৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত সরবরাহ সত্ত্বেও সবজির দাম চড়া

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। তারপরও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দাম। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের মুরগির ডিমের দামও বেড়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য সবজির উপরে কিছুটা চাপ পড়েছে। এখনো নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। অন্যান্য বছর এমন ভরা মৌসুমে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে নেমে আসে। এ কারণে মানুষ আলু কিনছে কম, অন্যান্য সবজির দিকে ঝুঁকছে। আবার কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অবরোধে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে শীতের সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন সে তুলনায় ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

এছাড়া বাজারে সারা বছরের সবজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ বেগুনের দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেশি চড়েছে লাউয়ের দাম। প্রতিটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে কেনা গেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

পেঁয়াজের দামে এখনো কোনো সুখবর নেই। বরং দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ক্রেতাদের ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর দেশি পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার উপরে।

অন্যদিকে কিছুদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। যা এখন ২০০ টাকায় ঠেকেছে। একইভাবে বেড়েছে সোনালি জাতের মুরগির দাম। আগে এ জাতের মুরগির কেজি পাওয়া যেতো ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ছিল ১৩০ টাকার ডজন। যা এখন ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।

মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এনামুল হক নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় পিকনিকসহ নানান অনুষ্ঠান হয় বিভিন্ন জায়গায়। হোটেলেও বিক্রি বেশি থাকে। এসব কারণে মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। দামও বাড়তি।

এদিকে রাজধানীতে প্রতি কেজি গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেও কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীদের ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে খুব বেশি হেরফের হয়নি মাছের দাম।

অন্যদিকে মুদি বাজারে এখনো চিনির সংকট কাটেনি। প্রতি কেজি চিনি কিনতে হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, আটা, ময়দার দাম।

28 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন