Bkash

আন্তর্জাতিক

তেহরানে বাংলাদেশিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে দূতাবাস

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৭ জুন, ২০২৫ ২০:৪১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তেহরানে বাংলাদেশিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে দূতাবাস

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে তেহরানে অবস্থানরত ৪০০ বাংলাদেশি গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদেরকে এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছে দূতাবাস। এখন পর্যন্ত ১০০ বাংলাদেশি নিরাপত্তা ইস্যুতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছে, তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইরানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।

ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, ইরানে প্রায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এর মধ্যে তেহরানে আছেন প্রায় ৪০০ জন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৪০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। ইসরাইলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি বর্তমানে গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গত সোমবার রেডিও তেহরানের কার্যালয় ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগে কমপক্ষে ৮জন বাংলাদেশি সাংবাদিক কাজ করেন। হামলার সময় তারা অফিসেই ছিলেন। তবে তারা নিরাপদ ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, এরই মধ্যে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তেহরানে অবস্থানরত ১০০ জন বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয় চেয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য সকল ধরনের (বাসস্থান, খাবার, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ভার বাংলাদেশ সরকার বহন করছে) সহযোগিতা করা হচ্ছে। শুধু তাদেরই নয় যারাই আমাদের সহযোগিতা চাইবেন তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এজন্য হট লাইন চালু করা হয়েছে। তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে নিজের বাসভবন ছেড়ে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসও ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা দূতাবাসও নিরাপদ কোনো স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। ইরানের সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সহজেই ইরান ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার স্থলপথে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও নিরাপদ নয়। তাই তেহরান থেকে ইরানের মধ্যেই নিরাপদ দূরত্বে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো অত্যন্ত কঠিন। তবে আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। এইক্ষেত্রে আমাদের বন্ধু দেশসহ ইরানের সহযোগিতা নিচ্ছি।

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই ঘটনার খুব বেশিদিন হয়নি এবং এমন পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা আমাদের জানা নাই। তাই অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে তা এখনই আমরা নিরূপণ করতে পারিনি।

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গত ১৩ জুন বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ। বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং অস্থিতিশীল এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি ও ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্ট লঙ্ঘন। এধরনের হামলা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়স্বজন জরুরি পরিস্থিতিতে দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিম্নলিখিত মোবাইল ফোন নম্বরগুলোতে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) সরাসরি যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান হটলাইন: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা হটলাইন: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭।

আরও পড়ুন:

বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় বাজেটে কাটছাঁটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ দেশের ছোট-বড় শহরে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন ও বামপন্থি দলগুলোর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরণের আন্দোলনের মধ্যে গণ্য করা হচ্ছে।

ট্রেড ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ বিক্ষোভকারী হওয়ার তথ্য দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দেশে ৮০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘাত ও ধস্তাধস্তি

প্যারিস, লিওন ও নানতেসে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও শিল্ড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে।

বিক্ষোভের কারণে পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। রাজধানীর অধিকাংশ মেট্রোরেল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে অসংখ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা ঝুলিয়েছে। দেশজুড়ে ওষুধের দোকানগুলোর ৯৮ শতাংশও বন্ধ রয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ফলে প্যারিসসহ বিভিন্ন শহর থেকে অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

বিক্ষোভের কারণ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

মূল কারণ হল জাতীয় বাজেটে কাটছাঁট। ঋণের দেনায় জর্জরিত ফ্রান্সের সরকারকে স্বস্তি দিতে চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাজেটের বিভিন্ন খাত থেকে মোট ৪,৪০০ কোটি ডলার ছেঁটে দেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

বায়রো আস্থা ভোটে পরাজিত হন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সেবাস্টিয়ান লেকর্নু। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বাজেট কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত এখনও বাতিল করা হয়নি।

নাগরিক ও নেতাদের প্রতিক্রিয়া

৩৬ বছর বয়সী আইটি কর্মী সিরিয়েল বলেন, ‘আমি বিক্ষোভে এসেছি কারণ আমি সরকারের অর্থনৈতিক নীতি পছন্দ করি না। গণপরিষেবা ও সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমানো উচিত নয়, বরং বাড়ানো হোক। ধনীদের কর আরও বাড়ানো হোক।’

ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী সোফি বিনেট জানান, ‘আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। ধনীদের তুষ্ট রাখার নীতি থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেশিলিও বলেছেন, ‘বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি থামিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে ভালো হবে। না হলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে।’ কট্টর বামপন্থি দলগুলোর জোট এলএফআই সতর্ক করেছে, ‘সরকারের যে কোনো কঠোর পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে।’

নেপালে ফের বিক্ষোভ, নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও চায় না জেন-জি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

নেপালে ফের বিক্ষোভ, নতুন প্রধানমন্ত্রীকেও চায় না জেন-জি

নেপালে আবারও রাজপথে নেমেছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবি করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ।

তরুণদের আইকন সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ—গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, অথচ এই আন্দোলনের জোরেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন।

নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং স্লোগান দিয়ে কার্কির পদত্যাগ দাবি করে। তাদের ভাষ্য, ‘আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?’

বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’

রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।

বিহারের পর আসাম, ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে ছাত্র আন্দোলন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিহারের পর আসাম, ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে ছাত্র আন্দোলন

জেন জি বিক্ষোভে নেপালে যখন সরকার পতন হয়েছে, তখন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী ভারতেও। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ।

গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছিল বিহারের বিভিন্ন এলাকা। এবার বিক্ষোভে উত্তাল হলো দেশটির আরেক রাজ্য আসাম।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজ্যের তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা দিতে হবে।

অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএমএসইউ) নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ শুরু হয় তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটায় ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে। এর পর তারা তিনসুকিয়া শহরে এক বিশাল সমাবেশ করে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের আসাম সফরের ঠিক আগে এই বিক্ষোভ পুরো শহরকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেন।

সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে মোড়ানসহ আরও পাঁচটি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে।

কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও কিছুই হলো না। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে যদি আমাদের এসটি মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত স্বায়ত্তশাসনের দাবি পূরণ না হয়, আমরা আরও তীব্র আন্দোলনে যাবো।

বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার যদি স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ।একই সুরে এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, কংগ্রেস আমাদের ঠকিয়েছে, আঞ্চলিক দল আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ঠকিয়েছে, আর এখন বিজেপিও একই কাজ করছে। আমাদের সবসময় রাজনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে।

এএমএসইউ মোদীর আসন্ন সফরকে সামনে রেখে মোড়ানদের প্রতিশ্রুতি পূরণের সময়সীমা পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। বিক্ষোভের পর তিনসুকিয়া থানার চারিআলিতেও এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.