২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিকলবন্দি কিশোরী!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ, ০১ আগস্ট ২০১৯

মোসা. হাফছা আক্তার নামে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে গত তিন দিন ধরে গরু বাঁধার শিকল দিয়ে পা বেঁধে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে তার নানি, খালা ও মামাসহ অন্যান্য আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটে বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিন ভাইজোড়া গ্রামে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের আবুল হোসেন এর মেয়ে। গত বুধবার বিকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনান্থলে উপস্থিত হলে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল মুক্ত করে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এটা পরিবারের লোকজন মানতে রাজি নয়। গত রবিবার ওই ছেলের সাথে ঘর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের তাদের বিয়ে পড়ানোর আশ্বাস দিলে সে পালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে। মেয়েটির মা ও বাবা এলাকায় না থাকায় তিনি ওই কিশোরীকে দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের তার নানি হাসিনা বেগম ও খালা হনুফা বেগমের জিম্মায় দেন। কিন্তু যাদের জিম্মায় ওই কিশোরীকে রাখা হয়েছে তারা গত রবিবার থেকে গত বুধবার এই তিন দিন পর্যন্ত গরু বাঁধার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তার পায়ের শিকল খুলে দেওয়া হয়।

ওই কিশোরীর মা নুর জাহান বেগম বলেন, আমার মেয়ে এখনো অবুঝ। ও যে ছেলেটিকে পছন্দ করেছে ওই ছেলেটি মাদক মামলার আসামি। ছেলেটির পূর্বে একটি বিয়ে করেছে। তাই ওর সাথে আমার মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে দেব না। তাতে যদি ওকে কেটে ভাসিয়ে দিতে হয় তাই দেব।

এ ব্যাপারে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক। সে এক মাদক মামলার আসামির সাথে ঘর ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে তার নানি ও খালার জিম্মায় দিই। তারা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে অন্যায় করেছে। এটা করা তাদের ঠিক হয়নি।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ্দুজ্জামান বলেন, বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন