২৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৪০
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ৩৪০ ফুট উঁচুতে একটি বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পাঁচ ঘণ্টা বসে ছিল শঙ্কর বেপারী বাহাদুর নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এতে গোটা উপজেলায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর স্থানীয় চার যুবকের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শঙ্কর বেপারী বাহাদুর (৩৮) উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাকাঠি গ্রামের মৃত নিকুঞ্জ বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড় এবং পূর্বপাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে। এ লাইন দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলায় বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে আসেন। সবার অগোচরে তিনি টাওয়ারের উঁচুতে ওঠে।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে দেখে নামতে বললে তিনি চূড়ায় উঠে যান। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে নামানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে চার যুবক তাকে উদ্ধার করে।
শংকর বেপারীর মা আলো রানী বেপারী বলেন, আমার ছেলেটি ছোটবেলায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব সময় চোখে চোখে রাখি।
কিন্তু হঠাৎ আজ সকালে তাকে ঘরে না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে নেছারাবাদ থানার পুলিশ হঠাৎ জানালে বিষয়টি জানতে পারি। আমি আমার ছেলেকে পেয়ে চিন্তামুক্ত হলাম।
নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর ১২টার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর স্থানীয় কিছু যুবকদের সাহসী প্রচেষ্টায় তাকে নামানো হয়েছে।
তাকে নেছারাবাদ থানায় নেওয়া হয়েছে। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের পরিবারকে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম বলেন, আমরা তাকে নামানোর জন্য ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছিলাম। যেহেতু টাওয়ার দিয়ে মেইন লাইন গেছে তাই বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করায় উপজেলার গোটা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিছু সাহসী ছেলেদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের এ দুঃসাহসী কাজের জন্য একটি প্রাণ বেঁচে গেল। উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা যুবকদের অফিসে ডেকে এনে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ৩৪০ ফুট উঁচুতে একটি বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পাঁচ ঘণ্টা বসে ছিল শঙ্কর বেপারী বাহাদুর নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। এতে গোটা উপজেলায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর স্থানীয় চার যুবকের প্রচেষ্টায় ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শঙ্কর বেপারী বাহাদুর (৩৮) উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাকাঠি গ্রামের মৃত নিকুঞ্জ বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড় এবং পূর্বপাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে। এ লাইন দিয়ে নেছারাবাদ উপজেলায় বিদ্যুতের মেইন লাইন টানা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচে আসেন। সবার অগোচরে তিনি টাওয়ারের উঁচুতে ওঠে।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে দেখে নামতে বললে তিনি চূড়ায় উঠে যান। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা বিদ্যুৎ বিভাগ খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে নামানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে চার যুবক তাকে উদ্ধার করে।
শংকর বেপারীর মা আলো রানী বেপারী বলেন, আমার ছেলেটি ছোটবেলায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। সে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব সময় চোখে চোখে রাখি।
কিন্তু হঠাৎ আজ সকালে তাকে ঘরে না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে নেছারাবাদ থানার পুলিশ হঠাৎ জানালে বিষয়টি জানতে পারি। আমি আমার ছেলেকে পেয়ে চিন্তামুক্ত হলাম।
নেছারাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর ১২টার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর স্থানীয় কিছু যুবকদের সাহসী প্রচেষ্টায় তাকে নামানো হয়েছে।
তাকে নেছারাবাদ থানায় নেওয়া হয়েছে। নেছারাবাদ থানার ওসি মো. বনি আমিন বলেন, তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের পরিবারকে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।
নেছারাবাদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম বলেন, আমরা তাকে নামানোর জন্য ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছিলাম। যেহেতু টাওয়ার দিয়ে মেইন লাইন গেছে তাই বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করায় উপজেলার গোটা বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিছু সাহসী ছেলেদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের এ দুঃসাহসী কাজের জন্য একটি প্রাণ বেঁচে গেল। উদ্ধারকার্যে অংশগ্রহণ করা যুবকদের অফিসে ডেকে এনে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৩
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৮
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.