dreamliferupatolibarisal

পিরোজপুর

বিএনপির প্রবীণ নেতার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করলেন তারেক রহমান

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:৪৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপির প্রবীণ নেতার শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করলেন তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পিরোজপুর জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা মোতালেব আকনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রবীণ নেতা মোতালেব আকন তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে তার এই দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা উঠে আসলে বিষয়টি তারেক রহমানের নজরে আসে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারেক রহমান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে নির্দেশ দেন মোতালেব আকনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। এরপরই শুরু হয় ভার্চুয়াল সাক্ষাতের প্রস্তুতি।

সোমবার ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবীণ এ নেতা মোতালেব আকনের সঙ্গে যুক্ত হন তারেক রহমান। উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে শুরু হয় আবেগঘন এ সাক্ষাৎ।

সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাড রুহুল কবির রিজভী। আমারা বিএনপি পরিবার এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, দৈনিক কালের কণ্ঠের যুগ্ম সম্পাদক এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাফিজ আল আসাদ সাঈদ খান সহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় এ্যাড রুহুল কবির রিজভী পিরোজপুরে উপস্থিত থেকে মোতালেব আকনের হাতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, "এই উদ্যোগ কেবল একজন প্রবীণ নেতার স্বপ্নপূরণ নয়, বরং বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতি দেশনায়কের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। তারেক রহমান বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, একজন সংবেদনশীল, মানবিক এবং স্মৃতিশক্তি সমৃদ্ধ নেতাও।"

সাক্ষাৎ উপলক্ষে স্থানীয় পর্যায়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশের তৈরি হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব এস এম সাইদুল ইসলাম কিসমত, যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, সদস্য আলমগীর হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ এই সাক্ষাতকে দলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, এই উদ্যোগ দলের মধ্যে যে আন্তরিকতা, ঐক্য ও মানবিক সম্পর্কের বন্ধন রয়েছে তা আরও দৃঢ় ও সুসংহত করবে।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির নেতারা বলেন, প্রবীণদের সম্মান জানানো এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করে

আরও পড়ুন:

‘আমি বিএনপি করলেও শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

‘আমি বিএনপি করলেও শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি, এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এ যাবত কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সাথে এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।

পাঁচ বছর পূর্বে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আবারও আলোচনায় আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তার ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তারা এখনো ভুগছেন সেই ঘরপোড়া মামলায়।

সোহাগ মৃধার চাচা মো: জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে আমার ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’

বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন বলে দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না— যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’

নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কিভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’

গ্রেপ্তার আ’লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর বিএনপি নেতা!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গ্রেপ্তার আ’লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর বিএনপি নেতা!

পিরোজপুরের নেছারাবাদে গ্রেপ্তার বিপ্লব ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিএনপির সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য মো. শহিদুল হক জামালের এপিএস শাহ মোহাম্মাদ নাসির উদ্দীন ফকির। তার দাবি- গ্রেপ্তার ব্যক্তি আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপির সক্রিয় কর্মী।

উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়ন পাটিকেলবাড়ী এলাকা থেকে সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বিপ্লব ফকিরকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাক পরিহিত একদল ব্যক্তি।

বিপ্লব ফকির গুয়ারেখা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিপ্লব ফকিরকে পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে ছাড়িয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করেন বিএনপির নেতা মো. শাহ নাসির উদ্দীন ফকির।

স্থানীয় মো. সোহেল, আরিফ ফকিরসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বিপ্লব ফকির এলাকায় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি কিছুটা বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারের আগ মুহুর্তেও বাজারে তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আখ দিয়ে মারধর করেন। তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্থানীয় বিএনপি নেতা নাসির ফকিরের দাপটে চলতেন।

গুয়ারেখা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লাভলু গাজী বলেন, ‘বিপ্লব মূলত বিএনপি ঘেঁষা মানুষ। শুনেছি, পূর্বে আওয়ামী লীগ করত। সোমবার বিকালে ডিবি পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’

গুয়ারেখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব ফকিরকে তার নিজের সম্মতিতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদে রাখা হয়েছিল। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে শাহ নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিপ্লব আমাদের দলের (বিএনপি) একজন সক্রিয় কর্মী। কে বা কারা তার নাম আওয়ামী লীগের কমিটিতে দিয়েছে, তা জানি না। এটি রাজনৈতিক একটি চক্রান্ত। আমরা আশা করছি তাকে এই চক্রান্তের হাত থেকে মুক্ত করতে পারব।’

এ বিষয়ে জানতে পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অফিসে ফোন করা হলেও কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে ডাকাত অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে ডাকাত অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ডাকাত অভিযোগে মো. আলী হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ সোমবার ভোররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার সন্ধ্যার দিকে বান্ধাঘাটা এলাকার হাওলাদার বাড়িতে আলী হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।

মো. আলী হোসেন (৩৮) শিয়ালকাঠি এলাকার হাকিম হাওলাদারের ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নিহতের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় আবুল বাশার ফরিদের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক তাঁদের বাড়ির সামনে এসে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আলী হোসেন ঘর থেকে বাইরে বের হলে তাঁকে ধরে নিয়ে ঘরের পাশের একটি সুপারিবাগানে নির্মমভাবে মারধর করা হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ফরিদের সঙ্গে আলী হোসেনের পূর্ববিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ফরিদ, জানে আলম, মিরাজ ও তাঁদের সহযোগীরা আলী হোসেনকে ডাকাত সাজিয়ে হত্যা করেছেন।

এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, আলী হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গতকাল রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.