primary-ads

পটুয়াখালী

২৮ লাখ টাকার কালভার্টের নেই সংযোগ সড়ক

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

১৩ জুন, ২০২৫ ০৭:২১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

২৮ লাখ টাকার কালভার্টের নেই সংযোগ সড়ক

পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নের ইউসুফপুর গ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে একটি নতুন কালভার্ট। তবে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে এলাকাবাসীর চলাচলে তৈরি হয়েছে চরম দুর্ভোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ইউসুফপুরসহ আশপাশের গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাশের সরু বাঁধ দিয়ে হাঁটুসমান কাদায় নেমে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও স্কুল-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। বর্ষায় চলাচল আরো বেশি বিপজ্জনক। এছাড়া জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ সিকদার বলেন, ‘এই বয়সে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। জোয়ারের সময় বাঁধে পানি উঠে গেলে চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন কাদা-পানি পেরিয়ে যেতে হয়। অনেকেই কাদায় পড়ে যায়। প্রতিদিন যেন যুদ্ধ করে বাঁচি।’

শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের মাদরাসা কালভার্টের ওপারে। এখান থেকে যেতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যাই। কখনো কখনো ক্লাসেই যেতে পারি না।’

পথচারী আছিয়া বেগম বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে প্রায়ই এ পথ দিয়ে চলাচল করি। খুব ভয় লাগে, কখন জানি পা পিছলে পড়ে যাই। এই দীর্ঘদিনের কষ্ট থেকে মুক্তি চাই।’

এলাকার অনেকে জানান, সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটছে। জরুরি রোগী, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনেক সময় সময়মতো পৌঁছানো যায় না। এতে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি তাদের।

স্থানীয় জামায়াত নেতা তোফাজ্জেল হোসাইন সিপাহী বলেন, ‘সরকারি অর্থে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো তৈরি করে ফেলে রাখা দুঃখজনক। সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অতিসত্বর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হোক।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোকসেদুল আলম বলেন, ‘কালভার্টটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই এলাকাবাসী এর সুফল পাবে।’

বাউফলে বিএনপি’র নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৩ জুন, ২০২৫ ১৪:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে বিএনপি’র নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএনপির ৪ নেতার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে কালাইয়া ইউপির কপুরকাঠি গ্রামে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম রিজভি, রিয়াজ হোসেন বাদশা, জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত,মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল, আতাহার উদ্দিন সিকদার।

গত ৮ জুন রাত ৯টার দিকে স্থানীয় হালিম, মোকলেসের নেতৃত্ব ৮-১০ জন লোক মধ্য কপুরকাঠি গ্রামে মোকলেস হাওলাদর বাড়ির সামনে জিয়া সৈনিক দলের সদস্য মো. আরিফ হাজি, একই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন সবুজ, কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাইফুল আলম রিজভি ও ইউনিয়ন ছাত্র নেতা ঈমাম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।

এঘটনার পর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। কিন্তু ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।’

বাউফলে বিএনপি’র নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৩ জুন, ২০২৫ ১১:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে বিএনপি’র নেতা কর্মীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএনপির ৪ নেতার উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে কালাইয়া ইউপির কপুরকাঠি গ্রামে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম রিজভি, রিয়াজ হোসেন বাদশা, জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত,মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল, আতাহার উদ্দিন সিকদার।

উল্লেখ্য গত ৮ জুন রাত ৯টার দিকে স্থানীয় হালিম, মোকলেসের নেতৃত্ব ৮-১০ জন লোক মধ্য কপুরকাঠি গ্রামে মোকলেস হাওলাদর বাড়ির সামনে জিয়া সৈনিক দলের সদস্য মো. আরিফ হাজি, একই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন সবুজ, কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাইফুল আলম রিজভি ও ইউনিয়ন ছাত্র নেতা ঈমাম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এঘটনার পর থানায় এজাহার দাখিল করা হয়। কিন্তু ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

পটুয়াখালীতে ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই বিএনপির বিক্ষোভ

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৩ জুন, ২০২৫ ১১:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পটুয়াখালীতে ১৪৪ ধারা জারির মধ্যেই বিএনপির বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ১৪৪ ধারা চলাকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে দশমিনা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

জানা গেছে, দশমিনা উপজেলাধীন দশমিনা সদর ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দল একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং উভয়পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কায় শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে আগামী ১৫ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান।

ওই সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব ধরনের দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যার পরে গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে এ ঘটনায় ৪ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ নুরকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম শানু জানান, আমরা বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেই।

সেই কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকালে আমরা কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে বসে আছে কিন্তু তা আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশের পরে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং শুনতে পাই। এরপর আমাদের পূর্ব ঘোষিত আর কোনো প্রোগ্রাম পালন করা হয়নি।

এদিকে গলাচিপা উপজেলায়ও গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি একই সময়ে কর্মসূচি দেওয়ায় সেখানেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এ ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ওই স্থান দুটিতে। এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.