Bkash

বরগুনা

বরগুনার পাথরঘাটায় লজিক প্রকল্পের যুব সমন্বয় সভা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ আগস্ট, ২০২৫ ২১:১৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনার পাথরঘাটায় লজিক প্রকল্পের যুব সমন্বয় সভা

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় লোকাল গভর্ণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্পের আওতাভুক্ত যুবদের অংশগ্রহণে প্রকল্পের কার্যক্রমের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন ও অগ্রগতি বিষয়ক দিনব্যাপী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে লজিক প্রকল্পের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মো. জিল্লুর রহমান, পাথরঘাটা উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, এবং বিভিন্ন সংগঠনের যুব প্রতিনিধিরা। এ সময় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের (কাকচিড়া, নাচনাপাড়া, কাঠালতলী ও রায়হানপুর) ৪০ জন যুব সদস্য এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত কমিউনিটি মোবিলাইজেশন ফ্যাসিলিটেটররা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় জেলা সমন্বয়কারী মো. জিল্লুর রহমান প্রকল্পের অংশীজন হিসেবে যুবদের করণীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে যুব জনগোষ্ঠীকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে পিছিয়ে পড়া উপকূলীয় অঞ্চলের যুবশক্তিকে কর্ম-উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।”

অন্যদিকে সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, “আমাদের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যুবদের উন্নয়নে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নে বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে (কাকচিড়া, নাচনাপাড়া, কাঠালতলী ও রায়হানপুর) লজিক প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তালতলীতে ঘুষ ফেরত দিলেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তালতলীতে ঘুষ ফেরত দিলেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে নতুন ভোটার নিবন্ধনের নামে ঘুষ নেয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ)।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবগীর নেছার উদ্দিন নতুন ভোটার হতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়।

পরে গতকাল বুধবার দুপুরে ঐ নেছার উদ্দিন ভোটার করতে আসলে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ) বলেন ৫'শ টাকা না দিলে আপনার ভোটর করানো হবে না এবং করলেও বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার বাতিল করার ভয় দেখানো হলে তিনি বাধ্য হয়ে টাকা দেন।

তবে দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয়দের চাপের মুখে আরিফ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওতে আরিফ বলেন আমাকে চা খেতে টাকা দিয়েছে ঐ লোক ।

এই টাকা নেওয়া আমার ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতেছি। তবে তিনি এই একজনের কাছ থেকে ৫'শ টাকা নিয়ে থেমে নেই। নতুন ভোটার করতে হলেই তাকে ৫'শ টাকা দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে ওই নির্বাচন কমিশন অফিসে।

অভিযোগ রয়েছে, শামসুল আলম আরিফের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা নিয়ে বয়স সংশোধনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সাধারণ মানুষের দাবি, তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিস ‘দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অপারেটর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।

টাকা ফেরত দিলেও শুরুতে যে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেওয়া হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ যদি ন্যায্য প্রক্রিয়ায় ভোটার হতে না পারে, তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।”

স্থানীয় মোস্তাফিজ বলেন, “নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম আরিফ বলেন, “আমাকে শুধু চা খাওয়ার টাকা দিয়ে গেছেন। আমি ভুল করেছি, ক্ষমা চাই। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।”

তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, “যেহেতু ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাই এ নিয়ে নিউজ করিয়েন না।

জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের টাকা দিতে হয় না। এই টাকা নিয়ে যারা ভোটার নিবন্ধন করেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনায় বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় ১২ আইনজীবী কারাগারে

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলায় ১২ আইনজীবী কারাগারে

বরগুনায় বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় একসঙ্গে ‘আওয়ামীপন্থি’ ১২ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আইনজীবীরা হলেন- বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল বারি আসলাম, মো. মজিবর রহমান, ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মজিবুল হক কিসলু, হুমায়ুন কবির পল্টু, জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইমরান হোসাইন, সাইমুল ইসলাম রাব্বি, আবদুর রহমান জুয়েল ও আমিরুল ইসলাম মিলন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমীন। মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের ঘটনা উল্লেখ করে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ওই দিন বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বরগুনা জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন, যাতে ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন। পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৪ জুলাই তারা আবারও জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেদিন নথি তলব করে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। মঙ্গলবার শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল মোতালেব মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আবারও জামিনের জন্য আবেদন করবো। আসামিরা প্রত্যেকেই কোর্টে নিয়মিত কর্মরত আছেন। পালানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া মামলাটি দুই বছর আগের রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে করা হয়েছে।

তবে এর মধ্যে অনেক আসামি আওয়ামী লীগের সদস্যও নন।’অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমীন বলেন, ‘মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে, যা জামিনযোগ্য।’

বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তাসফিয়া তাসনিম (১৫) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ জন।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসফিয়ার মৃত্যু হয়। মৃত তাসফিয়া সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং বদরখালী সিনিয়র মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নাসিম ফারুকের মেয়ে। সে বরগুনা এভারগ্রিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মেধাবী শিক্ষার্থী তাসফিয়া তাসনিমের মৃত্যুতে পরিবার ও সহপাঠীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে তাসফিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপরে কিছুটা সুস্থ হয়ে যায় সে। এর সপ্তাহখানেক পরেই তার বাবা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে বরগুনায় চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়।

বাবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে তাসফিয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বরগুনায় চিকিৎসা শেষে ডাক্তার তাকে রিলিজ দেন। হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার পরেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তাসফিয়া।

এরপর তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে মারা যান। পাশাপাশি তার ভাইয়ের স্ত্রীও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট ) বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরগুনা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন এবং পাথরঘাটায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা একজন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২২ জন।

এ বছর জেলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৬৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৪৩ জন। এ ছাড়া বরগুনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৭ জন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বরগুনার বাইরে চিকিৎসা নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে বরগুনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪ জন।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘আশা করি দু-এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার সব যায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের ডেঙ্গুর পাশাপাশি আরও রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.