
১১ জুন, ২০২৫ ১৩:০৭
আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ সুবিধা দিতে ১০০ কোটি টাকার বেশি দামের পাথর, নিলামের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৭ কোটি টাকাতে। সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ‘লোভা নদী’র জব্দকৃত এক কোটি ৫ হাজার ঘনফুট পাথর নিলামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর গোপন রেখে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কাছে নিলাম সম্পন্ন করেছে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। স্থানীয় বাজারমূল্যে এ পাথরের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা হলেও, বিএমডির একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর মাত্র ২১ কোটি টাকায় নিলাম করা হয়। পাথর জব্দের পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা পলাশের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেটের কাছে এগুলো পানির দরে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত নিলাম কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর মজুত করেন। এই পাথর নিলামের বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত তথ্য গোপনের’ অভিযোগ এনে সামী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে আবেদন করে। আদালত তখন নিলাম কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন।
তিনি বলেন, তবে বিএমডির কিছু কর্মকর্তা নিলাম কার্যকর করতে কাগজে-কলমে নানা কৌশল অবলম্বন করেন। তারা আদালতের আদেশ এড়াতে নথিপত্রে ‘রিট বহির্ভূত ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর’ নিলাম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, নিলামকারীকে বিশেষ সুবিধা দিতে বিএমডির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ছরোয়ার হোসেন সরাসরি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি, নিলামের কার্যাদেশ বাস্তবায়নের সময় তিনি কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় জয়ী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া গরুর ভোজেও অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, নিলাম কার্যকর করতে বিএমডির কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে ‘মামলার আওতাবহির্ভূত’ শব্দটি নথিতে যুক্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে যেসব গ্রামের নাম দেখিয়ে ওই এলাকাগুলোকে মামলাবহির্ভূত দাবি করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো পাথর মজুত নেই- মাত্র অল্প পরিমাণই রয়েছে। মূলত গোপন করা ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর অন্যত্র মজুত ছিল।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএমডির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ছরোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি এক ঘণ্টা পর কথা বলবেন। এরপর তিনি কলটি কেটে দেন এবং পরবর্তীতে আর যোগাযোগে সাড়া দেননি।
কানাইঘাট এলাকার পাথর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জব্দ করা লোভাছড়া এলাকার পাথরের দাম ছিল প্রতি ঘনফুট ৯০ টাকা। অথচ বিএমডির কর্মকর্তারা রহস্যজনকভাবে পাঁচ বছর আগের সেই দরেই নিলাম সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি ঘনফুট পাথরের দাম ১২৫ টাকা। সে হিসেবে এক কোটি ঘনফুট পাথরের প্রকৃত মূল্য দাঁড়ায় ১২৫ কোটি টাকা।
সর্বশেষ নিলামের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথরের বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নথিপত্রে মাত্র ৩৬ কোটি টাকার হিসেব দেখিয়ে নিলাম ডাকা হয় এবং মাত্র ১৭ কোটি টাকায় সেটি কার্যকর করা হয়। এতে করে নিলাম জয়ী প্রতিষ্ঠানকে বিপুল আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারিগুলোর সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ মে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সভায় উপস্থিত বিএমডির প্রতিনিধি জানান, সিলেট জেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে জব্দ করা এক কোটি ঘনফুট পাথরের মধ্যে মামলাবহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথর উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ বিক্রয় থেকে আনুমানিক ২১ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সংক্রান্ত নথিপত্রে প্রকৃত তথ্য গোপন করে সরকারের অন্তত শত কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে, আর এর বিপরীতে কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিলাম কার্যক্রমকে ঘিরে বিপুল অঙ্কের অর্থের ভাগবাঁটোয়ারা হয়েছে বিভিন্ন মহলের মধ্যে।
নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ‘মামলাবহির্ভূত’ হিসেবে উল্লেখ করে ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথরের মজুত দেখিয়ে নিলাম আহ্বান করা হয়। প্রতি ঘনফুট ৭৫ টাকা দরে মোট ৩৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৫ টাকার ভিত্তিমূল্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এই নিলামপ্রক্রিয়ার নেপথ্যে ছিলেন কানাইঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ, যিনি এলাকায় ‘পাথরখেকো’ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৯ সালে তিনি বিএমডির দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় অবৈধভাবে পাথরগুলো মজুত করেন। পাঁচ বছর পর, আবারও তাদের সহায়তায় তিনি এই বিপুল পরিমাণ পাথর পানির দরে নিলামের মাধ্যমে নিজ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিলাম কার্যক্রমটি একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যাতে অন্য কোনো পক্ষ পাথরের অংশ না পায়। নিলাম কার্যকর হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দ্রুতগতিতে পাথর অপসারণ শুরু করে।
খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হাবীব বলেন, লোভাছড়ার পাথর নিলামের বিষয়ে আমার জানা আছে। তবে কী পরিমাণ পাথর বা কত দামে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা না দেখে এখনই সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
তথ্যসূত্র : যুগান্তর
আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ সুবিধা দিতে ১০০ কোটি টাকার বেশি দামের পাথর, নিলামের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৭ কোটি টাকাতে। সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ‘লোভা নদী’র জব্দকৃত এক কোটি ৫ হাজার ঘনফুট পাথর নিলামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর গোপন রেখে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কাছে নিলাম সম্পন্ন করেছে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। স্থানীয় বাজারমূল্যে এ পাথরের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা হলেও, বিএমডির একাধিক কর্মকর্তার যোগসাজশে ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর মাত্র ২১ কোটি টাকায় নিলাম করা হয়। পাথর জব্দের পাঁচ বছর পর আওয়ামী লীগ নেতা পলাশের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেটের কাছে এগুলো পানির দরে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত নিলাম কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএমডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পাথর মজুত করেন। এই পাথর নিলামের বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত তথ্য গোপনের’ অভিযোগ এনে সামী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে আবেদন করে। আদালত তখন নিলাম কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন।
তিনি বলেন, তবে বিএমডির কিছু কর্মকর্তা নিলাম কার্যকর করতে কাগজে-কলমে নানা কৌশল অবলম্বন করেন। তারা আদালতের আদেশ এড়াতে নথিপত্রে ‘রিট বহির্ভূত ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর’ নিলাম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ রয়েছে, নিলামকারীকে বিশেষ সুবিধা দিতে বিএমডির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ছরোয়ার হোসেন সরাসরি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এমনকি, নিলামের কার্যাদেশ বাস্তবায়নের সময় তিনি কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় জয়ী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া গরুর ভোজেও অংশ নেন।
তিনি আরও জানান, নিলাম কার্যকর করতে বিএমডির কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে ‘মামলার আওতাবহির্ভূত’ শব্দটি নথিতে যুক্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে যেসব গ্রামের নাম দেখিয়ে ওই এলাকাগুলোকে মামলাবহির্ভূত দাবি করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনো পাথর মজুত নেই- মাত্র অল্প পরিমাণই রয়েছে। মূলত গোপন করা ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর অন্যত্র মজুত ছিল।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএমডির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ছরোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি এক ঘণ্টা পর কথা বলবেন। এরপর তিনি কলটি কেটে দেন এবং পরবর্তীতে আর যোগাযোগে সাড়া দেননি।
কানাইঘাট এলাকার পাথর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জব্দ করা লোভাছড়া এলাকার পাথরের দাম ছিল প্রতি ঘনফুট ৯০ টাকা। অথচ বিএমডির কর্মকর্তারা রহস্যজনকভাবে পাঁচ বছর আগের সেই দরেই নিলাম সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাজারে প্রতি ঘনফুট পাথরের দাম ১২৫ টাকা। সে হিসেবে এক কোটি ঘনফুট পাথরের প্রকৃত মূল্য দাঁড়ায় ১২৫ কোটি টাকা।
সর্বশেষ নিলামের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথরের বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু নথিপত্রে মাত্র ৩৬ কোটি টাকার হিসেব দেখিয়ে নিলাম ডাকা হয় এবং মাত্র ১৭ কোটি টাকায় সেটি কার্যকর করা হয়। এতে করে নিলাম জয়ী প্রতিষ্ঠানকে বিপুল আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারিগুলোর সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ৪ মে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সভায় উপস্থিত বিএমডির প্রতিনিধি জানান, সিলেট জেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে জব্দ করা এক কোটি ঘনফুট পাথরের মধ্যে মামলাবহির্ভূত হিসেবে চিহ্নিত ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথর উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ বিক্রয় থেকে আনুমানিক ২১ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সংক্রান্ত নথিপত্রে প্রকৃত তথ্য গোপন করে সরকারের অন্তত শত কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি করা হয়েছে, আর এর বিপরীতে কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, নিলাম কার্যক্রমকে ঘিরে বিপুল অঙ্কের অর্থের ভাগবাঁটোয়ারা হয়েছে বিভিন্ন মহলের মধ্যে।
নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ‘মামলাবহির্ভূত’ হিসেবে উল্লেখ করে ৪৪ লাখ ২৩ হাজার ১১৩ ঘনফুট পাথরের মজুত দেখিয়ে নিলাম আহ্বান করা হয়। প্রতি ঘনফুট ৭৫ টাকা দরে মোট ৩৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৫ টাকার ভিত্তিমূল্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এই নিলামপ্রক্রিয়ার নেপথ্যে ছিলেন কানাইঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ, যিনি এলাকায় ‘পাথরখেকো’ হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৯ সালে তিনি বিএমডির দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় অবৈধভাবে পাথরগুলো মজুত করেন। পাঁচ বছর পর, আবারও তাদের সহায়তায় তিনি এই বিপুল পরিমাণ পাথর পানির দরে নিলামের মাধ্যমে নিজ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিলাম কার্যক্রমটি একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যাতে অন্য কোনো পক্ষ পাথরের অংশ না পায়। নিলাম কার্যকর হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দ্রুতগতিতে পাথর অপসারণ শুরু করে।
খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর (বিএমডি) মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হাবীব বলেন, লোভাছড়ার পাথর নিলামের বিষয়ে আমার জানা আছে। তবে কী পরিমাণ পাথর বা কত দামে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা না দেখে এখনই সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
তথ্যসূত্র : যুগান্তর

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৪
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের অভিযানের সময় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইমরান তৌহিদ (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ। ইমরান তৌহিদ শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা এবং শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের দিকে আসেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইমরান এজাহারভুক্ত আসামি।
রোববার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমরান বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এতে তিনি আহত হলে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পুলিশের অভিযানের সময় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ইমরান তৌহিদ (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ। ইমরান তৌহিদ শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা এবং শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরের দিকে আসেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ইমরান এজাহারভুক্ত আসামি।
রোববার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমরান বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এতে তিনি আহত হলে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৩
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. সাবলু মিয়া (৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সাবলু মিয়া ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে মো. সাবলু মিয়াকে তার বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পরে বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরের উত্তর পাশে, পিছনের দরজার রাস্তার মাটির নিচে লুকানো তিনটি পোটলায় ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মো. সাবলু মিয়া (৪২) নামের এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
সাবলু মিয়া ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের খামার ভাতী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই এলাকার মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে মো. সাবলু মিয়াকে তার বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
পরে বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরের উত্তর পাশে, পিছনের দরজার রাস্তার মাটির নিচে লুকানো তিনটি পোটলায় ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৬
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে থাকবেন। ফলে সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকবে পাঠদান কার্যক্রম। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার সকাল থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রবিবার থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পর বিকেলে শাহবাগে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষকরা। এ সময় একাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে আটক করা হয় কয়েকজন শিক্ষককে।
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে থাকবেন। ফলে সারা দেশের প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকবে পাঠদান কার্যক্রম। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ রবিবার সকাল থেকে তাদের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রবিবার থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলবে।
আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে শহীদ মিনারে অবস্থানের পর বিকেলে শাহবাগে এলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষকরা। এ সময় একাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে আটক করা হয় কয়েকজন শিক্ষককে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.