Bkash

সারাদেশ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক

ভারতের নাগরিক হয়েও সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি পাবনা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও জালিয়াতি করে শ্বশুরের নামে লিজ নেওয়া সরকারি সম্পত্তি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড হিসেবে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি, ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে।

তবে পাবনা শহরের ২ ওয়ার্ডের বাসিন্দাও তিনি। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্তির নম্বর ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ড নম্বর ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১। গত ৩১ আগস্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাকরিবিধি উপেক্ষা করেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। অথচ তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিক। সেখানে জমিজমা কিনেছেন। ফ্ল্যাট বাড়িও করেছেন। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতেই থাকেন।

ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পান, এজন্য তাকে নিয়ে পাবনাতে থাকেন। মাঝেমধ্যে ১৫দিন থেকে এক মাস ছুটি নিয়ে তারা ভারতে যান। সুখ রঞ্জনের শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজের নামে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, আমার বাবা শহরের মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের নামে লিজ দেওয়া হয়।

মা মারা যাওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে শুধুমাত্র আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসূরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে। এমনকি পৌরসভাতেও আমার একমাত্র বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন দিয়েছে। আমার বাড়িতে বসবাস করে এখন আমাকেই বাড়ি ছাড়া করতে চায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কাগজপত্রও পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমি সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাব এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, এসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তানরা ওর ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা আসেনি।

আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি সব ডকুমেন্টস দেখাতে পারব। পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি, কিন্তু এখনো লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪টি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে হোমনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোমনার আসাদপুর এলাকায় ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন মহসিন নামের এক যুবক। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মহসিনের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

ওই দিন দুপুরে পুলিশ মহসিনকে আটক করে। একইদিন রাতে ইসলামী যুব সেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মহসিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায় বৃহস্পতিবার।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসাদপুর এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে শত শত লোক জড়ো করে একযোগে আসাদপুর এলাকার কফিল উদ্দিন শাহ, হাওয়ালি শাহ, কালাই শাহ এবং আবদু শাহ মাজার মোট ৪টি মাজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আসাদপুর এলাকায় এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকালে সরেজমিনে আসাদপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য। পুড়ে যাওয়া মাজারের সামনে কথা হয় গ্রেপ্তার যুবকের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলেকে তো পুলিশের হাতে তুলে দিলাম।

এরপরও আমাদের মাজার ও বাসা বাড়িতে কেন আগুন দেওয়া হলো? পুলিশ কোনো নিরাপত্তা দিতে পারলো না কেন? এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হই। টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ কোনো মালামাল রক্ষা করতে পারিনি। জীবনটা কোনো মতে রক্ষা করেছি।

ওসি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসুল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোস্ট দেওয়া যুবককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একদল উশৃঙ্খল মানুষ তারপরও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। এ ঘটনায় ২২০০ অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

টাকা চুরির অভিযোগ তোলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম সাজু ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ফল বিক্রেতা। অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) ও তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩)। ঘটনার পর দুজনেই পলাতক। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।

অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সাজেদুলের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। এ বিষয়ে রায়হানকে সন্দেহ হওয়ায় চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যান।

পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে সাজেদুলের মৃত্যু হয়।

মৃতের মা ছায়েদা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়হান আমার ছেলে সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে রাখা তার ছয় হাজার টাকা হারিয়ে যায়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে জানায়।

এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুল মারা যান।

বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রশি টেনে ডাকাতি, তরুণ নিহত

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রশি টেনে ডাকাতি, তরুণ নিহত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকায় রশি টেনে ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন উখিয়ার তরুণ মাহমুদুল্লাহ। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মাহমুদুল্লাহ উখিয়ার বালুখালীর শিয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। মাত্র ২২ দিন আগে রোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী মারা যান। বাবা-মাও আগে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাদের দুই শিশু সন্তান পুরোপুরি অনাথ হয়ে পড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবারে নেমেছে গভীর শোক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় ডাকাতরা রশি টেনে মোটরসাইকেল থামায়। এরপর আরোহীদের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন মাহমুদুল্লাহ। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই ডাকাতরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গভীর রাতে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের মারধর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। তারা দ্রুত নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ডাকাত দলের হামলায় একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়কে ডাকাতি ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.