১৭ জুন, ২০২৫ ১১:৫২
বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের বার্তি চাপে পরীক্ষা সঙ্কটে বেশিরভাগ রোগী ছুটছেন বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে এসব পরীক্ষায় একের পর এক ভুল রিপোর্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসা দিতে বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে একই পরীক্ষা বারবার করায় বাড়তি টাকা খরচের ভোগান্তি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৫টি বেডের বিপরীতে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদের মধ্যে গত তিন দিন আগে ৯৩ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. সাগর। এর এক দিন পর ১৬ জুন হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষা করেন।
এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া রিপোর্টে সাগরের মাত্র ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পূনরায় পরীক্ষা করতে বললে একই দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ক্লিনিকের পরীক্ষায় সাগরের প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার।
ভুক্তভোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সাগর বলেন, ডাক্তারকে শারীরিক অবস্থা জানাতে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি। সেখান থেকে আমার ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে বরিশাল যেতে চাই। এ ছাড়া ভয়ে আমার বুক কাঁপা শুরু করে। পরে ওই রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে রিপোর্টে ভুল হয়েছে জানিয়ে আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। পরবর্তী অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে ১ লাখ ৪৯ হাজার প্লাটিলেট আছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয়।
ফোরকান নামে সাগরের এক মামা বলেন, বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সোহাগের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেয়। তবে ওই রিপোর্ট ভুল হয়েছে বলে ডাক্তার আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। আমারা এমনিতেই রোগী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকি। এরপর আবার ভুল রিপোর্টের কারণে এক পরীক্ষা বারবার করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু সাগর নয় আরও অনেকেরই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রোগী ও স্বজনদের। খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম নামে আরও এক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি গত শুক্রবার ৬৭ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার। তবে এক দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে প্লাটিলেট দেখায় ৫৪ হাজার।
এর আগে গত ১১ জুন একই ক্লিনিক থেকে ১০ বছর বয়সী তানিয়া নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক শিশুর পরীক্ষায়ও দেওয়া হয় ভুল রিপোর্ট। ক্লিনিকের দেওয়া রিপোর্টে তার প্লাটিলেট দেখায় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার। ভুক্তভোগী মরিয়ম বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার আমাকে আবারও পরীক্ষা করতে বলেছেন। কি হয়েছে বা না হয়েছে আমি তা বলতে পারি না।
হাসপাতালে ভর্তি ১৩ বছর বয়সী মুসা নামে এক রোগীর স্বজন মো. আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার প্রথমে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে ৪৭ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। পরে একই সময়ে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে ৮৯ হাজার প্লাটিলেটের রিপোর্ট দেওয়া হয়। একেক ক্লিনিকের একেক ধরনের রিপোর্ট, কোন রিপোর্টটি সঠিক তা আমরা কিভাবে বুঝবো।
ভুল রিপোর্ট রোগীকে প্রদান করার বিষয়ে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালীক সজীব বলেন, টাইপিং ভুলের কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তবে এসব ভুল অনিচ্ছেকৃতভাবে হয়েছে।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেশিনটি দামি। বাইরের ক্লিনিকগুলোতে যে মেশিন রয়েছে তা কম দামের এবং অনেক নিম্নমানের।
সে কারণে বাইরে থেকে অনেক সময় সঠিক রিপোর্ট আসে না। যদি হাসপাতালেই রোগীদের এ পরীক্ষাটি করা হয় তাহলে রোগীরা সঠিক রিপোর্ট এবং সঠিক চিকিৎসা পাবে। এ ছাড়া রোগীদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি তাদের বাড়তি টাকাও খরচ হবে না।
বরগুনার বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রিপোর্ট নিয়ে আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়।
কিছু কিছু রিপোর্ট দেখেই তা অসামঞ্জস্য মনে হয়। তখন আমরা রোগীকে কষ্ট হলেও আরেকবার আরেক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলি। তবে এতে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।
আমাদের হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভীড় এড়াতে অনেকেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করেন। প্লাটিলেট যেহেতু আমরা চোখে দেখি না তাই রিপোর্টটের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিতে হয়। তবে আমরা আগের রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্ট মিলিয়ে দেখে যদি খুব বেশি পার্থক্য আসে তাহলে রোগীকে আবারও পরীক্ষা করতে বলি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সিভিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভর্তি থাকায় শুধু ইনডোরের রোগীদের পরীক্ষা করা হয়। আশা করি, খুব দ্রুতই বেশি পরিমাণ পরীক্ষা হাসপাতালেই করা যাবে। তবে বাইরের ক্লিনিক থেকে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট হলে রোগীর চিকিৎসা করাটাও চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।
বরগুনায় মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের বার্তি চাপে পরীক্ষা সঙ্কটে বেশিরভাগ রোগী ছুটছেন বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
তবে এসব পরীক্ষায় একের পর এক ভুল রিপোর্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসা দিতে বিপাকে পড়ছেন চিকিৎসকরা। অপরদিকে একই পরীক্ষা বারবার করায় বাড়তি টাকা খরচের ভোগান্তি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৫৫টি বেডের বিপরীতে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদের মধ্যে গত তিন দিন আগে ৯৩ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বরগুনা সদর উপজেলার খেজুরতলা নামক এলাকার বাসিন্দা মো. সাগর। এর এক দিন পর ১৬ জুন হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষা করেন।
এ সময় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেওয়া রিপোর্টে সাগরের মাত্র ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে পূনরায় পরীক্ষা করতে বললে একই দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ক্লিনিকের পরীক্ষায় সাগরের প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার।
ভুক্তভোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সাগর বলেন, ডাক্তারকে শারীরিক অবস্থা জানাতে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করি। সেখান থেকে আমার ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট দেখে আমি ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি করে বরিশাল যেতে চাই। এ ছাড়া ভয়ে আমার বুক কাঁপা শুরু করে। পরে ওই রিপোর্টটি ডাক্তারকে দেখালে রিপোর্টে ভুল হয়েছে জানিয়ে আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। পরবর্তী অন্য একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করলে ১ লাখ ৪৯ হাজার প্লাটিলেট আছে এমন রিপোর্ট দেওয়া হয়।
ফোরকান নামে সাগরের এক মামা বলেন, বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সোহাগের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৬০ প্লাটিলেট পরিমাপ করে রিপোর্ট দেয়। তবে ওই রিপোর্ট ভুল হয়েছে বলে ডাক্তার আবারও পরীক্ষা করতে বলেন। আমারা এমনিতেই রোগী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির মধ্যে থাকি। এরপর আবার ভুল রিপোর্টের কারণে এক পরীক্ষা বারবার করে বাড়তি টাকা খরচ করতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু সাগর নয় আরও অনেকেরই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন রোগী ও স্বজনদের। খেজুর তলা এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম নামে আরও এক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সঙ্গেও ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি গত শুক্রবার ৬৭ হাজার প্লাটিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন স্থানীয় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে তার প্লাটিলেট পরিমাপ করা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার। তবে এক দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। পরে আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে প্লাটিলেট দেখায় ৫৪ হাজার।
এর আগে গত ১১ জুন একই ক্লিনিক থেকে ১০ বছর বয়সী তানিয়া নামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক শিশুর পরীক্ষায়ও দেওয়া হয় ভুল রিপোর্ট। ক্লিনিকের দেওয়া রিপোর্টে তার প্লাটিলেট দেখায় ১৮ লাখ ৯৫ হাজার। ভুক্তভোগী মরিয়ম বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার আমাকে আবারও পরীক্ষা করতে বলেছেন। কি হয়েছে বা না হয়েছে আমি তা বলতে পারি না।
হাসপাতালে ভর্তি ১৩ বছর বয়সী মুসা নামে এক রোগীর স্বজন মো. আব্দুস সালাম বলেন, সোমবার প্রথমে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে ৪৭ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। পরে একই সময়ে আরেকটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করালে ৮৯ হাজার প্লাটিলেটের রিপোর্ট দেওয়া হয়। একেক ক্লিনিকের একেক ধরনের রিপোর্ট, কোন রিপোর্টটি সঠিক তা আমরা কিভাবে বুঝবো।
ভুল রিপোর্ট রোগীকে প্রদান করার বিষয়ে অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালীক সজীব বলেন, টাইপিং ভুলের কারণে রিপোর্ট ভুল হতে পারে। তবে এসব ভুল অনিচ্ছেকৃতভাবে হয়েছে।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের মেশিনটি দামি। বাইরের ক্লিনিকগুলোতে যে মেশিন রয়েছে তা কম দামের এবং অনেক নিম্নমানের।
সে কারণে বাইরে থেকে অনেক সময় সঠিক রিপোর্ট আসে না। যদি হাসপাতালেই রোগীদের এ পরীক্ষাটি করা হয় তাহলে রোগীরা সঠিক রিপোর্ট এবং সঠিক চিকিৎসা পাবে। এ ছাড়া রোগীদের হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি তাদের বাড়তি টাকাও খরচ হবে না।
বরগুনার বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মানোন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী দপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রিপোর্ট নিয়ে আমাদের চিন্তায় পড়তে হয়।
কিছু কিছু রিপোর্ট দেখেই তা অসামঞ্জস্য মনে হয়। তখন আমরা রোগীকে কষ্ট হলেও আরেকবার আরেক জায়গায় পুনরায় পরীক্ষা করতে বলি। তবে এতে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়।
আমাদের হাসপাতালে পরীক্ষা হয় তবে অতিরিক্ত রোগীর চাপে ভীড় এড়াতে অনেকেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করেন। প্লাটিলেট যেহেতু আমরা চোখে দেখি না তাই রিপোর্টটের ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা দিতে হয়। তবে আমরা আগের রিপোর্টের সঙ্গে বর্তমান রিপোর্ট মিলিয়ে দেখে যদি খুব বেশি পার্থক্য আসে তাহলে রোগীকে আবারও পরীক্ষা করতে বলি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. রেজওয়ানুর আলম বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে সিভিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভর্তি থাকায় শুধু ইনডোরের রোগীদের পরীক্ষা করা হয়। আশা করি, খুব দ্রুতই বেশি পরিমাণ পরীক্ষা হাসপাতালেই করা যাবে। তবে বাইরের ক্লিনিক থেকে উল্টাপাল্টা রিপোর্ট হলে রোগীর চিকিৎসা করাটাও চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।
১৭ জুন, ২০২৫ ০৭:১৩
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হয়ে বাদল (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বাদল বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (১৬ জুন) রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল নামে এক আনসার সদস্য। জয়নাল বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত্যু চান মিয়ার ছেলে।
এ নিয়ে ডেঙ্গুতে জেলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৭। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এ নিয়ে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯০৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১৪ জন।
বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, “কৃষক বাদলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছিলাম।
তার পরিবার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে রাজি না হয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান। এর কিছু সময় পর তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আনসার সদস্য জয়নালকে বরিশাল রেফার্ড করলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেলায় ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে ডেঙ্গুতে।”
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফাত্তাহ বলেন, “দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডেঙ্গু নিধনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো আক্রান্ত ও প্রাণহানি দুটিই বাড়তে পারে।”
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হয়ে বাদল (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বাদল বরগুনা সদরের হেউলিবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (১৬ জুন) রাতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
এর আগে সোমবার রাতে বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল নামে এক আনসার সদস্য। জয়নাল বরগুনা সদর উপজেলার ফুলতলা গ্রামের মৃত্যু চান মিয়ার ছেলে।
এ নিয়ে ডেঙ্গুতে জেলায় প্রাণহানির সংখ্যা ১৭। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এ নিয়ে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৯০৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১৪ জন।
বরগুনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, “কৃষক বাদলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছিলাম।
তার পরিবার অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে রাজি না হয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান। এর কিছু সময় পর তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আনসার সদস্য জয়নালকে বরিশাল রেফার্ড করলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেলায় ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে ডেঙ্গুতে।”
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফাত্তাহ বলেন, “দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডেঙ্গু নিধনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো আক্রান্ত ও প্রাণহানি দুটিই বাড়তে পারে।”
১৬ জুন, ২০২৫ ১৪:০৯
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাফওয়ান নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ। সাফওয়ানের বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মির্জাগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা। সাফওয়ানের মা সাজিয়া আফরিন বরগুনার নার্সিং ইন্সটিউটের একজন ইন্সট্রাক্টর।
জানা যায়, গত ৪ দিন আগে সাফওয়ান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে রোববার তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই সাফওয়ান মারা যায়। এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০ জন বরগুনা থেকে রেফার্ড করার পরে বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২১৪ জন।
বরগুনায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় সাফওয়ান নামে ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ। সাফওয়ানের বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন বরগুনার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মির্জাগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা। সাফওয়ানের মা সাজিয়া আফরিন বরগুনার নার্সিং ইন্সটিউটের একজন ইন্সট্রাক্টর।
জানা যায়, গত ৪ দিন আগে সাফওয়ান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। প্রথমে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে রোববার তাকে ঢাকা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই সাফওয়ান মারা যায়। এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাজকিয়া সিদ্দিকা বলেন, বরগুনা হাসপাতালে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০ জন বরগুনা থেকে রেফার্ড করার পরে বরিশাল ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. আবুল ফাত্তাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২১৪ জন।
১৬ জুন, ২০২৫ ১৩:৪৩
বরগুনায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইফতি হাসান ইমরান এই আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা সাহিদা বেগম তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাহিদা তাঁর পুত্রবধূ খাদিজা বেগমকে হলফনামার মাধ্যমে কিছু জমি লিখে দেন। পরে সাহিদা ওই হলফনামা জাল বলে ৩ ডিসেম্বর আদালতে পুত্রবধূ খাদিজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে বাদী সাহিদা মামলা তুলে নিতে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালতকে জানানো হয়, মামলার বাদী সত্য হলফনামাকে মিথ্যা বলে মামলা করেছেন। পরে বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে তাঁকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই দিন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বরগুনায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত। আজ সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইফতি হাসান ইমরান এই আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা করা সাহিদা বেগম তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাহিদা তাঁর পুত্রবধূ খাদিজা বেগমকে হলফনামার মাধ্যমে কিছু জমি লিখে দেন। পরে সাহিদা ওই হলফনামা জাল বলে ৩ ডিসেম্বর আদালতে পুত্রবধূ খাদিজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে বাদী সাহিদা মামলা তুলে নিতে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালতকে জানানো হয়, মামলার বাদী সত্য হলফনামাকে মিথ্যা বলে মামলা করেছেন। পরে বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে তাঁকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই দিন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.