২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের কিল-ঘুষির শিকার দিনমজুর

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, ২০ মার্চ ২০২৪

টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের কিল-ঘুষির শিকার দিনমজুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গাইবান্ধা সদর উপজেলায় টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য নিতে গিয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানের কিল-ঘুষির শিকার হয়েছেন মোজাহিদ ইসলাম নামে এক দিনমজুর। স্ত্রী রুমা বেগমের নামের টিসিবির কার্ডের মালামাল নিতে ৬ নম্বর রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ হামলার শিকার হন তিনি। এদিকে ঘটনার সময়ে এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা একটি ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ছড়িয়ে পড়ে ১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি।

এর আগে বিকেল ৫টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। আহত মোজাহিদ ইসলাম (৪৫) রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বড় মহানন্দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী রুমা বেগমের নামে একটি টিসিবির কার্ড রয়েছে। যার কার্ড নম্বর-৩২১২৪৮১০০২১৫২।

ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মোসাব্বির পরিষদে থাকা বেশ কিছু লোকজনদের বের করে দিচ্ছেন। এ সময় গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মোজাহিদকে লক্ষ্য করে মাথায় ও বুকে পিঠে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির। শুধু তাই নয়, মোজাহিদকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর মোজাহিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির কার্ডের মালামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে সর্বশেষ প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন কার্ডধারীকে মাল দিতে সময়ক্ষেপণ করেন টিসিবির সংশ্লিষ্ট ডিলার।

পরে চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ডিলারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু অপেক্ষা করেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে উপস্থিত কার্ডধারীদের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়। এতেই চেয়ারম্যান মোসাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

মোজাহিদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান মোসাব্বির অতর্কিত তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তিনি মাথা, বুকে ও পিঠে ঘুসি মারতে থাকেন। এরপর তিনি ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে তাকে বের করে দেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনকে। এমনকি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

23 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন