বরিশালবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পদ্মা নদীর মাটির লেয়ারের ভিন্নতার কারণে ১৪টি পিয়ার লোকেশনে পাইলের ডিজাইন চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ ধরণের কাজে অভিজ্ঞ দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান রয়েছেও বলে জানান তিনি।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর একটি স্প্যান বসানো হয়েছে এবং চলতি জানুয়ারি মাসে আরও একটি স্প্যান বসানো হবে।
এটি বাস্তবায়নে পাইল ড্রাইভিং এবং পিয়ার কলামের পাশাপাশি অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে চলতি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, অন-টেস্ট স্টিকার লাগিয়ে মোটরসাইকেল রাস্তায় চলাচলে বন্ধ করছে বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম এবং ওজন ৯০ কেজি বা এর কম হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ভ্যাটসহ ৯ হাজার ৩১৩ টাকা। ১০০ সিসির বেশি হলে রেজিস্ট্রেশন ফি ভ্যাটসহ ১২ হাজার ৭৩ টাকা।
ক্রেতার কাছে হস্তান্তরের পূর্বেই মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম বিক্রয়কারী এজেন্ট ডিলার নিশ্চিত করবে এমন সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
রেলওয়ের প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমি অবৈধ দখলে: সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৮৬০ একর। এর মধ্যে রেলওয়ের নিজ দখলে থাকা জমির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৯৭০ একর।
মন্ত্রী জানান, রেলওয়ের অবৈধ দখলীয় জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৬৪৭ একর। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ দখলীয় রেলভূমি উদ্ধার/ অবৈধ দখল মুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রেলওয়ের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট প্রায় ১২৩ একর রেলভূমি অবৈধ দখল মুক্তকরত রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭১ ভাগ: সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি দেশের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪১ দশমিক ১৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশ।
নারী স্বাক্ষরতার হার ৬৮ দশমিক ৯ ভাগ এবং পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। এছাড়া দেশের সকল জেলার মধ্যে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশী ৭০ ভাগ স্বাক্ষরতার হার।
শিরোনামOther