
১৪ জুন, ২০২৫ ২১:২৯
পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪জুন) সকালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাধিত করা হয়েছে। নিহত কৃষকের নাম রহিম জোমাদ্দার (৬০)। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মারা যান তিনি।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের কামাল হাওলাদার ও তার সমর্থকদের সাথে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক রহিম ও তার পরিবারের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় কৃষক রহিম ও তার দুই ছেলে। ভুক্তভোগী কৃষককে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনার পর থেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত কামাল ও তার সমর্থকরা। সংঘর্ষের ঘটনার পর বাউফল থানায় একটি হামলার মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানায় বাউফল থানা পুলিশ।
অপরদিকে, এই সুযোগে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতাকে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে ওসি পরিচয়ে মুঠোফোনে টাকা দাবি করছেন এক প্রতারক। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, (০১৭৯৪৭১৯৪৩৯) নম্বর থেকে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা দিতে দেরি হওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করছেন প্রতারক। এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনার ৭২ ঘন্টা ও কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসকল বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, "কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার চেষ্টা করা মুঠোফোন নম্বর পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। একইভাবে ঘটনার সাথে প্রকৃত পক্ষে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।"
পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪জুন) সকালে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাধিত করা হয়েছে। নিহত কৃষকের নাম রহিম জোমাদ্দার (৬০)। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মারা যান তিনি।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের কামাল হাওলাদার ও তার সমর্থকদের সাথে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে কৃষক রহিম ও তার পরিবারের সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় কৃষক রহিম ও তার দুই ছেলে। ভুক্তভোগী কৃষককে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনার পর থেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত কামাল ও তার সমর্থকরা। সংঘর্ষের ঘটনার পর বাউফল থানায় একটি হামলার মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানায় বাউফল থানা পুলিশ।
অপরদিকে, এই সুযোগে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতাকে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে ওসি পরিচয়ে মুঠোফোনে টাকা দাবি করছেন এক প্রতারক। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, (০১৭৯৪৭১৯৪৩৯) নম্বর থেকে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা দিতে দেরি হওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করছেন প্রতারক। এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনার ৭২ ঘন্টা ও কৃষকের মৃত্যুর ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসকল বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, "কৃষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতারণার চেষ্টা করা মুঠোফোন নম্বর পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। একইভাবে ঘটনার সাথে প্রকৃত পক্ষে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।"

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:৩৮
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ) আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জিহাদের ভাই জিন্নাত মোল্লা, শহীদ জসিমউদ্দীনের স্ত্রী মোসা রুমা এবং শহীদ মিলনের চাচা মোঃ কাওসার হাওলাদার।
মনোনয়ন সংগ্রহকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে আসন্ন এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে, সে সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এবং একটি নতুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, নতুন সরকার সেই আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ (পটুয়াখালী সদর, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ) আসনে গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কৃষিবিদ মোঃ শহিদুল ইসলাম ফাহিমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জিহাদের ভাই জিন্নাত মোল্লা, শহীদ জসিমউদ্দীনের স্ত্রী মোসা রুমা এবং শহীদ মিলনের চাচা মোঃ কাওসার হাওলাদার।
মনোনয়ন সংগ্রহকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তবে আসন্ন এই নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হবে, সে সরকার সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এবং একটি নতুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, নতুন সরকার সেই আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।
বড়দিনসহ সাপ্তাহিক ছুটিকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ। সমুদ্র, বন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমিতে ভিড় করতে শুরু করছে হাজারো মানুষ। এই বন্ধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে ৯০ শতাংশ হোটেলের আবাসিক কক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পর্যটকদের আগমন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, মনিটরিং টিম, সেবার মান বৃদ্ধি, পরিছন্নতা কার্যক্রমসহ পর্যটকদের বরণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিকভাবে কুয়াকাটা থাকা আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এইবার সেই পরিমাণ লাখের বেশি পৌঁছাতে পারে বলে আশা পর্যটক ব্যবসায়ীদের। তাই বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বছরের পর্যটন মৌসুমে বিশেষ করে নভেম্বর থেকে পাঁচ-ছয় মাস মুখর থাকে পর্যটকে তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ডিসেম্বরের শুরুতেই পর্যটকরা ভিড় তেমন না থকলেও শেষের দিকে আগমনটা হবে চোখে পড়ার মতো।
হোটেল সিকদার রিসোর্টের পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমাদের রিসোর্ট ভালো বুকিং রয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো রুম খালি নেই।
হোটেল গ্রান্ড প্লাসিডের পরিচালক মোহাম্মদ মারুফ হাসান জানায়, ইতিমধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। কিছু পরিমাণ ফোন আসছে আশা করি বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের বরণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. কলিম মাহমুদ জানায়, এই বন্ধ উপলক্ষে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে তাই আমরা পাঁচজনের একটি টিম নিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করেছি, এছাড়াও নির্দিষ্ট খাদ্যের মূল্য তালিকা, পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করা, বাসি-পচা খাবার মুক্ত রাখা, পর্যটকদের হয়রানিসহ সব বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। যাতে সব পর্যটক কুয়াকাটা বেড়াতে আসে সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় সর্বমোট ২০০টির বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে তার মধ্যে আগামী ২৫-২৬ তারিখের জন্য বেশিরভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকের চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেক পর্যটক রাতে গন্তব্যে ফিরে যায়।
কুয়াকাটায় উৎসব, আয়োজন ও পর্যটকদের সমাগমে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
বড়দিনসহ সাপ্তাহিক ছুটিকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ। সমুদ্র, বন আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমিতে ভিড় করতে শুরু করছে হাজারো মানুষ। এই বন্ধকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে ৯০ শতাংশ হোটেলের আবাসিক কক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়েজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পর্যটকদের আগমন উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা, মনিটরিং টিম, সেবার মান বৃদ্ধি, পরিছন্নতা কার্যক্রমসহ পর্যটকদের বরণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিকভাবে কুয়াকাটা থাকা আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এইবার সেই পরিমাণ লাখের বেশি পৌঁছাতে পারে বলে আশা পর্যটক ব্যবসায়ীদের। তাই বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বছরের পর্যটন মৌসুমে বিশেষ করে নভেম্বর থেকে পাঁচ-ছয় মাস মুখর থাকে পর্যটকে তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ডিসেম্বরের শুরুতেই পর্যটকরা ভিড় তেমন না থকলেও শেষের দিকে আগমনটা হবে চোখে পড়ার মতো।
হোটেল সিকদার রিসোর্টের পরিচালক আল-আমিন খান বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে আমাদের রিসোর্ট ভালো বুকিং রয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো রুম খালি নেই।
হোটেল গ্রান্ড প্লাসিডের পরিচালক মোহাম্মদ মারুফ হাসান জানায়, ইতিমধ্যে আমাদের হোটেলের ৮০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। কিছু পরিমাণ ফোন আসছে আশা করি বাকি কক্ষগুলোও বুকিং হয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের বরণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. কলিম মাহমুদ জানায়, এই বন্ধ উপলক্ষে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটবে তাই আমরা পাঁচজনের একটি টিম নিয়ে মনিটরিং সেল গঠন করেছি, এছাড়াও নির্দিষ্ট খাদ্যের মূল্য তালিকা, পর্যাপ্ত খাবার নিশ্চিত করা, বাসি-পচা খাবার মুক্ত রাখা, পর্যটকদের হয়রানিসহ সব বিষয়ে আমরা নজর রাখবো। যাতে সব পর্যটক কুয়াকাটা বেড়াতে আসে সুন্দরভাবে ফিরে যেতে পারে।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় সর্বমোট ২০০টির বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে তার মধ্যে আগামী ২৫-২৬ তারিখের জন্য বেশিরভাগ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকের চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেক পর্যটক রাতে গন্তব্যে ফিরে যায়।
কুয়াকাটায় উৎসব, আয়োজন ও পর্যটকদের সমাগমে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র সিয়াম (১৭) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মামলার ১ নম্বর আসামি মো. রাইয়ান ও ২ নম্বর আসামি মো. রাশেদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক কমান্ডার শাহাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পরই অপরাধীরা এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল তাৎক্ষণিকভাবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাদের পালানোর রুট এবং সম্ভাব্য সব কৌশল বিশ্লেষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে র্যাব কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পাশে বালুর মাঠে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিয়ামকে। সে ঢাকার রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়ায় নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সিয়াম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে সিয়াম ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সুবিদখালী সরকারি কলেজের উত্তর পাশে বালুর মাঠে ঘুরতে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে পরিচয় জানতে চেয়ে তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে সিয়ামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করে। এতে সিয়াম গুরুতর আহত হলে হামলাকারীরাই তাকে নিজেদের মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায়। পৌনে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা সিয়ামের খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও পিটিয়ে আহত করে। মামুন বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র সিয়াম (১৭) হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন: মামলার ১ নম্বর আসামি মো. রাইয়ান ও ২ নম্বর আসামি মো. রাশেদ।
বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক কমান্ডার শাহাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের পরই অপরাধীরা এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল তাৎক্ষণিকভাবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাদের পালানোর রুট এবং সম্ভাব্য সব কৌশল বিশ্লেষণ করে অবস্থান শনাক্ত করে। এরপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ও টাকা-পয়সার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তবে তদন্তে হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বেরিয়ে আসবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে র্যাব কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার সুবিদখালী সরকারি কলেজের পাশে বালুর মাঠে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সিয়ামকে। সে ঢাকার রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর মাদারবুনিয়ায় নানাবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সিয়াম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া ৩টার দিকে সিয়াম ও তার খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সুবিদখালী সরকারি কলেজের উত্তর পাশে বালুর মাঠে ঘুরতে যায়। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তাদের গতিরোধ করে পরিচয় জানতে চেয়ে তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে সিয়ামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্মমভাবে আঘাত করে। এতে সিয়াম গুরুতর আহত হলে হামলাকারীরাই তাকে নিজেদের মোটরসাইকেলে করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায়। পৌনে ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন।
হামলাকারীরা সিয়ামের খালাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনকেও পিটিয়ে আহত করে। মামুন বর্তমানে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।