১৩ জুলাই, ২০২৫ ২১:২২
দেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক নেতৃত্বের সংকট এবং দুর্নীতি-সহিংসতার অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি চায়, এমন মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,চাতক পাখির মতো জাতি আজ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পেশাজীবী প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, এই দেশ দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, খুন-চাঁদাবাজদের হাতে নিরাপদ নয়। জনগণ যাদের কারণে বারবার প্রতারিত হয়েছে, তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে চায় না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও মানবিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেই সেই বিকল্প নেতৃত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা জনরোষে পতিত, তারাই জামায়াতকে ভয় পায়। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, জনগণ সেসব প্রতিহত করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। এ প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। আর যারা এসব সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, তাদের বিরুদ্ধেই আজ অপপ্রচার।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এতে কারও গায়ে লাগলে তারা হয়তো অপরাধীদের পক্ষেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যখন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এক দল থানা ঘেরাও করে, পুলিশকে মারধর করে, এবং অপরাধীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সংস্কৃতি দেশের জন্য আত্মঘাতী।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা বলে নির্বাচন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তারা আসলে বিচারের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে চায়।
তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ তরুণ ভোটার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ধর্ষক কিংবা টেন্ডারবাজদের ভোট দেবে না। আগামী নির্বাচনে তারাই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া আর সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলছেন, এটি ব্যবসায়িক বিরোধ। অথচ নিহতের পরিবার বলছে, প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাত বন্ধ করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, আইইবি সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান।
দেশে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক নেতৃত্বের সংকট এবং দুর্নীতি-সহিংসতার অভিশাপ থেকে জাতি মুক্তি চায়, এমন মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,চাতক পাখির মতো জাতি আজ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পেশাজীবী প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, এই দেশ দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, খুন-চাঁদাবাজদের হাতে নিরাপদ নয়। জনগণ যাদের কারণে বারবার প্রতারিত হয়েছে, তাদের ওপর আর আস্থা রাখতে চায় না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও মানবিক নেতৃত্ব প্রয়োজন। জামায়াতে ইসলামীর মধ্যেই সেই বিকল্প নেতৃত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা জনরোষে পতিত, তারাই জামায়াতকে ভয় পায়। তাই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। কিন্তু যত ষড়যন্ত্রই হোক, জনগণ সেসব প্রতিহত করবে।
সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। এ প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেন, এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। আর যারা এসব সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, তাদের বিরুদ্ধেই আজ অপপ্রচার।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এতে কারও গায়ে লাগলে তারা হয়তো অপরাধীদের পক্ষেই আছে।
তিনি আরও বলেন, যখন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এক দল থানা ঘেরাও করে, পুলিশকে মারধর করে, এবং অপরাধীদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সংস্কৃতি দেশের জন্য আত্মঘাতী।
সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা বলে নির্বাচন হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তারা আসলে বিচারের সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে চায়।
তিনি বলেন, ৩৫ শতাংশ তরুণ ভোটার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ধর্ষক কিংবা টেন্ডারবাজদের ভোট দেবে না। আগামী নির্বাচনে তারাই ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। যেনতেন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া আর সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলছেন, এটি ব্যবসায়িক বিরোধ। অথচ নিহতের পরিবার বলছে, প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি রাজনৈতিক পক্ষপাত বন্ধ করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, আইইবি সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল-আমিন, অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মো. আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান।
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১৩:১৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দায়ের করা পৃথক মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় পলককে কাঁদতে দেখা যায়।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদেরকে হাজির করে পুলিশ। এরপর সোয়া ১০টার দিকে বৃষ্টি হালকা হলে তাদের নির্ধারিত নিয়মে আদালতের হাজির করে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।
গ্রেফতার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
এদিন শুনানীর সময় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন পলক। পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এসময় তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে আজ যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আনা হয়। এদিন আদালতে এসে তিনি খবর পান যে, তার এলাকার কিছু লোক মারা গেছে। এজন্য তিনি শোকাহত হন এবং কাঁদতে থাকেন।
জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে, মনিরুল ইসলাম মনুকে ৮ মামলায়, আনিসুল হক, আবুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, পলক, শহীদুল হককে ২ মামলায়, সালমান, দীপু, আমুকে ১ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দায়ের করা পৃথক মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৯ জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এসময় পলককে কাঁদতে দেখা যায়।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদেরকে হাজির করে পুলিশ। এরপর সোয়া ১০টার দিকে বৃষ্টি হালকা হলে তাদের নির্ধারিত নিয়মে আদালতের হাজির করে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এ আদেশ দেন।
গ্রেফতার দেখানো অপর আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান।
এদিন শুনানীর সময় আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন পলক। পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। এসময় তার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে আজ যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আনা হয়। এদিন আদালতে এসে তিনি খবর পান যে, তার এলাকার কিছু লোক মারা গেছে। এজন্য তিনি শোকাহত হন এবং কাঁদতে থাকেন।
জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে, মনিরুল ইসলাম মনুকে ৮ মামলায়, আনিসুল হক, আবুল হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, পলক, শহীদুল হককে ২ মামলায়, সালমান, দীপু, আমুকে ১ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি মানুষকে হত্যা করে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা পুলিশসহ অন্য নিরাপত্তা বাহিনী। এ ছাড়া ওই সময় ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এক সময় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী যে প্রাণঘাতী অভিযান পরিচালনা করে তা সরাসরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতে এবং তার নির্দেশে হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট ‘বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন।’
বুধবার (৯ জুলাই) এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি বাংলা। বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায় গেছে যে গত বছর ছাত্র জনতার বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।
বিবিসির যাচাই করা ওই রেকর্ডিং অনুসারে, শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন এবং তারা (এসব বাহিনীর সদস্যরা) যেখানেই তাদের (আন্দোলনকারী) পাবে, তারা গুলি করবে।
অজ্ঞাত একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিওটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন।
ফাঁস হওয়া অডিওটি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১৮ই জুলাই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ওই ফোনালাপটি করেন।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ফোনালাপের অডিওটি কে ফাঁস করেছে তা স্পষ্ট নয়। বিক্ষোভের পর থেকে হাসিনার কলের অসংখ্য ক্লিপ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে যার অনেকগুলোই যাচাই করা হয়নি।
১৮ জুলাইয়ের ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠের সঙ্গে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের মিল শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। বিবিসি আলাদাভাবে ইয়ারশটের অডিও ফরেনসিক এক্সপার্টদের দিয়ে এই রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেছে এবং তারা এটিতে এডিট করার বা কোনো রকম পরিবর্তন করার কোনো প্রমাণ পায়নি। অডিওটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এমন সম্ভাবনাও খুবই কম বলে তারা জানিয়েছে।
মানবাধিকার বা পরিবেশ রক্ষার ইস্যুতে অডিও সংক্রান্ত তদন্তের কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইয়ারশট। তারা বলছে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংটি সম্ভবত এমন একটি ঘরে ধারণ করা হয়েছিল যেখানে ফোন কলটি স্পিকারে বাজানো হয়েছিল। কারণ এতে স্বতন্ত্র টেলিফোনিক ফ্রিকোয়েন্সি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু শব্দ ছিল।
ইয়ারশটের বিশেষজ্ঞরা রেকর্ডিংজুড়ে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি বা ইএনএফ শনাক্ত করেছে, যে ফ্রিকোয়েন্সি অন্য একটি ডিভাইস থেকে অডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই উপস্থিত থাকে। এটি এমন এক সূচক যার মানে হলো অডিওটিতে হেরফের করা হয়নি।
তারা শেখ হাসিনার বক্তব্যে ছন্দ, স্বর এবং শ্বাসের শব্দ বিশ্লেষণ করেছে এবং ধারাবাহিক নয়েজের স্তরও শনাক্ত করেছে। অডিওতে কৃত্রিম কোনো পরিবর্তন আনার প্রমাণও খুঁজে পায়নি।
ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বিবিসিকে বলেছেন, রেকর্ডিংগুলো তার (শেখ হাসিনার) ভূমিকা প্রমাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো স্পষ্ট এবং সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্যান্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত।
তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন যেখানে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আওয়ামী লীগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিবিসির উল্লেখ করা টেপ রেকর্ডিংটি সত্য কিনা তা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না এবং এই টেপটিতে কোনো বেআইনি উদ্দেশ্য বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিতেও দেখা যায়নি। আইসিটি মোট ২০৩ জনকে অভিযুক্ত করেছে যার মধ্যে ৭৩ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বাংলাদেশের আদালতে বিচার চলছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি মানুষকে হত্যা করে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা পুলিশসহ অন্য নিরাপত্তা বাহিনী। এ ছাড়া ওই সময় ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এক সময় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সে বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী যে প্রাণঘাতী অভিযান পরিচালনা করে তা সরাসরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিতে এবং তার নির্দেশে হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট ‘বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন।’
বুধবার (৯ জুলাই) এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি বাংলা। বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায় গেছে যে গত বছর ছাত্র জনতার বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।
বিবিসির যাচাই করা ওই রেকর্ডিং অনুসারে, শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন এবং তারা (এসব বাহিনীর সদস্যরা) যেখানেই তাদের (আন্দোলনকারী) পাবে, তারা গুলি করবে।
অজ্ঞাত একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিওটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন।
ফাঁস হওয়া অডিওটি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১৮ই জুলাই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ওই ফোনালাপটি করেন।
চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ফোনালাপের অডিওটি কে ফাঁস করেছে তা স্পষ্ট নয়। বিক্ষোভের পর থেকে হাসিনার কলের অসংখ্য ক্লিপ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে যার অনেকগুলোই যাচাই করা হয়নি।
১৮ জুলাইয়ের ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠের সঙ্গে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের মিল শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। বিবিসি আলাদাভাবে ইয়ারশটের অডিও ফরেনসিক এক্সপার্টদের দিয়ে এই রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেছে এবং তারা এটিতে এডিট করার বা কোনো রকম পরিবর্তন করার কোনো প্রমাণ পায়নি। অডিওটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এমন সম্ভাবনাও খুবই কম বলে তারা জানিয়েছে।
মানবাধিকার বা পরিবেশ রক্ষার ইস্যুতে অডিও সংক্রান্ত তদন্তের কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইয়ারশট। তারা বলছে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংটি সম্ভবত এমন একটি ঘরে ধারণ করা হয়েছিল যেখানে ফোন কলটি স্পিকারে বাজানো হয়েছিল। কারণ এতে স্বতন্ত্র টেলিফোনিক ফ্রিকোয়েন্সি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু শব্দ ছিল।
ইয়ারশটের বিশেষজ্ঞরা রেকর্ডিংজুড়ে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি বা ইএনএফ শনাক্ত করেছে, যে ফ্রিকোয়েন্সি অন্য একটি ডিভাইস থেকে অডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই উপস্থিত থাকে। এটি এমন এক সূচক যার মানে হলো অডিওটিতে হেরফের করা হয়নি।
তারা শেখ হাসিনার বক্তব্যে ছন্দ, স্বর এবং শ্বাসের শব্দ বিশ্লেষণ করেছে এবং ধারাবাহিক নয়েজের স্তরও শনাক্ত করেছে। অডিওতে কৃত্রিম কোনো পরিবর্তন আনার প্রমাণও খুঁজে পায়নি।
ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বিবিসিকে বলেছেন, রেকর্ডিংগুলো তার (শেখ হাসিনার) ভূমিকা প্রমাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো স্পষ্ট এবং সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্যান্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত।
তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন যেখানে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। আওয়ামী লীগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিবিসির উল্লেখ করা টেপ রেকর্ডিংটি সত্য কিনা তা আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না এবং এই টেপটিতে কোনো বেআইনি উদ্দেশ্য বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিতেও দেখা যায়নি। আইসিটি মোট ২০৩ জনকে অভিযুক্ত করেছে যার মধ্যে ৭৩ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বাংলাদেশের আদালতে বিচার চলছে।
০৮ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৫৮
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে। খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি এখনো দায়িত্বে থাকতে পারেন না। গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, তারা দেশের জনগণের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে।’
সোমবার (০৭ জুলাই) রাত ১১টার দিক পাবনার আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, অভ্যুথানের পরে আমাদের মিডিয়া সংস্কার লাগবে, পুলিশের সংস্কার লাগবে, আমলাতন্ত্রের সংস্কার লাগবে, সেনাবাহিনীর সংস্কার লাগবে, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন দেশ গড়ব।
বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানে আমাদের অভিমুখ। গণঅভ্যুথানের মধ্যে আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা দেয়ালে দেয়ালে যেই গ্রাফিতি একেছিল সেই গ্রাফিতির মধ্য দিয়েই নতুন সংবিধান লেখা হয়ে গেছে। সেই সব গ্রাফিতিতে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা লেখা হয়েছিল।
পাবনাবাসীকে আমরা বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করব। সেই সংবিধান দিয়েই নতুন বাংলাদেশ চলবে। পাবনায় আসতে যে কষ্ট হয়েছে। পাবনার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প প্রত্যক্ষভাবে দেখলাম।
পাবনাবাসীকে কতটা কষ্টে অবজ্ঞা ও অবহেলার মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আগামীতে আপনাদের পাশে আমরা থাকব ইনশাআল্লাহ। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবি উত্থাপন করা হবে।
এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জুলাই যুদ্ধাদের দেখতে পাবনাবাসী অধির আগ্রহে থাকে। বিকেল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ চত্বরে জড়ো হতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাত সোয়া ১০টার দিকে পাবনা শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় এলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পাবনার নেতারা তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শহীদ চত্বরে মিনিট্রাকে বানানো অস্থায়ী মঞ্চে নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকার প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরাতে পেরেছে, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে সরাতে ভয় পেয়েছে। খুনি ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি এখনো দায়িত্বে থাকতে পারেন না। গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, তারা দেশের জনগণের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে।’
সোমবার (০৭ জুলাই) রাত ১১টার দিক পাবনার আব্দুল হামিদ সড়কের শহীদ চত্বরে জুলাই পদযাত্রার পথসভায় বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, অভ্যুথানের পরে আমাদের মিডিয়া সংস্কার লাগবে, পুলিশের সংস্কার লাগবে, আমলাতন্ত্রের সংস্কার লাগবে, সেনাবাহিনীর সংস্কার লাগবে, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন দেশ গড়ব।
বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানে আমাদের অভিমুখ। গণঅভ্যুথানের মধ্যে আমাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা দেয়ালে দেয়ালে যেই গ্রাফিতি একেছিল সেই গ্রাফিতির মধ্য দিয়েই নতুন সংবিধান লেখা হয়ে গেছে। সেই সব গ্রাফিতিতে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার কথা লেখা হয়েছিল।
পাবনাবাসীকে আমরা বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করব। সেই সংবিধান দিয়েই নতুন বাংলাদেশ চলবে। পাবনায় আসতে যে কষ্ট হয়েছে। পাবনার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প প্রত্যক্ষভাবে দেখলাম।
পাবনাবাসীকে কতটা কষ্টে অবজ্ঞা ও অবহেলার মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। আগামীতে আপনাদের পাশে আমরা থাকব ইনশাআল্লাহ। আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবি উত্থাপন করা হবে।
এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জুলাই যুদ্ধাদের দেখতে পাবনাবাসী অধির আগ্রহে থাকে। বিকেল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ চত্বরে জড়ো হতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো শহর।
সিরাজগঞ্জ থেকে রাত সোয়া ১০টার দিকে পাবনা শহরের মুজাহিদ ক্লাব এলাকায় এলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পাবনার নেতারা তাদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর শহীদ চত্বরে মিনিট্রাকে বানানো অস্থায়ী মঞ্চে নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাহিন সরকার প্রমুখ।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.