
১৭ জুন, ২০২৫ ২০:৪১
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে তেহরানে অবস্থানরত ৪০০ বাংলাদেশি গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদেরকে এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছে দূতাবাস। এখন পর্যন্ত ১০০ বাংলাদেশি নিরাপত্তা ইস্যুতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছে, তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইরানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।
ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, ইরানে প্রায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এর মধ্যে তেহরানে আছেন প্রায় ৪০০ জন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৪০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। ইসরাইলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি বর্তমানে গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গত সোমবার রেডিও তেহরানের কার্যালয় ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগে কমপক্ষে ৮জন বাংলাদেশি সাংবাদিক কাজ করেন। হামলার সময় তারা অফিসেই ছিলেন। তবে তারা নিরাপদ ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, এরই মধ্যে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তেহরানে অবস্থানরত ১০০ জন বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয় চেয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য সকল ধরনের (বাসস্থান, খাবার, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ভার বাংলাদেশ সরকার বহন করছে) সহযোগিতা করা হচ্ছে। শুধু তাদেরই নয় যারাই আমাদের সহযোগিতা চাইবেন তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এজন্য হট লাইন চালু করা হয়েছে। তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে নিজের বাসভবন ছেড়ে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসও ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা দূতাবাসও নিরাপদ কোনো স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। ইরানের সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সহজেই ইরান ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার স্থলপথে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও নিরাপদ নয়। তাই তেহরান থেকে ইরানের মধ্যেই নিরাপদ দূরত্বে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো অত্যন্ত কঠিন। তবে আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। এইক্ষেত্রে আমাদের বন্ধু দেশসহ ইরানের সহযোগিতা নিচ্ছি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই ঘটনার খুব বেশিদিন হয়নি এবং এমন পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা আমাদের জানা নাই। তাই অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে তা এখনই আমরা নিরূপণ করতে পারিনি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গত ১৩ জুন বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ। বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং অস্থিতিশীল এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি ও ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্ট লঙ্ঘন। এধরনের হামলা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়স্বজন জরুরি পরিস্থিতিতে দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিম্নলিখিত মোবাইল ফোন নম্বরগুলোতে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) সরাসরি যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান হটলাইন: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা হটলাইন: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে তেহরানে অবস্থানরত ৪০০ বাংলাদেশি গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদেরকে এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছে দূতাবাস। এখন পর্যন্ত ১০০ বাংলাদেশি নিরাপত্তা ইস্যুতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছে, তাদেরকে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইরানে প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান।
ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, ইরানে প্রায় ২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এর মধ্যে তেহরানে আছেন প্রায় ৪০০ জন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৪০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রয়েছেন। ইসরাইলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি বর্তমানে গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গত সোমবার রেডিও তেহরানের কার্যালয় ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগে কমপক্ষে ৮জন বাংলাদেশি সাংবাদিক কাজ করেন। হামলার সময় তারা অফিসেই ছিলেন। তবে তারা নিরাপদ ছিলেন।
ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, এরই মধ্যে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তেহরানে অবস্থানরত ১০০ জন বাংলাদেশি নিরাপদ আশ্রয় চেয়ে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য সকল ধরনের (বাসস্থান, খাবার, ওষুধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ভার বাংলাদেশ সরকার বহন করছে) সহযোগিতা করা হচ্ছে। শুধু তাদেরই নয় যারাই আমাদের সহযোগিতা চাইবেন তাদের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এজন্য হট লাইন চালু করা হয়েছে। তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যে নিজের বাসভবন ছেড়ে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন। তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসও ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা দূতাবাসও নিরাপদ কোনো স্থানে সরিয়ে নিচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইরান থেকে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সহজ নয়। ইরানের সঙ্গে আকাশ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সহজেই ইরান ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার স্থলপথে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও নিরাপদ নয়। তাই তেহরান থেকে ইরানের মধ্যেই নিরাপদ দূরত্বে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একইসঙ্গে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানো অত্যন্ত কঠিন। তবে আমরা বিকল্প পথ খুঁজছি। এইক্ষেত্রে আমাদের বন্ধু দেশসহ ইরানের সহযোগিতা নিচ্ছি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই ঘটনার খুব বেশিদিন হয়নি এবং এমন পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা আমাদের জানা নাই। তাই অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে তা এখনই আমরা নিরূপণ করতে পারিনি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গত ১৩ জুন বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাই স্থায়ী শান্তির একমাত্র কার্যকর পথ। বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং অস্থিতিশীল এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এ হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি ও ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্পষ্ট লঙ্ঘন। এধরনের হামলা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানে বসবাসকারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়স্বজন জরুরি পরিস্থিতিতে দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিম্নলিখিত মোবাইল ফোন নম্বরগুলোতে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) সরাসরি যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান হটলাইন: +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ ও +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা হটলাইন: +৮৮০১৭১২০১২৮৪৭।

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫
ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকি ঘিরে দুদেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। হাসনাতের এই হুমকির কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। খবর দ্য হিন্দুর।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে—তাহলে বাংলাদেশ ভারতবিরোধী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে। ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পৃষ্ঠপোষকেরা অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড় করাচ্ছেন। ক্ষমতা, গদি ও মন্ত্রণালয়ের লোভে যারা দিল্লিকে ‘কেবলা’ বানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শকুনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। আবারও শকুনেরা বাংলাদেশের মানচিত্রে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ‘প্রতিরোধের আগুন’ সীমান্ত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়বে।’
৫৪ বছরের স্বাধীনতার পরও যারা বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদের ‘শকুন’ আখ্যা দিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এসব মন্তব্যকে ভারতীয় কর্মকর্তারা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক’ বলে নিন্দা করেছেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একীভূত করা বা আলাদা করার ধারণা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছরে বারবার এমন বক্তব্য আসছে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি বড় দেশ, একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন কথা ভাবতে পারে?’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের শত্রুতামূলক আচরণ চলতে থাকলে ভারত চুপ থাকবে না। প্রয়োজনে শিক্ষা দিতে হতে পারে।’
অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল গঠিত। এ সাত রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত রয়েছে।
ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করার বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকি ঘিরে দুদেশের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। হাসনাতের এই হুমকির কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। খবর দ্য হিন্দুর।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে—তাহলে বাংলাদেশ ভারতবিরোধী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে। ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পৃষ্ঠপোষকেরা অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড় করাচ্ছেন। ক্ষমতা, গদি ও মন্ত্রণালয়ের লোভে যারা দিল্লিকে ‘কেবলা’ বানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শকুনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। আবারও শকুনেরা বাংলাদেশের মানচিত্রে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ‘প্রতিরোধের আগুন’ সীমান্ত ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়বে।’
৫৪ বছরের স্বাধীনতার পরও যারা বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদের ‘শকুন’ আখ্যা দিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এসব মন্তব্যকে ভারতীয় কর্মকর্তারা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক’ বলে নিন্দা করেছেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে একীভূত করা বা আলাদা করার ধারণা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক।’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছরে বারবার এমন বক্তব্য আসছে যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি বড় দেশ, একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন কথা ভাবতে পারে?’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের শত্রুতামূলক আচরণ চলতে থাকলে ভারত চুপ থাকবে না। প্রয়োজনে শিক্ষা দিতে হতে পারে।’
অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল গঠিত। এ সাত রাজ্যের মধ্যে চারটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত রয়েছে।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৯
মুর্শিদাবাদে ‘প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ’-এর জন্য তহবিলে জমা পড়া অর্থ এবার রীতিমতো চমকে দিয়েছে সবাইকে। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, তাঁর রেজিনগরের বাড়িতে জমা হয়েছে ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ টাকা। সেই অর্থ গুনতেই বিশেষভাবে আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন এবং ৩০ জন কর্মী।
হুমায়ুন কবীর জানান, শুধু QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই তহবিলে জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা। শনিবার তিনি মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করেন, আর রবিবার নিজ হাতে ইট নিয়ে হাজির হন নির্মাণস্থলে।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, শুধু মুর্শিদাবাদই নয় বীরভূম ও মালদা থেকেও ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি এবং মালদার মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এই দুটি জেলায় প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানান হুমায়ুন।
রাজনৈতিকভাবে নতুন দিকচিহ্ন এঁকে হুমায়ুন জানালেন, তার নতুন দলের সঙ্গে AIMIM-এর জোট হবে। এছাড়া বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ISF চাইলে তাদেরও জায়গা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে AIMIM-এর মুখপাত্র পাল্টা কটাক্ষ করে জানান, হুমায়ুন কবীর নাকি শুভেন্দু অধিকারীর টিমের ‘কোর মেম্বার’।
তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করার পর বৃহস্পতিবারই সভার দিন ঘোষণা করেছিলেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু পরের দিন সুর নরম করেন। আর রবিবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন, ইস্তফা দিচ্ছি না। ভোটারদের আপত্তির কারণেই সিদ্ধান্ত বদল করেছি।
এই ইউ-টার্ন ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলও সাসপেন্ডেড বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
মুর্শিদাবাদে ‘প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ’-এর জন্য তহবিলে জমা পড়া অর্থ এবার রীতিমতো চমকে দিয়েছে সবাইকে। সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের দাবি, তাঁর রেজিনগরের বাড়িতে জমা হয়েছে ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ টাকা। সেই অর্থ গুনতেই বিশেষভাবে আনা হয়েছে টাকা গোনার মেশিন এবং ৩০ জন কর্মী।
হুমায়ুন কবীর জানান, শুধু QR কোড স্ক্যানের মাধ্যমেই তহবিলে জমা পড়েছে ৯৩ লক্ষ টাকা। শনিবার তিনি মুর্শিদাবাদে ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস করেন, আর রবিবার নিজ হাতে ইট নিয়ে হাজির হন নির্মাণস্থলে।
হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, শুধু মুর্শিদাবাদই নয় বীরভূম ও মালদা থেকেও ‘বাবরি মসজিদ’ তৈরির প্রস্তাব এসেছে। রামপুরহাট, সিউড়ি এবং মালদার মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এই দুটি জেলায় প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানান হুমায়ুন।
রাজনৈতিকভাবে নতুন দিকচিহ্ন এঁকে হুমায়ুন জানালেন, তার নতুন দলের সঙ্গে AIMIM-এর জোট হবে। এছাড়া বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও ISF চাইলে তাদেরও জায়গা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে AIMIM-এর মুখপাত্র পাল্টা কটাক্ষ করে জানান, হুমায়ুন কবীর নাকি শুভেন্দু অধিকারীর টিমের ‘কোর মেম্বার’।
তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করার পর বৃহস্পতিবারই সভার দিন ঘোষণা করেছিলেন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। কিন্তু পরের দিন সুর নরম করেন। আর রবিবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন, ইস্তফা দিচ্ছি না। ভোটারদের আপত্তির কারণেই সিদ্ধান্ত বদল করেছি।
এই ইউ-টার্ন ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলও সাসপেন্ডেড বিধায়কের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৭
সৌদি আরব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের জন্য মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এখন থেকে নির্দিষ্ট অ-মুসলিম উচ্চ আয়ের বিদেশিরা রাজধানী রিয়াদের একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কেনার সুযোগ পাবেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, দোকানে প্রবেশের আগে বিদেশি বাসিন্দাদের মাসিক আয় কমপক্ষে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ১৩,৩০০ ডলার) হতে হবে এবং বেতন সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
দশকজুড়ে নানা কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সামাজিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শিথিলতা আনছে।
গত বছর রিয়াদের এই মদের দোকানটি শুধুমাত্র বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ-মুসলিম প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি কার্ডধারীরাও এখন কেনাকাটা করতে পারবেন। এই প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি (সৌদি গ্রিন কার্ড) সাধারণত দক্ষ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়, যারা পাঁচ বছরে অন্তত ৩০ মাস দেশটিতে বসবাস করেছেন।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এই সিদ্ধান্ত দেশটির সাম্প্রতিক উদারীকরণ নীতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-মুসলিম বিদেশি নাগরিকদের জন্য মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। এখন থেকে নির্দিষ্ট অ-মুসলিম উচ্চ আয়ের বিদেশিরা রাজধানী রিয়াদের একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে মদ কেনার সুযোগ পাবেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, দোকানে প্রবেশের আগে বিদেশি বাসিন্দাদের মাসিক আয় কমপক্ষে ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ১৩,৩০০ ডলার) হতে হবে এবং বেতন সনদ প্রদর্শন করতে হবে।
দশকজুড়ে নানা কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সামাজিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার মদ বিক্রির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে শিথিলতা আনছে।
গত বছর রিয়াদের এই মদের দোকানটি শুধুমাত্র বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ-মুসলিম প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি কার্ডধারীরাও এখন কেনাকাটা করতে পারবেন। এই প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি (সৌদি গ্রিন কার্ড) সাধারণত দক্ষ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়, যারা পাঁচ বছরে অন্তত ৩০ মাস দেশটিতে বসবাস করেছেন।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, এই সিদ্ধান্ত দেশটির সাম্প্রতিক উদারীকরণ নীতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.