১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪৮
ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক শালীনতা ও নারীর মর্যাদা রক্ষার উদাহরণ হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় উদ্বোধন করা হয়েছে ‘পর্দা কর্নার’। পর্দানশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এ কর্নারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন। এছাড়া লাইব্রেরিয়ান অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা জনি জানান, নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বিবেচনা করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার বলেন, “আগে ছেলেদের ভিড়ে ক্যাফেটেরিয়ায় বসা অস্বস্তিকর ছিল। এখন পর্দা কর্নারে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে খাবার গ্রহণ করতে পারব।”
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করা আমাদের প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্যোগ সেই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেবে।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় তখনই উন্নত হয়, যখন সেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা সমুন্নত থাকে। এই ‘পর্দা কর্নার’ নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান ও সহমর্মিতার মানবিক উদাহরণ।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “পবিপ্রবি কেবল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র নয়—এটি নৈতিকতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অঙ্গন। নারী সমাজের অর্ধাংশ; তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন মানে মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। ‘পর্দা কর্নার’ সেই সম্মান ও মর্যাদার বাস্তব প্রতিফলন।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর এমন উদ্যোগকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকের মতে, এটি শুধু একটি কর্নার নয়—বরং শালীনতা, নৈতিকতা ও বিশ্বাসের সমন্বয়ে নতুন সামাজিক সংস্কৃতির সূচনা।
ধর্মীয় মূল্যবোধ, সামাজিক শালীনতা ও নারীর মর্যাদা রক্ষার উদাহরণ হিসেবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় উদ্বোধন করা হয়েছে ‘পর্দা কর্নার’। পর্দানশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এ কর্নারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন। এছাড়া লাইব্রেরিয়ান অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা জনি জানান, নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা বিবেচনা করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার বলেন, “আগে ছেলেদের ভিড়ে ক্যাফেটেরিয়ায় বসা অস্বস্তিকর ছিল। এখন পর্দা কর্নারে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে খাবার গ্রহণ করতে পারব।”
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করা আমাদের প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্যোগ সেই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেবে।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় তখনই উন্নত হয়, যখন সেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা সমুন্নত থাকে। এই ‘পর্দা কর্নার’ নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান ও সহমর্মিতার মানবিক উদাহরণ।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “পবিপ্রবি কেবল জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র নয়—এটি নৈতিকতা, মানবিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অঙ্গন। নারী সমাজের অর্ধাংশ; তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন মানে মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। ‘পর্দা কর্নার’ সেই সম্মান ও মর্যাদার বাস্তব প্রতিফলন।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর এমন উদ্যোগকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকের মতে, এটি শুধু একটি কর্নার নয়—বরং শালীনতা, নৈতিকতা ও বিশ্বাসের সমন্বয়ে নতুন সামাজিক সংস্কৃতির সূচনা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৭
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৫৭
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:৩১
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪৮
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:১৭
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউপির ধুলিয়া কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের প্রতিবাদে সোমবার (১৩ অক্টাবর) সকাল ১০ টার দিকে বিক্ষোভ করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইমরান হাওলাদার (২৫)-এর মালিকানাধীন ‘মা টেলিকম’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ইমরান ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, “আমি সোমবার সকাল ৮ টার দিকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ ইমরান কুপ্রস্তাব দেয়।
আমি রাজি না হলে সে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি ভয় পেয়ে দোকান থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসি।” সহপাঠী রাফি বলেন, “আমাদের সহপাঠী ছবি তুলতে গেলে দোকানদার তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।” তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে কুপ্রস্তাব দিইনি। কয়েকজন ছবি তুলতে এসেছিল, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউপির ধুলিয়া কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের প্রতিবাদে সোমবার (১৩ অক্টাবর) সকাল ১০ টার দিকে বিক্ষোভ করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইমরান হাওলাদার (২৫)-এর মালিকানাধীন ‘মা টেলিকম’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ইমরান ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, “আমি সোমবার সকাল ৮ টার দিকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছবি তুলতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ ইমরান কুপ্রস্তাব দেয়।
আমি রাজি না হলে সে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি ভয় পেয়ে দোকান থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসি।” সহপাঠী রাফি বলেন, “আমাদের সহপাঠী ছবি তুলতে গেলে দোকানদার তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।” তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইমরান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে কুপ্রস্তাব দিইনি। কয়েকজন ছবি তুলতে এসেছিল, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৫৩
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাৎ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন উপজেলার রণগোপালদি ইউনিয়নে ২ হাজার ২৭০ জন নিবন্ধিত জেলের প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে রনগোপালদী ইউনিয়নে চাল বিতরণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেল। তিনি জানান, ইউনিয়নের মোট বরাদ্দ অনুযায়ী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের কাছে ৩১০ জন জেলের জন্য ১৫৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, মোশারেফ হোসেন ওই চালের মধ্যে ১৪ বস্তা (২৮ জনের বরাদ্দ) নিজে আত্মসাৎ করেন এবং আরও ৬ বস্তা (১২ জনের বরাদ্দ) ‘ক্যারিং খরচ’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি নানাভাবে চেষ্টা চালান, এমনকি টাকা-পয়সার প্রলোভনও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিকশাচালক জালাল বলেন, আমার রিকশায় ৬ বস্তা চাল মোশারেফ মেম্বার আর বারেক ফকির আমাকে তুলে দিয়েছে, এই চাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিতে। এক বস্তা ঢালি বাড়ি দিতে, বাকিটা ফকির বাড়ি রাখতে। আমি ভাড়ার বিনিময়ে চাল টানছিলাম।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বারেক মিয়া জানান, অনেকে চাল নিতে আসেনাই মোশারেফ মেম্বার বলছে, এই আট বস্তা চাল রাখতে। আমি পাহারা দিচ্ছি, সে এসে যা করার করবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, চাল বিতরণের সময় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্যারিং খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয় তবে সে টাকা পিআইও চেয়ারম্যান আমাদের দেয় না। আমি ৬ বস্তা চাল বিক্রি করেছি ক্যারিং খরচের জন্য।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যকে নিয়মমাফিক চাল বুঝিয়ে দিয়েছি এবং ক্যারিং খরচ বাবদ অর্থও প্রদান করেছি। চাল বিক্রির প্রশ্নই আসে না। যদি তিনি চাল বিক্রির কথা স্বীকার করেন, তবে আমি বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাব।
সমাজসেবা কর্মকর্তা (প্রশাসক) মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনকে নিয়ম অনুযায়ী চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বিক্রির ঘটনা সত্য হয়, তবে নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণের ক্যারিং খরচের সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে কেউ এই টাকা তোলেনি। মোশারেফ হোসেনের দাবি সম্পূর্ণ মনগড়া। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, আজ রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণ হয়েছে। ইউপি সদস্যের চাল বিক্রির অভিযোগ আপনার মাধ্যমে জানলাম। সরকারি চাল আত্মসাৎ বা বিক্রি করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। কেউ যদি এমন কাজ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে জেলেদের চাল আত্মসাৎ ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন উপজেলার রণগোপালদি ইউনিয়নে ২ হাজার ২৭০ জন নিবন্ধিত জেলের প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। রোববার সকাল ১০টার দিকে রনগোপালদী ইউনিয়নে চাল বিতরণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেল। তিনি জানান, ইউনিয়নের মোট বরাদ্দ অনুযায়ী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনের কাছে ৩১০ জন জেলের জন্য ১৫৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি) চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ উঠেছে, মোশারেফ হোসেন ওই চালের মধ্যে ১৪ বস্তা (২৮ জনের বরাদ্দ) নিজে আত্মসাৎ করেন এবং আরও ৬ বস্তা (১২ জনের বরাদ্দ) ‘ক্যারিং খরচ’ দেখিয়ে বিক্রি করে দেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি নানাভাবে চেষ্টা চালান, এমনকি টাকা-পয়সার প্রলোভনও দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের রিকশাচালক জালাল বলেন, আমার রিকশায় ৬ বস্তা চাল মোশারেফ মেম্বার আর বারেক ফকির আমাকে তুলে দিয়েছে, এই চাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিতে। এক বস্তা ঢালি বাড়ি দিতে, বাকিটা ফকির বাড়ি রাখতে। আমি ভাড়ার বিনিময়ে চাল টানছিলাম।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বারেক মিয়া জানান, অনেকে চাল নিতে আসেনাই মোশারেফ মেম্বার বলছে, এই আট বস্তা চাল রাখতে। আমি পাহারা দিচ্ছি, সে এসে যা করার করবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন বলেন, চাল বিতরণের সময় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্যারিং খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয় তবে সে টাকা পিআইও চেয়ারম্যান আমাদের দেয় না। আমি ৬ বস্তা চাল বিক্রি করেছি ক্যারিং খরচের জন্য।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. অলিউল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যকে নিয়মমাফিক চাল বুঝিয়ে দিয়েছি এবং ক্যারিং খরচ বাবদ অর্থও প্রদান করেছি। চাল বিক্রির প্রশ্নই আসে না। যদি তিনি চাল বিক্রির কথা স্বীকার করেন, তবে আমি বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাব।
সমাজসেবা কর্মকর্তা (প্রশাসক) মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেনকে নিয়ম অনুযায়ী চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি বিক্রির ঘটনা সত্য হয়, তবে নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণের ক্যারিং খরচের সকল তথ্য ও ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে। ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে কেউ এই টাকা তোলেনি। মোশারেফ হোসেনের দাবি সম্পূর্ণ মনগড়া। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, আজ রনগোপালদী ইউনিয়নে জেলে চাল বিতরণ হয়েছে। ইউপি সদস্যের চাল বিক্রির অভিযোগ আপনার মাধ্যমে জানলাম। সরকারি চাল আত্মসাৎ বা বিক্রি করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। কেউ যদি এমন কাজ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪৮
পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ-পুলিশের স্পিডবোটের ধাওয়ায় তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি রাসেল খান (৩৫) নামের এক যুবকের। অব্যাহত রয়েছে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের উদ্ধার অভিযান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া-ডালিমা নদী পয়েন্ট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি এবং স্থানীয় বড়ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অবরোধের সুযোগে কম দামে ইলিশ মাছ কিনতে রাসেল খান প্রতিবেশী রাকিব, হাসান ও মাহবুব নামে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে যান। এসময় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের একটি স্পিডবোট অভিযানে গেলে তারা ধাওয়া খায়। ধাওয়া থেকে বাঁচতে গিয়ে ভয় পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন রাসেল খান, এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন বরিশালটাইমসকে বলেন, রাসেল খানকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের সকল ইউনিটকে অবহিত করা হয়েছে। আমাদের টিম এখনো টহলে আছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি চলছে।
পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ-পুলিশের স্পিডবোটের ধাওয়ায় তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সন্ধান মেলেনি রাসেল খান (৩৫) নামের এক যুবকের। অব্যাহত রয়েছে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলের উদ্ধার অভিযান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া-ডালিমা নদী পয়েন্ট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি এবং স্থানীয় বড়ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে অবরোধের সুযোগে কম দামে ইলিশ মাছ কিনতে রাসেল খান প্রতিবেশী রাকিব, হাসান ও মাহবুব নামে তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে যান। এসময় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের একটি স্পিডবোট অভিযানে গেলে তারা ধাওয়া খায়। ধাওয়া থেকে বাঁচতে গিয়ে ভয় পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন রাসেল খান, এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন বরিশালটাইমসকে বলেন, রাসেল খানকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের সকল ইউনিটকে অবহিত করা হয়েছে। আমাদের টিম এখনো টহলে আছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.