
০৫ জুন, ২০২৫ ২০:১৮
ঈদুল আজহার আর বাকি এক দিন। কোরবানির এ উৎসবকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে জমজমাট পশুর হাটে বেড়েছে বেচাকেনা। এসব হাটে ইতোমধ্যে সড়ক ও নদীপথে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। খুলনার ৯টি উপজেলায় ২২টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। প্রায় প্রতিটি হাটে এসেছে পর্যাপ্ত পশু। তবে দাম বেশ চড়া হওয়ায় ক্রেতারা চিন্তিত।
হাটে আসা প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের চাহিদা ছোট আকারের গরুর। তাই ব্যাপারীরা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি নিয়ে এসেছেন। তবে আকার ছোট হলেও এসব গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতা। গোখাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ছোট গরুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তারা।
৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে ৬২৮টি গরু, ২২২টি ছাগল ও ৪টি ভেড়া বিক্রি হয়েছে। মোট ৮৫৪টি পশু বিক্রি করে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩০ লাখ ৩ হাজার টাকা।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সাধারণত দুই মণ ওজনের গরু ছোট আকারের। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু মাঝারি এবং এর ওপরের ওজনের গরু বড় আকারের। খুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। জোগানও রয়েছে।
বুধবার রাতে নগরীর টুটপাড়া থেকে তিন ছেলেকে নিয়ে জোড়াগেটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন দুই চাকরিজীবী আনিসুর রহমান ও মো. শহিদুল। সামর্থ্য না থাকায় দুই পরিবার এবার এক গরু দিয়ে কোরবানি করবে। বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা বেশ কিছু গরু দেখেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেখেও গরু না কিনে বাজার থেকে বের হতে দেখা যায় তাদের।
জানতে চাইলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই একই ভবনের আরেক পরিবারের সঙ্গে এবার কোরবানি করতে ছোট গরু কিনতে এসেছি। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি। গতবার যেসব গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজারে কেনা গেছে, এবার তার দাম চাইছে ১ লাখ ২০ হাজারের ওপরে।’
মো. শহিদুল বলেন, ‘অনেক ছোট গরু দেখেও কিনতে পারিনি। কারণ গরু পছন্দ হলেও দাম বাজেটের চেয়ে বেশি। ছোট একটি গরুর দাম লাখ টাকার ওপরে হয়? এত দাম দিয়ে কীভাবে কোরবানির পশু কিনবে মধ্যবিত্তরা? কোরবানি ঘনিয়ে এলেও দাম ছাড়ছেন না ব্যাপারীরা।’ এ দুই ক্রেতার মতো দাম বেশি নিয়ে হতাশার কথা প্রকাশের পাশাপাশি অনেকে ঝাড়লেন ক্ষোভও।
কালিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. শামীম বলেন, ‘বাজারে এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই ছোট গরু বেশি এনেছি। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি। কালিয়া নড়াইল থেকে ৮০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী কাউসার আলী। এর মধ্যে ৩৫টি ছোট।
কাউসার আলী বলেন, ‘বড় গরু কেনে খুব কম মানুষ। বাজারে ছোট গরুর ক্রেতার সমাগম থাকলেও বিক্রি কম। বেশির ভাগ ক্রেতা দরদাম করছে কেবল। গরুর লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ায় সামান্য লাভে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট ১৬৯টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১২০টি এবং অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৪৯টি। হাটগুলোর মধ্যে খুলনায় ২২টি, বাগেরহাটে ৩৩, সাতক্ষীরায় ১৫, যশোরে ১৯, ঝিনাইদহে ২২, মাগুরায় ১৯, নড়াইলে ৮, কুষ্টিয়ায় ১৭, চুয়াডাঙ্গায় ৮ এবং মেহেরপুরে ৬টি হাট স্থাপন করা হয়েছে।
খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই এই হাটগুলোতে পশু আনতে শুরু করেছেন। পশুর হাটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ভেটেরিনারি চিকিৎসক, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। স্বাস্থ্যসনদ ছাড়া কোনো পশু কেনাবেচা না করতে হাট ইজারাদারদের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। তবে এবার দেশি পশুর জোগান বেশি থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদুল আজহার আর বাকি এক দিন। কোরবানির এ উৎসবকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে জমজমাট পশুর হাটে বেড়েছে বেচাকেনা। এসব হাটে ইতোমধ্যে সড়ক ও নদীপথে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য। খুলনার ৯টি উপজেলায় ২২টি স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। প্রায় প্রতিটি হাটে এসেছে পর্যাপ্ত পশু। তবে দাম বেশ চড়া হওয়ায় ক্রেতারা চিন্তিত।
হাটে আসা প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের চাহিদা ছোট আকারের গরুর। তাই ব্যাপারীরা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি নিয়ে এসেছেন। তবে আকার ছোট হলেও এসব গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতা। গোখাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে ছোট গরুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তারা।
৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নগরীর জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে ৬২৮টি গরু, ২২২টি ছাগল ও ৪টি ভেড়া বিক্রি হয়েছে। মোট ৮৫৪টি পশু বিক্রি করে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩০ লাখ ৩ হাজার টাকা।
খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সাধারণত দুই মণ ওজনের গরু ছোট আকারের। দুই থেকে তিন মণ ওজনের গরু মাঝারি এবং এর ওপরের ওজনের গরু বড় আকারের। খুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। জোগানও রয়েছে।
বুধবার রাতে নগরীর টুটপাড়া থেকে তিন ছেলেকে নিয়ে জোড়াগেটে কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন দুই চাকরিজীবী আনিসুর রহমান ও মো. শহিদুল। সামর্থ্য না থাকায় দুই পরিবার এবার এক গরু দিয়ে কোরবানি করবে। বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা বেশ কিছু গরু দেখেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেখেও গরু না কিনে বাজার থেকে বের হতে দেখা যায় তাদের।
জানতে চাইলে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই একই ভবনের আরেক পরিবারের সঙ্গে এবার কোরবানি করতে ছোট গরু কিনতে এসেছি। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি। গতবার যেসব গরু ৬০ থেকে ৭০ হাজারে কেনা গেছে, এবার তার দাম চাইছে ১ লাখ ২০ হাজারের ওপরে।’
মো. শহিদুল বলেন, ‘অনেক ছোট গরু দেখেও কিনতে পারিনি। কারণ গরু পছন্দ হলেও দাম বাজেটের চেয়ে বেশি। ছোট একটি গরুর দাম লাখ টাকার ওপরে হয়? এত দাম দিয়ে কীভাবে কোরবানির পশু কিনবে মধ্যবিত্তরা? কোরবানি ঘনিয়ে এলেও দাম ছাড়ছেন না ব্যাপারীরা।’ এ দুই ক্রেতার মতো দাম বেশি নিয়ে হতাশার কথা প্রকাশের পাশাপাশি অনেকে ঝাড়লেন ক্ষোভও।
কালিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. শামীম বলেন, ‘বাজারে এবার ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। তাই ছোট গরু বেশি এনেছি। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার ছোট গরুর দাম কিছুটা বেশি। কালিয়া নড়াইল থেকে ৮০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী কাউসার আলী। এর মধ্যে ৩৫টি ছোট।
কাউসার আলী বলেন, ‘বড় গরু কেনে খুব কম মানুষ। বাজারে ছোট গরুর ক্রেতার সমাগম থাকলেও বিক্রি কম। বেশির ভাগ ক্রেতা দরদাম করছে কেবল। গরুর লালন-পালন খরচ বেশি হওয়ায় সামান্য লাভে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট ১৬৯টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১২০টি এবং অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৪৯টি। হাটগুলোর মধ্যে খুলনায় ২২টি, বাগেরহাটে ৩৩, সাতক্ষীরায় ১৫, যশোরে ১৯, ঝিনাইদহে ২২, মাগুরায় ১৯, নড়াইলে ৮, কুষ্টিয়ায় ১৭, চুয়াডাঙ্গায় ৮ এবং মেহেরপুরে ৬টি হাট স্থাপন করা হয়েছে।
খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই এই হাটগুলোতে পশু আনতে শুরু করেছেন। পশুর হাটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ভেটেরিনারি চিকিৎসক, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। স্বাস্থ্যসনদ ছাড়া কোনো পশু কেনাবেচা না করতে হাট ইজারাদারদের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। তবে এবার দেশি পশুর জোগান বেশি থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:১২
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি কথিত জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা জান্নাত সুরভী (২১) গ্রেফতার হয়েছেন। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর টেকপাড়া এলাকার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুরভী ওই এলাকার সেলিম মিয়ার মেয়ে।
তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ওসি নাসির উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সুরভীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় নাইমুর রহমান দুর্জয় নামে এক যুবকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলায় চাঁদাবাজি, অপহরণ করে অর্থ আদায় ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন বলেও দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর কাছে জুলাই আন্দোলনের মামলার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ভাইরাল জুলাইযোদ্ধা তাহরিমা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, এ চক্রটি ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার তাহরিমা জান্নাত সুরভী নিজেকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিতেন। অভিযান শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪১
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও আলোচিত মেঘনা আলম আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ঢাকা-৮ আসন থেকে নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মেঘনা আলম নিজেই।
এই আসনটিতে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্ববায়ক শহীদ ওসমান হাদি। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে মেঘনা জানান, ঢাকা-৮ আসনকে বাংলাদেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান, ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক ও কার্যকর বিশেষ সিসিটিভি ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে পথ চলাচলের সময় কোনো নারী স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের শিকার না হন।
এছাড়া এই এলাকায় একটি বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে চান মেঘনা, যাতে মানুষ নিরাপদে হেঁটে চলাচল ও সাইকেল ব্যবহারের সুযোগ পান। ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টিচাহিদা, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং সামাজিক ও আইনগত জ্ঞান বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন।

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বাবার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের নিজামপুর ফরফরিয়া এলাকার মুহুরি বাড়িতে এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। বাবা-ছেলের পরপর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ফরফরিয়া এলাকার হতদরিদ্র রিকশাচালক নুরুল আবছার মারা যান। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর্থিক সংকটের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেননি তিনি।
বাবার মৃত্যুতে গভীর শোকে ভেঙে পড়ে নুরুল আবছারের ছোট ছেলে ইমাম হোসেন (১৭)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে তাকে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই এলাকার বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার আয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চলত। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন, আর দুই ছেলে পড়াশোনা করছিল।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছোট ছেলে ইমাম হোসেনও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
নিহত ইমাম হোসেন সরকারহাট নজর আলী রূপজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বুজর্গ উমেদ নগর জামে মসজিদের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, “বাবার মৃত্যুর দুই দিনের মাথায় ছেলের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। আল্লাহ যেন শোকাহত পরিবারকে এই কঠিন সময় সহ্য করার শক্তি দেন।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.