১৪ জুন, ২০২৫ ২০:৪৬
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, নিহতের আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বা এমন এলাকাগুলোতে রয়েছে, যেগুলো অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের জন্য এখনো অনিরাপদ।
এদিকে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, যারা মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ৫৫,২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৮,৪২৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫,০১৪ জন নিহত এবং ১৬,৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শনিবারও গাজা উপত্যকার একাধিক স্থানে ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলা সারা দিন ধরে অব্যাহত ছিল। আশঙ্কাজনক হারে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল টিমগুলো চরম সংকটে পড়েছে—চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া’ ইসরাইলের একটি ‘অভূতপূর্ব বর্বর অপরাধ’। যা আধুনিক যুগে নজিরবিহীন এবং মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক সনদ ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের এই বিবৃতি এমন সময় এসেছে, যখন ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে হত্যা এবং আরও অনেককে আহত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত দুই দিনে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জন। আর আহতের সংখ্যা ২,৫৩২ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোররাত থেকে ইরানজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইল। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১০৪ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৮০ জন।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলার জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। সূত্র: মিডলইস্ট আই
অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৯০ জন নিহত এবং ৬০৫ জন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, নিহতের আসল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বা এমন এলাকাগুলোতে রয়েছে, যেগুলো অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের জন্য এখনো অনিরাপদ।
এদিকে গাজার হাসপাতাল সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক, যারা মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মোট ৫৫,২৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৮,৪২৬ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫,০১৪ জন নিহত এবং ১৬,৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে শনিবারও গাজা উপত্যকার একাধিক স্থানে ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলা সারা দিন ধরে অব্যাহত ছিল। আশঙ্কাজনক হারে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল টিমগুলো চরম সংকটে পড়েছে—চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে তারা প্রচণ্ড চাপের মুখে রয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া’ ইসরাইলের একটি ‘অভূতপূর্ব বর্বর অপরাধ’। যা আধুনিক যুগে নজিরবিহীন এবং মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক সনদ ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাসের এই বিবৃতি এমন সময় এসেছে, যখন ইসরাইলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেসামরিক মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে হত্যা এবং আরও অনেককে আহত করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত দুই দিনে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ জন। আর আহতের সংখ্যা ২,৫৩২ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার ভোররাত থেকে ইরানজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরাইল। এতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১০৪ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৮০ জন।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ হামলার জবাবে ইরান একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ১৭০ জনের বেশি আহত হয়।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। সূত্র: মিডলইস্ট আই
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:০৯
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৪
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।
ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি
প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।
বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।
নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া
৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’
ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’
ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।
ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি
প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।
বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।
নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া
৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’
ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৩
নেপালে আবারও রাজপথে নেমেছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবি করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ।
তরুণদের আইকন সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ—গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, অথচ এই আন্দোলনের জোরেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন।
নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং স্লোগান দিয়ে কার্কির পদত্যাগ দাবি করে। তাদের ভাষ্য, ‘আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?’
বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।
নেপালে আবারও রাজপথে নেমেছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবি করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ।
তরুণদের আইকন সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ—গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, অথচ এই আন্দোলনের জোরেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন।
নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং স্লোগান দিয়ে কার্কির পদত্যাগ দাবি করে। তাদের ভাষ্য, ‘আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?’
বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫২
জেন জি বিক্ষোভে নেপালে যখন সরকার পতন হয়েছে, তখন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী ভারতেও। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল বিহারের বিভিন্ন এলাকা। এবার বিক্ষোভে উত্তাল হলো দেশটির আরেক রাজ্য আসাম।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা দিতে হবে।
অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএমএসইউ) নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয় তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটায় ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে। এর পর তারা তিনসুকিয়া শহরে এক বিশাল সমাবেশ করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের আসাম সফরের ঠিক আগে এই বিক্ষোভ পুরো শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।
সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মোড়ানসহ আরও পাঁচটি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে।
কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও কিছুই হলো না। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যদি আমাদের এসটি মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণ না হয়, আমরা আরও তীব্র আন্দোলনে যাবো।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার যদি স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ।একই সুরে এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, কংগ্রেস আমাদের ঠকিয়েছে, আঞ্চলিক দল আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ঠকিয়েছে, আর এখন বিজেপিও একই কাজ করছে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে।
এএমএসইউ মোদীর আসন্ন সফরকে সামনে রেখে মোড়ানদের প্রতিশ্রুতি পূরণের সময়সীমা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভের পর তিনসুকিয়া থানার চারিআলিতেও এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
জেন জি বিক্ষোভে নেপালে যখন সরকার পতন হয়েছে, তখন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী ভারতেও। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল বিহারের বিভিন্ন এলাকা। এবার বিক্ষোভে উত্তাল হলো দেশটির আরেক রাজ্য আসাম।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা দিতে হবে।
অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএমএসইউ) নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয় তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটায় ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে। এর পর তারা তিনসুকিয়া শহরে এক বিশাল সমাবেশ করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের আসাম সফরের ঠিক আগে এই বিক্ষোভ পুরো শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।
সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মোড়ানসহ আরও পাঁচটি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে।
কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও কিছুই হলো না। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যদি আমাদের এসটি মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণ না হয়, আমরা আরও তীব্র আন্দোলনে যাবো।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার যদি স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ।একই সুরে এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, কংগ্রেস আমাদের ঠকিয়েছে, আঞ্চলিক দল আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ঠকিয়েছে, আর এখন বিজেপিও একই কাজ করছে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে।
এএমএসইউ মোদীর আসন্ন সফরকে সামনে রেখে মোড়ানদের প্রতিশ্রুতি পূরণের সময়সীমা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভের পর তিনসুকিয়া থানার চারিআলিতেও এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.