২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১২:১৩
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত এক সিভিল স্টাফকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটে কারাগারের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।আটককৃত মো. আব্দুস শুকুর (৩৬) মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার খুনিরটক গ্রামের মো. সহিমুদ্দিনে ছেলে। তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিভিল স্টাফ (ব্লাকস্মিথ) ছিলেন।
কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম জানান, ওই সময় তিনি কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের উদ্দেশ্যে প্রধান ফটকে আসেন। তল্লাশির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম তার দেহ তল্লাশি করেন।
এ সময় শুকুরের ডান বগল থেকে ১২০ গ্রাম গাঁজাসদৃশ মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ আটককৃতকে মাদকসহ কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত এক সিভিল স্টাফকে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটে কারাগারের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।আটককৃত মো. আব্দুস শুকুর (৩৬) মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার খুনিরটক গ্রামের মো. সহিমুদ্দিনে ছেলে। তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিভিল স্টাফ (ব্লাকস্মিথ) ছিলেন।
কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম জানান, ওই সময় তিনি কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের উদ্দেশ্যে প্রধান ফটকে আসেন। তল্লাশির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আবুল হাশেম তার দেহ তল্লাশি করেন।
এ সময় শুকুরের ডান বগল থেকে ১২০ গ্রাম গাঁজাসদৃশ মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ আটককৃতকে মাদকসহ কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:২৭
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় অতর্কিতে আক্রমণ চালায় ‘সন্ত্রাসীরা’।গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ দাবি করেন, গত বছরের আগস্টে আশপাশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে যেসব অস্ত্র লুট করা হয়েছিল, এ হামলায় সেসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে।
ওসি আজাদ আরও জানান, হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেলমেট, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা ছিল। তারা অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। হামলার মুখে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে পালিয়ে যায় ‘সন্ত্রাসীরা’। এতে পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় অতর্কিতে আক্রমণ চালায় ‘সন্ত্রাসীরা’।গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ দাবি করেন, গত বছরের আগস্টে আশপাশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালিয়ে যেসব অস্ত্র লুট করা হয়েছিল, এ হামলায় সেসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে।
ওসি আজাদ আরও জানান, হামলাকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেলমেট, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা ছিল। তারা অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। হামলার মুখে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে পালিয়ে যায় ‘সন্ত্রাসীরা’। এতে পুলিশের কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩৬
বরিশালের মুলাদীতে রাতের আধারে আগুন দিয়ে বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা ব্যাপারীর হাটে অবস্থিত কার্যালয়টি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি খুলে দেওয়া কার্যালয়টিতে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা আগুন দিতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আগুনে কার্যালয়ের ভেতরের আসবাবপত্র, টেলিভিশনসহ কাগজপত্র পুড়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সফিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মাঝি।
তিনি জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে কার্যালয়টি বন্ধ করে নেতাকর্মীরা চলে যায়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বিএনপি কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখে ডাকচিৎকার দেন এবং বিষয়টি মোবাইল ফোনে নেতাকর্মীদের জানান। পরে লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং মঙ্গলবার সকালে থানায় জিডি করা হয়।
স্থানীয় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির কার্যালয়টি খুলতে দেওয়া হয়নি। গত বছর আগস্টে কার্যালয়টি সংস্কার করে চালু করা হলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার গভীর রাতে তারা কার্যালয়টি পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার এসআই মো. মাসুদ বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে আগুনের বিষয়ে জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশালের মুলাদীতে রাতের আধারে আগুন দিয়ে বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা ব্যাপারীর হাটে অবস্থিত কার্যালয়টি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি খুলে দেওয়া কার্যালয়টিতে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা আগুন দিতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আগুনে কার্যালয়ের ভেতরের আসবাবপত্র, টেলিভিশনসহ কাগজপত্র পুড়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সফিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মাঝি।
তিনি জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে কার্যালয়টি বন্ধ করে নেতাকর্মীরা চলে যায়। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বিএনপি কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখে ডাকচিৎকার দেন এবং বিষয়টি মোবাইল ফোনে নেতাকর্মীদের জানান। পরে লোকজন এসে আগুন নেভায় এবং মঙ্গলবার সকালে থানায় জিডি করা হয়।
স্থানীয় বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপির কার্যালয়টি খুলতে দেওয়া হয়নি। গত বছর আগস্টে কার্যালয়টি সংস্কার করে চালু করা হলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার গভীর রাতে তারা কার্যালয়টি পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মুলাদী থানার এসআই মো. মাসুদ বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে আগুনের বিষয়ে জিডি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১০
ফেনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি মামলায় মো. হাসান (২২) নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে মাথিয়ারা এলাকায় হারুনের পিংকি স্টোরে এলাকার কিশোর-যুবকরা টেলিভিশনে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে। এতে বিরক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম ভূঞা যুবকদেরকে হৈ-হুল্লোড় করতে বারণ করেন।
যুবকরা তার কথা না শোনায় তিনি ওই এলাকার ৪ যুবকের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পর ১৮ আগস্ট রাতে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কিশোর-যুবককে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৬ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে সিএনজি অটোরিকশা চালক হানিফের ছেলে হাসানকে আগস্ট অভ্যুত্থানের আহতের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১৮ আগস্ট আটকরা সবাই ক্রীড়াপ্রেমী। তারা ওই দোকানে সব সময় টিভিতে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা কেউ এলাকার খারাপ ছেলে নয়। তাদেরকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শুধুমাত্র হাসানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় আমরা হতবাক।
হাসান আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। ২ আগস্ট সে তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করায় তাকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা মারধরের চেষ্টাও করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নানাভাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিল।
পার্শ্ববর্তী ধোনসাহাদ্দা এলাকার গ্যাজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আদনান হোসেন অতুল জানান, হাসান আমার সঙ্গে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ওই সময়ে আমরা নানা কর্মসূচিতে একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। এলাকার সন্ত্রাসীদের ভয়ে তখন এগুলো আমরা কোথাও প্রচার করতাম না।
আমার সহযোদ্ধা হাসানকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি জুলাই আহত ব্যক্তির মামলার মেরিট নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। এ মামলার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের হয়রানি কোনোভাবে কাম্য নয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক বলেন, হাসানসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারাতো খারাপ ছেলে নয়। তারা দোকানে খেলা দেখে চিৎকার; চেঁচামেছি করতো। এ ঘটনায় আটক করে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী হাসানের বাবা হানিফ বলেন, আমার ছেলেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলতে দেখিনি। কোর্ট থেকে মামলার কাগজ তুলে দেখি, সেখানে আমার ছেলেকে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। আমার ছেলে নাকি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তাকিয়া রোডে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
এসব নাকি আমার ছেলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। সবই আমার ছেলেকে জেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যাচার। আমার অসুস্থ ছেলের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করে হয়রানি করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। আমার ছেলের মুক্তি চাই।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে আহত এক ব্যক্তির মামলার তদন্তে গ্রেফতার হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এখানে কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়নি।
ফেনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি মামলায় মো. হাসান (২২) নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে মাথিয়ারা এলাকায় হারুনের পিংকি স্টোরে এলাকার কিশোর-যুবকরা টেলিভিশনে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে। এতে বিরক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম ভূঞা যুবকদেরকে হৈ-হুল্লোড় করতে বারণ করেন।
যুবকরা তার কথা না শোনায় তিনি ওই এলাকার ৪ যুবকের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পর ১৮ আগস্ট রাতে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কিশোর-যুবককে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৬ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে সিএনজি অটোরিকশা চালক হানিফের ছেলে হাসানকে আগস্ট অভ্যুত্থানের আহতের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১৮ আগস্ট আটকরা সবাই ক্রীড়াপ্রেমী। তারা ওই দোকানে সব সময় টিভিতে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা কেউ এলাকার খারাপ ছেলে নয়। তাদেরকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শুধুমাত্র হাসানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় আমরা হতবাক।
হাসান আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। ২ আগস্ট সে তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করায় তাকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা মারধরের চেষ্টাও করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নানাভাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিল।
পার্শ্ববর্তী ধোনসাহাদ্দা এলাকার গ্যাজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আদনান হোসেন অতুল জানান, হাসান আমার সঙ্গে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ওই সময়ে আমরা নানা কর্মসূচিতে একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। এলাকার সন্ত্রাসীদের ভয়ে তখন এগুলো আমরা কোথাও প্রচার করতাম না।
আমার সহযোদ্ধা হাসানকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি জুলাই আহত ব্যক্তির মামলার মেরিট নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। এ মামলার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের হয়রানি কোনোভাবে কাম্য নয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক বলেন, হাসানসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারাতো খারাপ ছেলে নয়। তারা দোকানে খেলা দেখে চিৎকার; চেঁচামেছি করতো। এ ঘটনায় আটক করে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী হাসানের বাবা হানিফ বলেন, আমার ছেলেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলতে দেখিনি। কোর্ট থেকে মামলার কাগজ তুলে দেখি, সেখানে আমার ছেলেকে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। আমার ছেলে নাকি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তাকিয়া রোডে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
এসব নাকি আমার ছেলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। সবই আমার ছেলেকে জেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যাচার। আমার অসুস্থ ছেলের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করে হয়রানি করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। আমার ছেলের মুক্তি চাই।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে আহত এক ব্যক্তির মামলার তদন্তে গ্রেফতার হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এখানে কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়নি।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.