই আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত, মামলার সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করানো। এছাড়া পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ওয়ালিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তাদের কেন গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হবে। পলাতক দুই আসামিকে কেন এখনো গ্রেফতার করা হয়নি তাও খতিয়ে দেখা হবে।

ইয়াবার প্রথম মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১৫ জনকে। এদের মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক ফজলুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।

এরপর বাকি ১৩ জনকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য বারবার আদালত থেকে সমন জারি করা হয়। সমন দেয়ার পরও হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তারা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তৎকালীন গুলশান জোনের পরিদর্শক ও মামলার বাদী এনামুল হক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তৎকালীন গুলশান জোনের উপ-পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক আমজাত হোসেন, এএম হাফিজুর রহমান, জাহিদ হোসেন মোল্লা, প্রধান রাসায়নিক কর্মকর্তা দুলাল কৃষ্ণ সাহা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব ও সানোয়ার হোসেন।

এছাড়া আবু কাজী, নুরুজ্জামান, ফাহিম হাসান ও হেমায়েত নামে চারজন সাধারণ লোককেও সাক্ষী করা হয়।

প্রথম চালানে ১২ প্যাকেটে ১২০টি ইয়াবা
২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর গুলশানের নিকেতনে প্রথম ইয়াবা (১২টি প্যাকেটে ১২০টি ডব্লিউ ওয়াই, যা পরে রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে ইয়াবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়) উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় মাদক কারবারি সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে রামপুরার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই সহযোগী শামছুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর গুলশান থানায় মামলা করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিদর্শক এনামুল হক।

এছাড়া সফিকুলের বাবা শামছুল ও ভাই শরিফুল মাদক কারবারে সহযোগিতা করে অপরাধ করেছেন বলেও চার্জশিটে বলা হয়। এদের মধ্যে সোমনাথ সাহা ও এমরান হক পলাতক।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন