এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্তকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ময়নাতদন্তে মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তথ্য জানা গেছে
বুধবার বিকালে সদরঘাটের ঈগল-৩ নামের লঞ্চ থেকে পারুল আক্তারের (১৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারুল ঢাকার নবাবগঞ্জের আজীজপুর গ্রামের মো. হোসেন আলী ওরফে গেঁদা মিয়ার মেয়ে। তিনি কেরানীগঞ্জের জিনজিরা পীর মোহাম্মদ পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় আল মামুন (২১) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মামুন পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজের হিসাববিজ্ঞান স্নাতকের (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি পারুলকে কোচিং সেন্টারে পড়াতেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মামুনের বাড়ি বড়গুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। পারুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জানিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন আটক মামুন।
“পারুল অন্য একজনের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল বলে মামুন দাবি করছে। অন্তঃসত্ত্বার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে ভ্রুণের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।”
ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়া গেলেই মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।