
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

১৩ জুলাই, ২০২৫ ২১:২২
দেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক নেতৃত্বের সংকট এবং দুর্নীতি-সহিংসতার অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি চায়, এমন মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,চাতক পাখির মতো জাতি আজ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পেশাজীবী প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, এই দেশ দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, খুন-চাঁদাবাজদের হাতে নিরাপদ নয়। জনগণ যাদের কারণে বারবার প্রতারিত হয়েছে, তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে চায় না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও মানবিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেই সেই বিকল্প নেতৃত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা জনরোষে পতিত, তারাই জামায়াতকে ভয় পায়। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, জনগণ সেসব প্রতিহত করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। এ প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। আর যারা এসব সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, তাদের বিরুদ্ধেই আজ অপপ্রচার।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এতে কারও গায়ে লাগলে তারা হয়তো অপরাধীদের পক্ষেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যখন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এক দল থানা ঘেরাও করে, পুলিশকে মারধর করে, এবং অপরাধীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সংস্কৃতি দেশের জন্য আত্মঘাতী।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা বলে নির্বাচন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তারা আসলে বিচারের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে চায়।
তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ তরুণ ভোটার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ধর্ষক কিংবা টেন্ডারবাজদের ভোট দেবে না। আগামী নির্বাচনে তারাই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া আর সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলছেন, এটি ব্যবসায়িক বিরোধ। অথচ নিহতের পরিবার বলছে, প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাত বন্ধ করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, আইইবি সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান।
দেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক নেতৃত্বের সংকট এবং দুর্নীতি-সহিংসতার অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি চায়, এমন মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,চাতক পাখির মতো জাতি আজ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পেশাজীবী প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, এই দেশ দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, খুন-চাঁদাবাজদের হাতে নিরাপদ নয়। জনগণ যাদের কারণে বারবার প্রতারিত হয়েছে, তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে চায় না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও মানবিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেই সেই বিকল্প নেতৃত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা জনরোষে পতিত, তারাই জামায়াতকে ভয় পায়। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, জনগণ সেসব প্রতিহত করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। এ প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। আর যারা এসব সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, তাদের বিরুদ্ধেই আজ অপপ্রচার।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এতে কারও গায়ে লাগলে তারা হয়তো অপরাধীদের পক্ষেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যখন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এক দল থানা ঘেরাও করে, পুলিশকে মারধর করে, এবং অপরাধীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সংস্কৃতি দেশের জন্য আত্মঘাতী।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা বলে নির্বাচন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তারা আসলে বিচারের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে চায়।
তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ তরুণ ভোটার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ধর্ষক কিংবা টেন্ডারবাজদের ভোট দেবে না। আগামী নির্বাচনে তারাই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া আর সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলছেন, এটি ব্যবসায়িক বিরোধ। অথচ নিহতের পরিবার বলছে, প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাত বন্ধ করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, আইইবি সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে নিহত শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা হাদি। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুমা হাদি এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার ব্যক্তিগত কোনো কিছু বলার নেই। তবে ইনকিলাব মঞ্চ ও পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি আছি।
এদিন মাসুমা হাদিকে প্রার্থী করার দাবিতে ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হাদিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি ইনসাফের পক্ষে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। তিনি সংসদে গিয়ে ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ঘাতকরা তার সেই কথা থামিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা চাই শহীদ ওসমান হাদির দেশ, জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই বেঁচে থাকুক, উজ্জীবিত থাকুক।’
তারা বলেন, ‘হাদির বোন মাসুমা হাদির মাঝে আমরা হাদির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা মাসুমা হাদিকে ঢাকা-৮-এর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। দেশবাসীও এটি চায়।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
গুলিতে ওসমান হাদির ব্রেইনের স্টেম সেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। মরদেহ দেশে আনার পর ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে হাদিকে দাফন করা হয়।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১২
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে নিজের একটি পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ না করলেও এটি বাস্তবায়নে দেশের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
নিজের ভাবনার কথা বলার আগে তারেক রহমান ৬২ বছর আগের আমেরিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ (I have a dream) ভাষণটির কথা স্মরণ করেন। সেই ভাষণের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা আমরা দেশের শান্তি চাই। মার্টিন লুথার কিং এর নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা। মার্টিন লুথার কিং। তার একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসাবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে।’
তার ভাষণ সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের এবিপি আনন্দ (ABP Ananda) “ 'I have a plan..', বাংলাদেশে ফিরেই বিস্ফোরক খালেদা পুত্র, ভারতকে নিয়ে পরিকল্পনা ?” - শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। অথচ তারেক রহমান তার সম্পূর্ণ ভাষণে ভারত সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিরোনামে ‘ভারত নিয়ে পরিকল্পনা’ জুড়ে দিয়েছে এবিপি আনন্দ। মিডিয়াটি পুরো প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গ আনার কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৃষ্ট সব বর্জ্য অপসারণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
ডা. মওদুদ হোসেন বলেন, ৩০০ ফিটসহ এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি প্রথমে খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন এবং পরম মমতায় হাত দিয়ে একমুঠো মাটি তুলে নেন। দীর্ঘ দেড় যুগের প্রতীক্ষার পর মাটির এই স্পর্শ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক আবেগপ্রবণ পরিবেশ তৈরি করে।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান একটি লাল রঙের সুরক্ষিত বাসে চড়ে পূর্বাচলের ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন গণসংবর্ধনাস্থলে যান। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি তার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে নিহত শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা হাদি। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুমা হাদি এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার ব্যক্তিগত কোনো কিছু বলার নেই। তবে ইনকিলাব মঞ্চ ও পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি আছি।
এদিন মাসুমা হাদিকে প্রার্থী করার দাবিতে ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হাদিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি ইনসাফের পক্ষে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। তিনি সংসদে গিয়ে ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ঘাতকরা তার সেই কথা থামিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা চাই শহীদ ওসমান হাদির দেশ, জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই বেঁচে থাকুক, উজ্জীবিত থাকুক।’
তারা বলেন, ‘হাদির বোন মাসুমা হাদির মাঝে আমরা হাদির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা মাসুমা হাদিকে ঢাকা-৮-এর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। দেশবাসীও এটি চায়।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
গুলিতে ওসমান হাদির ব্রেইনের স্টেম সেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। মরদেহ দেশে আনার পর ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে হাদিকে দাফন করা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে নিজের একটি পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ না করলেও এটি বাস্তবায়নে দেশের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
নিজের ভাবনার কথা বলার আগে তারেক রহমান ৬২ বছর আগের আমেরিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ (I have a dream) ভাষণটির কথা স্মরণ করেন। সেই ভাষণের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা আমরা দেশের শান্তি চাই। মার্টিন লুথার কিং এর নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা। মার্টিন লুথার কিং। তার একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসাবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে।’
তার ভাষণ সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের এবিপি আনন্দ (ABP Ananda) “ 'I have a plan..', বাংলাদেশে ফিরেই বিস্ফোরক খালেদা পুত্র, ভারতকে নিয়ে পরিকল্পনা ?” - শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। অথচ তারেক রহমান তার সম্পূর্ণ ভাষণে ভারত সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিরোনামে ‘ভারত নিয়ে পরিকল্পনা’ জুড়ে দিয়েছে এবিপি আনন্দ। মিডিয়াটি পুরো প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গ আনার কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৃষ্ট সব বর্জ্য অপসারণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
ডা. মওদুদ হোসেন বলেন, ৩০০ ফিটসহ এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি প্রথমে খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন এবং পরম মমতায় হাত দিয়ে একমুঠো মাটি তুলে নেন। দীর্ঘ দেড় যুগের প্রতীক্ষার পর মাটির এই স্পর্শ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক আবেগপ্রবণ পরিবেশ তৈরি করে।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান একটি লাল রঙের সুরক্ষিত বাসে চড়ে পূর্বাচলের ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন গণসংবর্ধনাস্থলে যান। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি তার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেন।