২১ জুন, ২০২৫ ০৭:২৮
দুনিয়াটা বদলে গেছে। ক্লাসে শিক্ষক নেই, হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। তবু চলছে পাঠদান, চলছে চিকিৎসা। কারণ একটাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। যে প্রযুক্তি একসময় ছিল বিজ্ঞানের কাল্পনিক গল্পে, এখন তা আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। আর এবার সেই প্রযুক্তি পা রাখল এমন এক জায়গায়, যেখানে আগে কেবল প্রাণ বাজি রেখে দাঁড়াতে হতো।
সুইডেন এবার পাইলট ছাড়াই আকাশে ওড়াল এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান, যার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো মানুষ। ককপিট ফাঁকা, কিন্তু বিমান চলছে আরও বেশি গতিতে, আরও নিখুঁতভাবে, আরও ভয়ংকর কৌশলে।
এআই চালিত এই যুদ্ধবিমানগুলো এখন কেবল উড়ছে না। তারা নিজেরাই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে, যুদ্ধের কৌশল সাজাচ্ছে, শত্রুর গতিবিধি যাচাই করছে, আর প্রয়োজন হলে এক ঝটকায় ছুড়ে দিচ্ছে ধ্বংসের গোলা।
এই বিমানগুলোর মাথায় বসানো হয়েছে এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা। যা যেকোনো মুহূর্তে নির্ণয় করতে পারে কোথায় আঘাত করা সবচেয়ে কার্যকর, সেকেন্ডের ভেতরেই বিশ্লেষণ করে নেয় পিছিয়ে যাবে, না পাল্টা আঘাত হানবে এবং নিজের ক্ষমতা যাচাই করে সর্বোচ্চ ফলাফল দিতে পারে, এমনকি ডগফাইটে জিতে যেতে পারে পাইলট চালিত বিমানের সঙ্গেও!
সম্প্রতি এভিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ এক রিপোর্টে জানায়, সুইডেনের এই এআই চালিত যুদ্ধবিমানগুলো পরীক্ষামূলকভাবে সফলভাবে উড়েছে। এমনকি বাল্টিক সাগরের আকাশে একটি প্রতীকী যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়ে মানব-চালিত বিমানকে পরাজিত করে চমকে দিয়েছে সবার ধারণা। কোনো পাইলট ছাড়াই বিমান উড়েছে, কৌশল দেখিয়েছে, শত্রুকে আঘাত করেছে আর সবকিছু করেছে নিজের সিদ্ধান্তে।
জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থা Helsing এই প্রকল্পে কাজ করেছে। গত ২৮ মে থেকে ৩ জুন, এই সময়ের মধ্যে সুইডেনের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তিন দফা পরীক্ষা চালানো হয়।
সবগুলোতেই এআই যুদ্ধবিমান স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন করেছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল পরিবর্তন করেছে, শত্রু লক্ষ্য করে নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং জরুরি অবস্থায় অবতরণও সম্পূর্ণ নিরাপদে করতে পেরেছে
এই পরীক্ষাগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে স্পষ্ট হয়েছে বিমানগুলো শুধু উড়তে পারে না, যুদ্ধও করতে পারে, এবং মানুষ ছাড়াই জয় ছিনিয়ে আনতে পারে।
সুইডেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, এই বিমান এখনো গবেষণার আওতায় রয়েছে। তবে প্রাথমিক সফলতার পর এটি বিশ্বের সামরিক প্রযুক্তি অঙ্গনে রীতিমতো বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশই এখন এই প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিমানগুলো ভবিষ্যতের যুদ্ধকে পুরোপুরি বদলে দেবে। এটা শুধু একটি প্রযুক্তির প্রয়োগ নয়, এটি এমন এক যুগের ইঙ্গিত যেখানে যুদ্ধ হবে মানুষের চেয়ে বেশি যন্ত্রনির্ভর, আর সিদ্ধান্ত নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
দুনিয়াটা বদলে গেছে। ক্লাসে শিক্ষক নেই, হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। তবু চলছে পাঠদান, চলছে চিকিৎসা। কারণ একটাই, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। যে প্রযুক্তি একসময় ছিল বিজ্ঞানের কাল্পনিক গল্পে, এখন তা আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। আর এবার সেই প্রযুক্তি পা রাখল এমন এক জায়গায়, যেখানে আগে কেবল প্রাণ বাজি রেখে দাঁড়াতে হতো।
সুইডেন এবার পাইলট ছাড়াই আকাশে ওড়াল এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধবিমান, যার নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো মানুষ। ককপিট ফাঁকা, কিন্তু বিমান চলছে আরও বেশি গতিতে, আরও নিখুঁতভাবে, আরও ভয়ংকর কৌশলে।
এআই চালিত এই যুদ্ধবিমানগুলো এখন কেবল উড়ছে না। তারা নিজেরাই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে, যুদ্ধের কৌশল সাজাচ্ছে, শত্রুর গতিবিধি যাচাই করছে, আর প্রয়োজন হলে এক ঝটকায় ছুড়ে দিচ্ছে ধ্বংসের গোলা।
এই বিমানগুলোর মাথায় বসানো হয়েছে এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা। যা যেকোনো মুহূর্তে নির্ণয় করতে পারে কোথায় আঘাত করা সবচেয়ে কার্যকর, সেকেন্ডের ভেতরেই বিশ্লেষণ করে নেয় পিছিয়ে যাবে, না পাল্টা আঘাত হানবে এবং নিজের ক্ষমতা যাচাই করে সর্বোচ্চ ফলাফল দিতে পারে, এমনকি ডগফাইটে জিতে যেতে পারে পাইলট চালিত বিমানের সঙ্গেও!
সম্প্রতি এভিয়েশন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ এক রিপোর্টে জানায়, সুইডেনের এই এআই চালিত যুদ্ধবিমানগুলো পরীক্ষামূলকভাবে সফলভাবে উড়েছে। এমনকি বাল্টিক সাগরের আকাশে একটি প্রতীকী যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়ে মানব-চালিত বিমানকে পরাজিত করে চমকে দিয়েছে সবার ধারণা। কোনো পাইলট ছাড়াই বিমান উড়েছে, কৌশল দেখিয়েছে, শত্রুকে আঘাত করেছে আর সবকিছু করেছে নিজের সিদ্ধান্তে।
জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংস্থা Helsing এই প্রকল্পে কাজ করেছে। গত ২৮ মে থেকে ৩ জুন, এই সময়ের মধ্যে সুইডেনের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তিন দফা পরীক্ষা চালানো হয়।
সবগুলোতেই এআই যুদ্ধবিমান স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন করেছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশল পরিবর্তন করেছে, শত্রু লক্ষ্য করে নিখুঁতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং জরুরি অবস্থায় অবতরণও সম্পূর্ণ নিরাপদে করতে পেরেছে
এই পরীক্ষাগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে স্পষ্ট হয়েছে বিমানগুলো শুধু উড়তে পারে না, যুদ্ধও করতে পারে, এবং মানুষ ছাড়াই জয় ছিনিয়ে আনতে পারে।
সুইডেনের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, এই বিমান এখনো গবেষণার আওতায় রয়েছে। তবে প্রাথমিক সফলতার পর এটি বিশ্বের সামরিক প্রযুক্তি অঙ্গনে রীতিমতো বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশই এখন এই প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিমানগুলো ভবিষ্যতের যুদ্ধকে পুরোপুরি বদলে দেবে। এটা শুধু একটি প্রযুক্তির প্রয়োগ নয়, এটি এমন এক যুগের ইঙ্গিত যেখানে যুদ্ধ হবে মানুষের চেয়ে বেশি যন্ত্রনির্ভর, আর সিদ্ধান্ত নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
২১ জুন, ২০২৫ ০৮:০৩
জীবন রক্ষায় একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সংকটময় সময়ে পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী। স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে মানবিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। এতেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে নতুন গল্প লিখলেন কুদ্দুস বিশ্বাস। এই গল্প শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্য মানবিক বার্তা।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কুদ্দুস বিশ্বাস (৫০) দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের মতে, জীবনরক্ষার একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সময়ে তার স্ত্রী মোছা. ফারজানা (৩০) স্বামীকে বাঁচাতে এক নিজের একটি কিডনি স্বেচ্ছায় দান করেন।
এরপর সব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিল পাওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুর্কিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। ভালোবাসার এক কোমল উদাহরণ প্রিয় মানুষটিকে দিয়েছেন বেঁচে থাকার আলো।
দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে হেলিকপ্টার করে তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বাগআচড়া জনতা ইকোপার্ক মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করে।
এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফুল, মিষ্টি, ব্যানার আর শুভেচ্ছা বার্তায় বরণ করে নেন এলাকার এই পরিচিত মুখকে।
শার্শা উপজেলা সাবেক এমপি মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু চিকিৎসার সাফল্য নয়, এটা ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর মানবিকতার দৃষ্টান্ত। ফারজানা ভাবী শুধু একজন স্ত্রী নন, একজন সাহসী নারীও।’
জীবন রক্ষায় একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সংকটময় সময়ে পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী। স্বামীকে বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে মানবিক ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। এতেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে নতুন গল্প লিখলেন কুদ্দুস বিশ্বাস। এই গল্প শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজের জন্য মানবিক বার্তা।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া এলাকার বিশিষ্ট মাছ ব্যবসায়ী এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কুদ্দুস বিশ্বাস (৫০) দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসকদের মতে, জীবনরক্ষার একমাত্র উপায় ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন। এই সময়ে তার স্ত্রী মোছা. ফারজানা (৩০) স্বামীকে বাঁচাতে এক নিজের একটি কিডনি স্বেচ্ছায় দান করেন।
এরপর সব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মিল পাওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তুর্কিস্তানে পাঠানো হয়। সেখানকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। ভালোবাসার এক কোমল উদাহরণ প্রিয় মানুষটিকে দিয়েছেন বেঁচে থাকার আলো।
দীর্ঘ চার মাসের চিকিৎসা শেষে শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে হেলিকপ্টার করে তিনি নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বাগআচড়া জনতা ইকোপার্ক মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করে।
এ সময় পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। ফুল, মিষ্টি, ব্যানার আর শুভেচ্ছা বার্তায় বরণ করে নেন এলাকার এই পরিচিত মুখকে।
শার্শা উপজেলা সাবেক এমপি মো. মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু চিকিৎসার সাফল্য নয়, এটা ভালোবাসা, আত্মত্যাগ আর মানবিকতার দৃষ্টান্ত। ফারজানা ভাবী শুধু একজন স্ত্রী নন, একজন সাহসী নারীও।’
২০ জুন, ২০২৫ ১০:৫২
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পীরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল কারাগারে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তার মালিকানাধীন মোট ৩ হাজার ১৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছেন। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে তার সম্পদ ইতোমধ্যে ক্রোক করা হয়েছে এবং ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, পীরগঞ্জে নূর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন ‘আনন্দনগর’ নামে একটি পিকনিক স্পট কাম বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এ সম্পত্তিও মামলার আওতায় রয়েছে। বর্তমানে ওই বিনোদনকেন্দ্রে পীরগঞ্জ থানার ওসিকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের পরপর দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং টানা তিনবার পীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পীরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল কারাগারে গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল বৈধ আয়ের উৎস ছাড়াই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তার মালিকানাধীন মোট ৩ হাজার ১৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছেন। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে তার সম্পদ ইতোমধ্যে ক্রোক করা হয়েছে এবং ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, পীরগঞ্জে নূর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন ‘আনন্দনগর’ নামে একটি পিকনিক স্পট কাম বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। এ সম্পত্তিও মামলার আওতায় রয়েছে। বর্তমানে ওই বিনোদনকেন্দ্রে পীরগঞ্জ থানার ওসিকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নূর মোহাম্মদ মণ্ডল রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের পরপর দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এবং টানা তিনবার পীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০ জুন, ২০২৫ ১০:৪৫
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এমন ভিডিওকে 'আপত্তিকর' দাবি করে তার শাস্তিও দাবি করেছেন অনেকে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে ভিডিওটি টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করছেন, ওই নারী জেলা প্রশাসকের স্ত্রী হতে পারেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভাইরাল ওই নারী জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী নন।
প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে প্রথমে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ওই নারীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, 'শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন।
একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে (ওই নারীকে) বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া আছে।'
এর পর থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তবে ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে এবং ভিডিওতে থাকা নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মরত একজন নারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, 'ভাইরাল ভিডিওটি আমরা দেখেছি। স্যারের মিসেসকে চিনি, ভিডিওতে থাকা ওই নারী স্যারের মিসেস নন।'
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ভাড়া করা একটি গাড়িতে শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, 'গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষে ডিসি স্যার বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। আর কোন তথ্য আমার জানা নেই।'
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, 'আমরা শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভাইরাল ভিডিও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। একজন জেলা প্রশাসকের এমন ছবি-ভিডিও খুবই দুঃখজনক। ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এমন ভিডিওকে 'আপত্তিকর' দাবি করে তার শাস্তিও দাবি করেছেন অনেকে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে ভিডিওটি টেলিগ্রাম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ দাবি করছেন, ওই নারী জেলা প্রশাসকের স্ত্রী হতে পারেন। তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভাইরাল ওই নারী জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের স্ত্রী নন।
প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে প্রথমে এ বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ওই নারীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, 'শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন।
একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে (ওই নারীকে) বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া আছে।'
এর পর থেকেই বিষয়টি সামনে আসে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তবে ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে এবং ভিডিওতে থাকা নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মরত একজন নারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, 'ভাইরাল ভিডিওটি আমরা দেখেছি। স্যারের মিসেসকে চিনি, ভিডিওতে থাকা ওই নারী স্যারের মিসেস নন।'
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ভাড়া করা একটি গাড়িতে শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, 'গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষে ডিসি স্যার বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন তিনি শরীয়তপুরে নেই। আর কোন তথ্য আমার জানা নেই।'
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান বলেন, 'আমরা শুক্রবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভাইরাল ভিডিও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। একজন জেলা প্রশাসকের এমন ছবি-ভিডিও খুবই দুঃখজনক। ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.