২৭ জুন, ২০২৫ ১৩:২৩
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ইয়াবা সেবনের সময় দুই যুবক ও এক নারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. কাইয়ুম (২৮), মোরসালিন (৩২) ও স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রাবেয়া আক্তার সাথী (৩৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ শেখ বলেন, “রাবেয়া আক্তার সাথী এলাকার একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরে গ্রামের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে চারজন যুবক একটি নিরিবিলি স্থানে বসে ইয়াবা সেবন করছিল।
বিষয়টি টের পেয়ে আমরা ধাওয়া দিয়ে কাইয়ুম ও মোরসালিনকে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিশ পিস ইয়াবা কিনেছে রাবেয়ার কাছ থেকে। পরে আমরা রাবেয়াকেও ধরে নিয়ে আসি এবং কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিই।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “রাবেয়া একাধিকবার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এবং জেল খেটেছে। এরপরও আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি।”
স্থানীয় মো. সাজিদুল হক বলেন, “রাবেয়া এলাকায় ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর কারণে পুরো গ্রামের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনকে হাতে–নাতে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যেন রাবেয়াকে দ্রুত আইনের আওতায় আনে।”
তবে নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কারও কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া যায়নি। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে রাবেয়া আক্তার সাথীকে আগেও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় তিনি জেল খেটেছেন।”
পিরোজপুরের নেছারাবাদে ইয়াবা সেবনের সময় দুই যুবক ও এক নারীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. কাইয়ুম (২৮), মোরসালিন (৩২) ও স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রাবেয়া আক্তার সাথী (৩৮)।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ শেখ বলেন, “রাবেয়া আক্তার সাথী এলাকার একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরে গ্রামের যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে চারজন যুবক একটি নিরিবিলি স্থানে বসে ইয়াবা সেবন করছিল।
বিষয়টি টের পেয়ে আমরা ধাওয়া দিয়ে কাইয়ুম ও মোরসালিনকে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বিশ পিস ইয়াবা কিনেছে রাবেয়ার কাছ থেকে। পরে আমরা রাবেয়াকেও ধরে নিয়ে আসি এবং কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দিই।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “রাবেয়া একাধিকবার ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এবং জেল খেটেছে। এরপরও আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি, মানববন্ধন করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি।”
স্থানীয় মো. সাজিদুল হক বলেন, “রাবেয়া এলাকায় ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর কারণে পুরো গ্রামের যুব সমাজ ধ্বংসের পথে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনজনকে হাতে–নাতে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যেন রাবেয়াকে দ্রুত আইনের আওতায় আনে।”
তবে নেছারাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কারও কাছ থেকে ইয়াবা পাওয়া যায়নি। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে রাবেয়া আক্তার সাথীকে আগেও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় তিনি জেল খেটেছেন।”
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:১৩
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৪০
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৮:০৮
২৭ জুলাই, ২০২৫ ১৭:২৮
২৬ জুলাই, ২০২৫ ১৬:১৫
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরে আয়োজনে শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে জুলাই পূর্ণজাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথপাঠ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ, উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ, উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মাকসুদুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাফেজ মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান।
উপস্থিত সকলের দাঁড়িয়ে একত্রে শপথ পাঠ করেন অন্যায়, দুর্নীতি, বৈষম্য নারী শিশু নির্যাতন আর দারিদ্র্যের অপমান থেকে মুক্ত করবো আমাদের এই মাতৃভূমিকে, সরকার মানে আমি আর রাষ্ট্র মানে আমরা।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরে আয়োজনে শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে জুলাই পূর্ণজাগরণে সমাজ গঠনে লাখো কন্ঠে শপথপাঠ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ, উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ, উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মাকসুদুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি হাফেজ মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান।
উপস্থিত সকলের দাঁড়িয়ে একত্রে শপথ পাঠ করেন অন্যায়, দুর্নীতি, বৈষম্য নারী শিশু নির্যাতন আর দারিদ্র্যের অপমান থেকে মুক্ত করবো আমাদের এই মাতৃভূমিকে, সরকার মানে আমি আর রাষ্ট্র মানে আমরা।
২৪ জুলাই, ২০২৫ ১৮:৫১
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করে তা ভেঙে ফেলতে হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামে ভাতুরিয়া খালের ওপরে ওই ব্রিজের কাজ এক বছরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল কার্যাদেশে।
তিন বছরের মাথায় সেই কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও ব্রিজের স্লাবে ফাটল দেখা দেয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে কাজ পরিদর্শনে এসে ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ স্লাব অপসারণ করে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নোটিশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ওই ব্রিজের সংস্কারকাজ শুরু করার আগেই ব্রিজের পুরো স্লাব ভেঙে পড়ে খালে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিষ্টানপাড়া থেকে মাদ্রা বাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেসার্স ইফতি ইটিসিএলকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। যার চুক্তি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজ দুটি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কার্যাদেশ পান পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজের সহোদর মিরাজুল ইসলাম। ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম নিজে কাজ না করে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে কাজের নিম্নমান এবং শিডিউল মেনে না করার কারণে স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন।
পরবর্তী সময়ে আরেক সাব-কন্ট্রাক্টর গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশটির অপসারণ শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিপু মিস্ত্রি বলেন, এ ব্রিজটি চার বছর ধরে দফায় দফায় ঠিকাদার কাজের লোক বদলানো হচ্ছে। কাজ শুরুর দিকে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ব্রিজ হচ্ছিল। শিডিউল অনুযায়ী উপকরণ না দেওয়ায় ব্রিজের স্লাব ফেটে যায়। পরে কাজ ফেলে রেখে সরে যান ঠিকাদার।
ফের এটা সংস্কারের জন্য আসে। সংস্কার শুরুর আগেই পুরো ব্রিজ ভেঙে খালের মধ্য পড়ে। এতে স্থানীয়রা এখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেতু নির্মাণে অকল্পনীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী না করায় পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণকাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মূল ঠিকাদারকে পাওয়া না যাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন মিরাজুল ইসলাম।
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করে তা ভেঙে ফেলতে হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামে ভাতুরিয়া খালের ওপরে ওই ব্রিজের কাজ এক বছরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল কার্যাদেশে।
তিন বছরের মাথায় সেই কাজ প্রায় সম্পন্ন হলেও ব্রিজের স্লাবে ফাটল দেখা দেয়। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে কাজ পরিদর্শনে এসে ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ স্লাব অপসারণ করে সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে নোটিশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ওই ব্রিজের সংস্কারকাজ শুরু করার আগেই ব্রিজের পুরো স্লাব ভেঙে পড়ে খালে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিষ্টানপাড়া থেকে মাদ্রা বাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেসার্স ইফতি ইটিসিএলকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। যার চুক্তি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজ দুটি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কার্যাদেশ পান পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দীন মহারাজের সহোদর মিরাজুল ইসলাম। ঠিকাদার মিরাজুল ইসলাম নিজে কাজ না করে একজন সাব-কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে কাজের নিম্নমান এবং শিডিউল মেনে না করার কারণে স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন।
পরবর্তী সময়ে আরেক সাব-কন্ট্রাক্টর গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশটির অপসারণ শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিপু মিস্ত্রি বলেন, এ ব্রিজটি চার বছর ধরে দফায় দফায় ঠিকাদার কাজের লোক বদলানো হচ্ছে। কাজ শুরুর দিকে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ব্রিজ হচ্ছিল। শিডিউল অনুযায়ী উপকরণ না দেওয়ায় ব্রিজের স্লাব ফেটে যায়। পরে কাজ ফেলে রেখে সরে যান ঠিকাদার।
ফের এটা সংস্কারের জন্য আসে। সংস্কার শুরুর আগেই পুরো ব্রিজ ভেঙে খালের মধ্য পড়ে। এতে স্থানীয়রা এখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেতু নির্মাণে অকল্পনীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী না করায় পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণকাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মূল ঠিকাদারকে পাওয়া না যাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন মিরাজুল ইসলাম।
১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৯:৫৫
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ছাত্রদল কর্মী হলেন মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩)।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রদল কর্মী একটি মুঠোফোনের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় ছাত্রদল কর্মী রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬ থেকে ৭ জন মিলে অপর কর্মী মঠবাড়িয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে শামীম (২৩) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিনকে (২৩) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মুবিনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রদল কর্মীদের দুটি গ্রুপই মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার সমর্থক।
তবে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, আমি মোবাইলের ব্যাপারে কিছু জানি না। তা ছাড়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন দুলালের লোক নাজাত এই আক্রমণ করেছে এবং নাজাতই এদের জখম করেছে।
এদের মধ্যে একজন মারা গেছে আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি জড়িতদের বিচার চাই। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ছাত্রদল কর্মী হলেন মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩)।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রদল কর্মী একটি মুঠোফোনের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় ছাত্রদল কর্মী রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬ থেকে ৭ জন মিলে অপর কর্মী মঠবাড়িয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে শামীম (২৩) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিনকে (২৩) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মুবিনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রদল কর্মীদের দুটি গ্রুপই মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার সমর্থক।
তবে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, আমি মোবাইলের ব্যাপারে কিছু জানি না। তা ছাড়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন দুলালের লোক নাজাত এই আক্রমণ করেছে এবং নাজাতই এদের জখম করেছে।
এদের মধ্যে একজন মারা গেছে আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি জড়িতদের বিচার চাই। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.